ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
প্রশাসনে বড় রদবদল: ৫ সচিবসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর ইসরায়েলি হাসপাতালে ইরানের ক্লাস্টার বোমা! নেতানিয়াহুর হুংকার, ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’ ইসরায়েলে ইরানের ভয়াবহ হামলা, তেল আবিব ও হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন বৃষ্টি চেক ডিজঅনার মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান-এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইরানের হামলায় আতঙ্ক, দেশ ছাড়তে সিনাইয়ে ইসরায়েলিদের ভিড় ছয় দিনের যুদ্ধ বনাম সাত দিনের প্রতিরোধ: ‘এইবার নয়’—ইতিহাসকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ইরান? ‘কেউই রেহাই পাবে না’: খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর ‘ইরান এখনো তার সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বেরই করেনি’: তাসনিম নিউজ তারেক রহমান মানুষের স্বপ্ন পূরণের ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হয়েছেন: দুদু ইসরাইলি আগ্রাসন রুখে দিতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি ছারছীনা পীরের আহ্বান

পাবনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, অভিযুক্তদের পাল্টা দাবি আত্মীয়তার জেরে মীমাংসা চেষ্টা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৪:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের কালীবাড়ি মহল্লায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ির মালিকের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির ছয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রথমে ২০ হাজার এবং পরে আরও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী আশরাফুল আলম আরিফের স্ত্রী মাকসুদা পারভীন মুন গত মঙ্গলবার (২০ মে) ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযুক্তরা হলেন: ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব হোসেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলিমুদ্দিন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মানিক হোসেন, আকতার হোসেন এবং সরপু আলী। তারা সবাই একই পৌরসভার বাসিন্দা।

অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। গত ৫ মে আরিফকে হুমকি দিয়ে ২০ হাজার টাকা আদায় করেন, যা ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মানিক হোসেন সরাসরি আরিফের দোকানে গিয়ে গ্রহণ করেন। এ সংক্রান্ত সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে বলে দাবি করেন মাকসুদা পারভীন।

পরে গত ১৯ মে পুনরায় ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়, আর তাতে সাড়া না দিলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা ব্যাখ্যা দিয়েছেন অভিযুক্ত মানিক হোসেন। তিনি দাবি করেন, আরিফ তার চাচা এবং পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পৌরসভা থেকে কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। আপস-মীমাংসার জন্য কিছু বাজার করে দেওয়ার অনুরোধে আরিফ তাকে ১০ হাজার টাকা দেন, সেটিকেই ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

মানিকের ভাষায়, “এটি বিএনপি নেতাদের ফাঁসাতে সাজানো নাটক। আমি সবকিছু রফিকুল ও মোতালেব ভাইকে জানিয়েছি।”
পুলিশ বলছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনে বড় রদবদল: ৫ সচিবসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

পাবনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ, অভিযুক্তদের পাল্টা দাবি আত্মীয়তার জেরে মীমাংসা চেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের কালীবাড়ি মহল্লায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ির মালিকের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির ছয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রথমে ২০ হাজার এবং পরে আরও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী আশরাফুল আলম আরিফের স্ত্রী মাকসুদা পারভীন মুন গত মঙ্গলবার (২০ মে) ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযুক্তরা হলেন: ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব হোসেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলিমুদ্দিন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মানিক হোসেন, আকতার হোসেন এবং সরপু আলী। তারা সবাই একই পৌরসভার বাসিন্দা।

অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। গত ৫ মে আরিফকে হুমকি দিয়ে ২০ হাজার টাকা আদায় করেন, যা ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মানিক হোসেন সরাসরি আরিফের দোকানে গিয়ে গ্রহণ করেন। এ সংক্রান্ত সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে বলে দাবি করেন মাকসুদা পারভীন।

পরে গত ১৯ মে পুনরায় ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়, আর তাতে সাড়া না দিলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা ব্যাখ্যা দিয়েছেন অভিযুক্ত মানিক হোসেন। তিনি দাবি করেন, আরিফ তার চাচা এবং পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পৌরসভা থেকে কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। আপস-মীমাংসার জন্য কিছু বাজার করে দেওয়ার অনুরোধে আরিফ তাকে ১০ হাজার টাকা দেন, সেটিকেই ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

মানিকের ভাষায়, “এটি বিএনপি নেতাদের ফাঁসাতে সাজানো নাটক। আমি সবকিছু রফিকুল ও মোতালেব ভাইকে জানিয়েছি।”
পুলিশ বলছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।