এশিয়া কাপে পাকিস্তানের কাছে ১১ রানে হেরে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগেছে দলটি। সবচেয়ে বেশি সমালোচনায় আছেন উইকেটকিপার-ব্যাটার জাকের আলি অনিক। ৬ ম্যাচে ৬৬ বল খেলে কোনো ছক্কা মারতে পারেননি তিনি। রান করেছেন মাত্র ৭১, স্ট্রাইক রেট ১০৭.৫৭। চার এসেছে কেবল ৫টি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪১ রানের ইনিংস ছাড়া বাকিটা সময় ছিলেন একেবারেই ফ্লপ। অথচ এশিয়া কাপ শুরুর আগে পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছিলেন জাকের।
অন্যদিকে সবার হতাশার মাঝে আলো ছড়িয়েছেন সাইফ হাসান। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই ব্যাটার নতুন রূপে ফিরেছেন এবারের এশিয়া কাপে। ৪ ম্যাচে ৪৪.৫০ গড় ও ১২৮.০৫ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৭৮ রান। যা বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ এবং টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।
শুধু রানেই নয়, ছক্কা মারাতেও নজর কেড়েছেন তিনি। এবারের আসরে ১২টি ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশের হয়ে এক আসরে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড গড়েছেন সাইফ। এখন পর্যন্ত পুরো টুর্নামেন্টে তার চেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন কেবল ভারতীয় ওপেনার অভিষেক শর্মা (১৭)।
বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩টি করে ছক্কা রয়েছে তানজিদ হাসান তামিম, শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে। পারভেজ হোসেন মেরেছেন ২টি ছক্কা। টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ইতিহাসেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এখন সাইফের দখলে। তার ১২ ছক্কা টুর্নামেন্টের সামগ্রিক তালিকায় পঞ্চম সর্বোচ্চ। এর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ছিল ৭ ছক্কা, সাব্বির রহমানের ৫টি।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও সাইফ হাসানের উজ্জ্বল উপস্থিতিই এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের একমাত্র বড় প্রাপ্তি।