ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র উন্মুক্ত মাঠে এবছরের সব তাফসির মাহফিল স্থগিত ঘোষণা করলেন মিজানুর রহমান আজহারী আরিফিন শুভর রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ফিরিয়ে দিতে বললেন পরিচালক শেখ হাসিনা ও আ. লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: প্রেসসচিব দুর্নীতি-দুঃশাসন মুক্তিতে কারও সাথে আপস করবে না জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান জবিতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে জমকালো কাওয়ালি সন্ধ্যা দলগুলো না পারলে গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: প্রেস সচিব কিছু ভুলের জন্য এনসিপিকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে: জিল্লুর রহমান মিশরের উদ্দেশ্যে এনসিপি নেতা সারজিস আলম  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় খুন হন ছাত্রদল নেতা সাম্য

নারীর ছদ্মবেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন: সাবেক সিআইএ কর্মকর্তার চাঞ্চল্যকর দাবি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:১১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩০০ বার পড়া হয়েছে

 

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানের তোরা বোরা পাহাড়ে আল-কায়েদা প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে অভিযান চালায় মার্কিন বাহিনী। কিন্তু সেই অভিযানে মার্কিন বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে নারীর ছদ্মবেশে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে যান বিন লাদেন—সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মকর্তা জন কিরিয়াকু।

১৫ বছর সিআইএতে কাজ করা এবং পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নেতৃত্বদানকারী কিরিয়াকু ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, তখন তারা বুঝতেই পারেননি যে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডারের অনুবাদক আসলে আল-কায়েদার হয়ে অনুপ্রবেশকারী একজন সদস্য ছিলেন।

তিনি বলেন, “২০০১ সালের অক্টোবরে আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে বিন লাদেন তোরা বোরা পাহাড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আমরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক তখনই আল-কায়েদা দাবি করে নারী ও শিশুদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ভোর পর্যন্ত সময় দিতে।”

সাবেক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ওই অনুবাদকের পরামর্শে যুক্তরাষ্ট্র সময় দেয়। আর সেই সুযোগে বিন লাদেন নারীর পোশাক পরে অন্ধকারে একটি পিকআপ ট্রাকের পেছনে করে পাকিস্তানে পালিয়ে যান।

কিরিয়াকুর বর্ণনায়, “ভোর হলে দেখা যায় আত্মসমর্পণের জন্য কেউ নেই। সবাই পালিয়ে গেছে। ফলে আমাদের লড়াই পাকিস্তানে স্থানান্তর করতে হয়।”

পরে ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিন লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন বিশেষ বাহিনী।


 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র

নারীর ছদ্মবেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন: সাবেক সিআইএ কর্মকর্তার চাঞ্চল্যকর দাবি

আপডেট সময় ১০:১১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

 

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানের তোরা বোরা পাহাড়ে আল-কায়েদা প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে অভিযান চালায় মার্কিন বাহিনী। কিন্তু সেই অভিযানে মার্কিন বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে নারীর ছদ্মবেশে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে যান বিন লাদেন—সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মকর্তা জন কিরিয়াকু।

১৫ বছর সিআইএতে কাজ করা এবং পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নেতৃত্বদানকারী কিরিয়াকু ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, তখন তারা বুঝতেই পারেননি যে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডারের অনুবাদক আসলে আল-কায়েদার হয়ে অনুপ্রবেশকারী একজন সদস্য ছিলেন।

তিনি বলেন, “২০০১ সালের অক্টোবরে আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে বিন লাদেন তোরা বোরা পাহাড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আমরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক তখনই আল-কায়েদা দাবি করে নারী ও শিশুদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ভোর পর্যন্ত সময় দিতে।”

সাবেক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ওই অনুবাদকের পরামর্শে যুক্তরাষ্ট্র সময় দেয়। আর সেই সুযোগে বিন লাদেন নারীর পোশাক পরে অন্ধকারে একটি পিকআপ ট্রাকের পেছনে করে পাকিস্তানে পালিয়ে যান।

কিরিয়াকুর বর্ণনায়, “ভোর হলে দেখা যায় আত্মসমর্পণের জন্য কেউ নেই। সবাই পালিয়ে গেছে। ফলে আমাদের লড়াই পাকিস্তানে স্থানান্তর করতে হয়।”

পরে ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিন লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন বিশেষ বাহিনী।