ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পল্লবীতে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে গুলি ও হামলা, আহত ১ চকবাজারে ব্যবসায়ী হত্যা: বিচারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ ‘চাঁদাবাজদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে জাহান্নামের চৌরাস্তায় পাঠিয়ে দেয়া হবে’ ৫ কোটি টাকা চাঁদার দাবিতে বাস ভাংচুর, যুবদল নেতা দল থেকে বহিষ্কার খালি নির্বাচন নির্বাচন করেন, খুনি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না কেন?: বিএনপিকে জামায়াত নেতা রফিকুল ইরানের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রকে ছোট করে দেখা পশ্চিমাদের বড় ভুল: ফ্রান্স ছাত্রদল শহীদ পরিবারের পাশে সন্তানের মতো থাকবে: রাকিব তারা ভেবেছিল, কয়েকটি আসনের লোভ দেখিয়ে আমাদের কিনে নেবে: নাহিদ ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড: ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন গাজী ‘তারা প্রতি মাসে দুই লাখ করে টাকা চায়, না দেওয়ায় মেরেই ফেললো’

ইরানের নয়, বরং ইসরাইলের সাহায্যের প্রয়োজন”—লেবাননের স্পিকার নাবিহ বেরির স্পষ্ট বার্তা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৭:২৪:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে

ইরান-ইসরায়েল উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই লেবাননের অবস্থান নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সরাসরি বক্তব্য দিয়েছেন দেশটির জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রভাবশালী শিয়া নেতা নাবিহ বেরি। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, “ইরান আমাদের সাহায্য চায় না, বরং ইসরাইলই এখন বিশ্বের সমর্থনের জন্য মরিয়া।”

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাতে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল এমটিভি লেবানন-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত—লেবানন কোনো যুদ্ধে জড়াবে না। এমন কোনো মনোভাবও দেশের জনগণের মধ্যে নেই। যুদ্ধ শুরু হলে তার খেসারত হবে ভয়াবহ।”

নাবিহ বেরির এমন মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন আঞ্চলিক রাজনীতিতে অনেকেই ধারণা করছিলেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে হিজবুল্লাহ-ঘনিষ্ঠ লেবানন সরাসরি জড়িয়ে পড়তে পারে।

বিশেষ করে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থান ও সামরিক উপস্থিতির কারণে অনেক বিশ্লেষক আশঙ্কা করছিলেন, লেবানন হয়তো ইরানের পাশে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধের নতুন মঞ্চে পরিণত হতে পারে। তবে লেবাননের স্পিকারের এই বক্তব্য সেই শঙ্কার অনেকটাই ইতি টানলো।

নাবিহ বেরি বলেন, “ইরান এখন শক্তিশালী অবস্থানে আছে। তাদের লড়াইয়ের জন্য আমাদের প্রয়োজন নেই। বরং এখন ইসরাইলই চারদিকে সমর্থন খুঁজছে। এটা তাদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ।”

উল্লেখ্য, নাবিহ বেরি লেবাননের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী স্পিকার এবং শিয়া রাজনৈতিক দল আমাল মুভমেন্ট-এর নেতা। হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে তিনি পরিচিত।

তার এমন অবস্থান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লেবানন সরকার চাচ্ছে না যে, তাদের ভূখণ্ড আবারও নতুন কোনো যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন হোক, বিশেষ করে ২০০৬ সালের ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের ভয়াবহতা মাথায় রেখে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পল্লবীতে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে গুলি ও হামলা, আহত ১

ইরানের নয়, বরং ইসরাইলের সাহায্যের প্রয়োজন”—লেবাননের স্পিকার নাবিহ বেরির স্পষ্ট বার্তা

আপডেট সময় ০৭:২৪:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

ইরান-ইসরায়েল উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই লেবাননের অবস্থান নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সরাসরি বক্তব্য দিয়েছেন দেশটির জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রভাবশালী শিয়া নেতা নাবিহ বেরি। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, “ইরান আমাদের সাহায্য চায় না, বরং ইসরাইলই এখন বিশ্বের সমর্থনের জন্য মরিয়া।”

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাতে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল এমটিভি লেবানন-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত—লেবানন কোনো যুদ্ধে জড়াবে না। এমন কোনো মনোভাবও দেশের জনগণের মধ্যে নেই। যুদ্ধ শুরু হলে তার খেসারত হবে ভয়াবহ।”

নাবিহ বেরির এমন মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন আঞ্চলিক রাজনীতিতে অনেকেই ধারণা করছিলেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে হিজবুল্লাহ-ঘনিষ্ঠ লেবানন সরাসরি জড়িয়ে পড়তে পারে।

বিশেষ করে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থান ও সামরিক উপস্থিতির কারণে অনেক বিশ্লেষক আশঙ্কা করছিলেন, লেবানন হয়তো ইরানের পাশে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধের নতুন মঞ্চে পরিণত হতে পারে। তবে লেবাননের স্পিকারের এই বক্তব্য সেই শঙ্কার অনেকটাই ইতি টানলো।

নাবিহ বেরি বলেন, “ইরান এখন শক্তিশালী অবস্থানে আছে। তাদের লড়াইয়ের জন্য আমাদের প্রয়োজন নেই। বরং এখন ইসরাইলই চারদিকে সমর্থন খুঁজছে। এটা তাদের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ।”

উল্লেখ্য, নাবিহ বেরি লেবাননের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী স্পিকার এবং শিয়া রাজনৈতিক দল আমাল মুভমেন্ট-এর নেতা। হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে তিনি পরিচিত।

তার এমন অবস্থান রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লেবানন সরকার চাচ্ছে না যে, তাদের ভূখণ্ড আবারও নতুন কোনো যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন হোক, বিশেষ করে ২০০৬ সালের ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের ভয়াবহতা মাথায় রেখে।