ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ সালাউদ্দিনকে ‘গডফাদার’ ডাকায় উত্তাল কক্সবাজার, এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর চাঁদা নেব না, নিতেও দেব না: জামায়াত আমির বক্তব্যের মাঝে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির মজলুমরা আজ জালিম হয়ে উঠছে: নুর জামায়াতের সমাবেশে দাওয়াত পায়নি বিএনপি বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের জায়গা হবে না: জামায়াতের সমাবেশে সারজিস উগান্ডায় বোম পড়লেও কি বিএনপির দোষ?: পার্থ বর্তমানে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নেই, এটি একটি মাফিয়া চক্রে পরিণত: সোহেল তাজ ভারতের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আমার ছেলে শহীদ হয়: আবরার ফাহাদের বাবা

মা স্ট্রোক করেছেন, তাই দেরি… পরীক্ষায় বসতে না পেরে কাঁদলেন আয়েশা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:৫১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • ৫১৫ বার পড়া হয়েছে

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনেই মর্মান্তিক একটি ঘটনা আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী আয়েশা, কারণ তিনি কেন্দ্রে পৌঁছান নির্ধারিত সময়ের পরে—তার মা সকালে স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায়।

পরীক্ষা শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কেন্দ্রে পৌঁছান আয়েশা। সঙ্গে ছিলেন তার খালা। পরীক্ষার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো মানবিক বিবেচনা না করেই তাকে পরীক্ষায় বসতে দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।আয়েশার খালা জানান, “আয়েশার বাবা নেই। আজ সকালে তার মা স্ট্রোক করেন। হাসপাতালে ভর্তির পর আমরা দৌড়ে কেন্দ্রে এসেছি। কিন্তু দেরি হওয়ায় তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। আমি অনেক অনুরোধ করেছি, কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেননি।”

ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন—শিক্ষা কী কেবল নিয়মের জন্য, নাকি মানুষের জন্য?ঘটনার পরপরই সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস (কাজল) নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে আয়েশাকে আইনি সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

তিনি লেখেন:

“আজ মিস হওয়া পরীক্ষা তিনি দিতে পারবেন। আশা করি, শিক্ষা বোর্ড ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বিষয়টি বিবেচনা করে তার পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যদি তারা না করে, তবে হাইকোর্ট বিভাগের দ্বার আয়েশার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, অতীতেও সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বহু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছেন, এমনকি রেজিস্ট্রেশন না থাকা অবস্থাতেও।

‘আয়েশার পাশে আছি, বিনা পারিশ্রমিকে আইনি সহায়তা দেব’
পোস্টের শেষাংশে ব্যারিস্টার কাজল লিখেছেন,

“আয়েশা বা তার পরিবার চাইলে আমার চেম্বার থেকে তাকে বিনা পারিশ্রমিকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে।”

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ

মা স্ট্রোক করেছেন, তাই দেরি… পরীক্ষায় বসতে না পেরে কাঁদলেন আয়েশা

আপডেট সময় ১০:৫১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনেই মর্মান্তিক একটি ঘটনা আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী আয়েশা, কারণ তিনি কেন্দ্রে পৌঁছান নির্ধারিত সময়ের পরে—তার মা সকালে স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায়।

পরীক্ষা শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কেন্দ্রে পৌঁছান আয়েশা। সঙ্গে ছিলেন তার খালা। পরীক্ষার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো মানবিক বিবেচনা না করেই তাকে পরীক্ষায় বসতে দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।আয়েশার খালা জানান, “আয়েশার বাবা নেই। আজ সকালে তার মা স্ট্রোক করেন। হাসপাতালে ভর্তির পর আমরা দৌড়ে কেন্দ্রে এসেছি। কিন্তু দেরি হওয়ায় তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। আমি অনেক অনুরোধ করেছি, কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেননি।”

ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন—শিক্ষা কী কেবল নিয়মের জন্য, নাকি মানুষের জন্য?ঘটনার পরপরই সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস (কাজল) নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে আয়েশাকে আইনি সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

তিনি লেখেন:

“আজ মিস হওয়া পরীক্ষা তিনি দিতে পারবেন। আশা করি, শিক্ষা বোর্ড ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বিষয়টি বিবেচনা করে তার পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যদি তারা না করে, তবে হাইকোর্ট বিভাগের দ্বার আয়েশার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, অতীতেও সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বহু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছেন, এমনকি রেজিস্ট্রেশন না থাকা অবস্থাতেও।

‘আয়েশার পাশে আছি, বিনা পারিশ্রমিকে আইনি সহায়তা দেব’
পোস্টের শেষাংশে ব্যারিস্টার কাজল লিখেছেন,

“আয়েশা বা তার পরিবার চাইলে আমার চেম্বার থেকে তাকে বিনা পারিশ্রমিকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে।”