ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ সালাউদ্দিনকে ‘গডফাদার’ ডাকায় উত্তাল কক্সবাজার, এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর চাঁদা নেব না, নিতেও দেব না: জামায়াত আমির বক্তব্যের মাঝে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির মজলুমরা আজ জালিম হয়ে উঠছে: নুর জামায়াতের সমাবেশে দাওয়াত পায়নি বিএনপি বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের জায়গা হবে না: জামায়াতের সমাবেশে সারজিস উগান্ডায় বোম পড়লেও কি বিএনপির দোষ?: পার্থ বর্তমানে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নেই, এটি একটি মাফিয়া চক্রে পরিণত: সোহেল তাজ ভারতের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আমার ছেলে শহীদ হয়: আবরার ফাহাদের বাবা

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন ৫০০ মানুষ, ইসরায়েলি সেনার স্বীকারোক্তি: “এটা ছিল হত্যাযজ্ঞের মাঠ”

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গাজার মানুষের জন্য চালু হওয়া বিতর্কিত ‘গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন’ কার্যক্রমে নিহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এসব মানুষ সবাই ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে এই ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে পরিকল্পিত সহিংসতা ও নির্বিচারে মানুষ হত্যার চিত্র। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘হারেৎজ’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সেনা জানান, ত্রাণ নিতে আসা সাধারণ মানুষকে শত্রু হিসেবে দেখা হতো, আর তাদের দমন করতে কোনো নন-লেথাল অস্ত্র নয়, বরং সরাসরি গুলি, মেশিন গান, গ্রেনেড লঞ্চার ও কামান ব্যবহার করা হতো।

একজন সেনা বলেন,

“এটা ছিল একেবারে হত্যাযজ্ঞের মাঠ। আমি যেখানে মোতায়েন ছিলাম, সেখানে প্রতিদিন এক থেকে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে। এসব মানুষ কোনোভাবেই আমাদের জন্য ঝুঁকির কারণ ছিল না। তারা কেবল খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল।”

তিনি আরও জানান,

“আমরা কাঁদানে গ্যাস, জলকামান—এই ধরনের ভিড় নিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় ব্যবহার করিনি। গুলি ছিল আমাদের একমাত্র যোগাযোগের ভাষা।”

তার ভাষ্য অনুযায়ী, ত্রাণের আশায় ভোরবেলা লাইনে দাঁড়ানো মানুষদেরও কয়েকশ মিটার দূর থেকে গুলি করা হতো, আবার অনেক সময় একেবারে কাছ থেকেও গুলি চালানো হতো। তবু তিনি জোর দিয়ে বলেন,

“আমি যতদূর জানি, ত্রাণ নিতে আসা কারও কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। কেউ গুলি ছোড়েনি। সেখানে কোনো যুদ্ধ চলছিল না—সেখানে ছিল শুধু ক্ষুধার্ত মানুষ।”

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন ৫০০ মানুষ, ইসরায়েলি সেনার স্বীকারোক্তি: “এটা ছিল হত্যাযজ্ঞের মাঠ”

আপডেট সময় ১০:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গাজার মানুষের জন্য চালু হওয়া বিতর্কিত ‘গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন’ কার্যক্রমে নিহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এসব মানুষ সবাই ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে এই ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে পরিকল্পিত সহিংসতা ও নির্বিচারে মানুষ হত্যার চিত্র। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘হারেৎজ’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সেনা জানান, ত্রাণ নিতে আসা সাধারণ মানুষকে শত্রু হিসেবে দেখা হতো, আর তাদের দমন করতে কোনো নন-লেথাল অস্ত্র নয়, বরং সরাসরি গুলি, মেশিন গান, গ্রেনেড লঞ্চার ও কামান ব্যবহার করা হতো।

একজন সেনা বলেন,

“এটা ছিল একেবারে হত্যাযজ্ঞের মাঠ। আমি যেখানে মোতায়েন ছিলাম, সেখানে প্রতিদিন এক থেকে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে। এসব মানুষ কোনোভাবেই আমাদের জন্য ঝুঁকির কারণ ছিল না। তারা কেবল খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল।”

তিনি আরও জানান,

“আমরা কাঁদানে গ্যাস, জলকামান—এই ধরনের ভিড় নিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় ব্যবহার করিনি। গুলি ছিল আমাদের একমাত্র যোগাযোগের ভাষা।”

তার ভাষ্য অনুযায়ী, ত্রাণের আশায় ভোরবেলা লাইনে দাঁড়ানো মানুষদেরও কয়েকশ মিটার দূর থেকে গুলি করা হতো, আবার অনেক সময় একেবারে কাছ থেকেও গুলি চালানো হতো। তবু তিনি জোর দিয়ে বলেন,

“আমি যতদূর জানি, ত্রাণ নিতে আসা কারও কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। কেউ গুলি ছোড়েনি। সেখানে কোনো যুদ্ধ চলছিল না—সেখানে ছিল শুধু ক্ষুধার্ত মানুষ।”