মেসির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর যথেষ্ট শব্দ নেই: ফার্নান্দেস

অবশেষে বহু বছরের আক্ষেপের অবসান ঘটিয়ে আর্জেন্টিনা উঁচিয়ে ধরেছে বিশ্বকাপ শিরোপা। কাতারে কাঙ্ক্ষিত ট্রফির দেখা পাওয়া দলের সব সদস্যের জন্যই সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর একটি। এনসো ফার্নান্দেসও তাদের একজন। বিশ্বকাপের মাস ছয়েক আগেও খুব একটা আলোচনায় ছিলেন না তিনি। কিন্তু আলবিসেলেস্তেদের সোনালি ট্রফি জয়ে পরে ঠিকই রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এর মধ্যে মেক্সিকোর বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে লিওনেল মেসির অ্যাসিস্টে গোলও করেন তিনি।

এসব নিয়েই আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম টিওআইসি স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেছেন ফার্নান্দেস। মেক্সিকোর সঙ্গে ওই গোল নিয়ে তিনি বলেন, ‘কর্নারের আগে আমাকে ওখানে গিয়ে খেলতে বলেছিল মেসি। যখন আমি বল পাই, সামনে একজন ডিফেন্ডার ছিল। আমি তার মুখোমুখি হয়েছি আর গোলে মেরেছি বল। আমি তখন উদযাপনে ব্যস্ত, মেসি আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো দেখেছো আমি কী বলেছি! এটা ছিল খুবই রোমাঞ্চকর ব্যাপার।’

এ সময় মেসিকে নিয়ে বলতে গিয়ে ফার্নান্দেস বলছিলেন, ‘যখনই আমি মেসিকে নিয়ে কথা বলি, আমার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায়। আমার ও সবার সঙ্গে সে যেমন মানুষ, এর জন্য আমি তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আর্জেন্টাইনদের জন্য মেসি যা করেছে, তা ব্যাখ্যা করার জন্য কোনো শব্দই যথেষ্ট না।’

কাতার বিশ্বকাপ শুরুর মাস ছয়েক আগে আর্জেন্টােইন ক্লাব রিভার প্লেট ছেড়ে বেনফিকাতে যোগ দেন ফার্নান্দেস। এরপর বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার আগেও ছিল নানা সমীকরণ। পরে ফার্নান্দেস জিতেছেন বিশ্বকাপের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন শুনে কান্না করেছেন বলে জানান এই আর্জেন্টাইন।

তিনি বলেছেন, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর এক সপ্তাহ আগে আমি জানতে পেরেছি বিশ্বকাপে যাচ্ছি। শুনেই কান্না শুরু করেছিলাম। কোনো এক সময় আমি ঘরে শান্ত অবস্থায় থাকবো, ‍ইউটিউবে ম্যাচের হাইলাইটস দেখবো। সবকিছু ছিল পাগলাটে, আমি খুব আবেগী হয়ে পড়ি।’

এদিকে এমবাপ্পের সঙ্গে মাঠে কথা কাটাকাটি নিয়ে ফার্নান্দেস বলেছেন, ‘মাঠে আমাদের কিছু কথাবার্তা হয়েছে। আমি চাই না মাঠের কথা এখানে বলতে। সে আমাকে কিছু একটা বলেছিল, সেটা মাঠেই আছে। কুটি (ক্রিস্তিয়ান রোমেরো) পাগলাটে। সে গিয়ে ওর মুখে উদযাপন করেছে! এমবাপ্পে দারুণ খেলোয়াড়, সবার জন্য উদাহরণ। বিশ্বমানের, তার এখনও অনেক কিছু দেওয়ার বাকি আছে।’