ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
এনসিপির আহ্বায়ক কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে যুবলীগ নেতা মো. রকিবুল ইসলাম বাঁকা আঙ্গুল রাজনীতিতে বড় বিপদ : রাজ্জাকী টানা ৪১ দিন জামায়াতে নামাজ আদায়, ২০ মুসল্লি পুরস্কৃত জামায়াত নির্বাচন বানচালে আন্দোলন করছে কি না? জনমনে প্রশ্ন: প্রিন্স ১৫ নভেম্বর নতুন রঙের পোশাক পাচ্ছে পুলিশ, মানসিকতা পরিবর্তনের তাগিদ বিশ্লেষকদের আ.লীগ রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞার মধ্যেই পড়ে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে : গোলাম পরওয়ার জামায়াত নেতার ‘নো হাংকি পাংকি’: এই হুমকি-ধমকি কার জন্য? এসব নাটক করবেন না, প্লিজ ১৬ ডিসেম্বর আ. লীগের মুক্তি হয়েছে, জাতির মুক্তি হয়েছে ৭ নভেম্বর: রিজভী একটি অশুভ শক্তি সংস্কার নিয়ে জটিলতা তৈরি করেছে: তাহের

এদের তাড়ানোর জন্য লাঠি হাতে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না: সর্বমিত্র চাকমা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০২:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য সর্ব মিত্র চাকমা বলেছেন, তিনি তাঁর ক্যাম্পাসকে ভবঘুরে, পাগল ও গাঁজাখোরমুক্ত দেখতে চান। মঙ্গলবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুজন নারী শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হয়েছেন; তাই তিনি এমন একটি নিরাপদ পরিবেশ গঠনে কাজ করছেন এবং এটি ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়।

সর্বমিত্র লিখেছেন, যে বৃদ্ধ লোকটিকে দেখছেন, আমি শুরুর দিন থেকে এই লোকটাকে সেই মেট্রো স্টেশন থেকে তুলছি প্রতিরাতে। লোকটা ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়-ই না, উনার সাথে আরেকজন আরো বৃদ্ধ, উনিও মাদকাসক্ত , এই লোকের কাছে এর আগে একবার গাঁজা পাওয়া গেছিল।

ক্যাম্পাসকে মাদকসেবী মুক্ত করবেন জানিয়ে বলেন, এই লোকগুলোকে তোলাটা অত্যন্ত কঠিন , তুললে আগায় ৪ কদম। তাই , লাঠিসোটা ছাড়া বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন না করে তাদের তোলা যায় ই না। আমার নিজের এটার জন্য স্বার্থসিদ্ধি নাই, আমি আমার ক্যাম্পাসকে ভবঘুরে-পাগল-গাঁজাখোর মুক্ত দেখতে চেয়েছিলাম শুধু। আজ আমাদের নারী শিক্ষার্থী দু’জন হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়েছেন।

আমার চাওয়া, এই ভবঘুরে-পাগল-হ্যারাসারমুক্ত ক্যাম্পাস গড়া। এই ডাকসু নেতা বলেন, কিন্তু, এরকম প্রতিনিয়ত বিতর্ক আমার ব্যক্তিগত জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে। এভাবে প্রক্টরিয়াল টিমের সাথে রাতে পাহারা দিয়ে উচ্ছেদ করাটা ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্যের কাজ না , আবার আমার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ছে না এমনটাও না।

লাঠি হাতে নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না জানিয়ে সর্বমিত্র বলেন, কিছুদিন আগে তিনজন মাদকাসেবীকে তুলতে গিয়েছিলাম ,একইভাবে পোস্ট করে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হয়েছে। এদের তাড়ানোর জন্য লাঠি হাতে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না, যারা মাঠে কাজ করে তারাই জানে এটা কতটুকু কঠিন। একজন সদস্য হিসেবে আমি নিশ্চয় নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে আমার তরফ থেকে কাজ করবো , কিন্তু মাঠে আমি আর থাকছি না। ধন্যবাদ

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এনসিপির আহ্বায়ক কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে যুবলীগ নেতা মো. রকিবুল ইসলাম

এদের তাড়ানোর জন্য লাঠি হাতে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না: সর্বমিত্র চাকমা

আপডেট সময় ০২:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য সর্ব মিত্র চাকমা বলেছেন, তিনি তাঁর ক্যাম্পাসকে ভবঘুরে, পাগল ও গাঁজাখোরমুক্ত দেখতে চান। মঙ্গলবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুজন নারী শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হয়েছেন; তাই তিনি এমন একটি নিরাপদ পরিবেশ গঠনে কাজ করছেন এবং এটি ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়।

সর্বমিত্র লিখেছেন, যে বৃদ্ধ লোকটিকে দেখছেন, আমি শুরুর দিন থেকে এই লোকটাকে সেই মেট্রো স্টেশন থেকে তুলছি প্রতিরাতে। লোকটা ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়-ই না, উনার সাথে আরেকজন আরো বৃদ্ধ, উনিও মাদকাসক্ত , এই লোকের কাছে এর আগে একবার গাঁজা পাওয়া গেছিল।

ক্যাম্পাসকে মাদকসেবী মুক্ত করবেন জানিয়ে বলেন, এই লোকগুলোকে তোলাটা অত্যন্ত কঠিন , তুললে আগায় ৪ কদম। তাই , লাঠিসোটা ছাড়া বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন না করে তাদের তোলা যায় ই না। আমার নিজের এটার জন্য স্বার্থসিদ্ধি নাই, আমি আমার ক্যাম্পাসকে ভবঘুরে-পাগল-গাঁজাখোর মুক্ত দেখতে চেয়েছিলাম শুধু। আজ আমাদের নারী শিক্ষার্থী দু’জন হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়েছেন।

আমার চাওয়া, এই ভবঘুরে-পাগল-হ্যারাসারমুক্ত ক্যাম্পাস গড়া। এই ডাকসু নেতা বলেন, কিন্তু, এরকম প্রতিনিয়ত বিতর্ক আমার ব্যক্তিগত জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করছে। এভাবে প্রক্টরিয়াল টিমের সাথে রাতে পাহারা দিয়ে উচ্ছেদ করাটা ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্যের কাজ না , আবার আমার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ছে না এমনটাও না।

লাঠি হাতে নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না জানিয়ে সর্বমিত্র বলেন, কিছুদিন আগে তিনজন মাদকাসেবীকে তুলতে গিয়েছিলাম ,একইভাবে পোস্ট করে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হয়েছে। এদের তাড়ানোর জন্য লাঠি হাতে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না, যারা মাঠে কাজ করে তারাই জানে এটা কতটুকু কঠিন। একজন সদস্য হিসেবে আমি নিশ্চয় নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে আমার তরফ থেকে কাজ করবো , কিন্তু মাঠে আমি আর থাকছি না। ধন্যবাদ