ঢাকা , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
লকডাউন নিয়ে বিভক্ত আ.লীগ, হামলার ছক কষছে এক পক্ষ রাজশাহীতে টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে দগ্ধ ছাত্রদল নেতা শহীদুল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ঢাকায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, ‘লকডাউন’ ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি দিল্লিতে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠক: দেশ destabilize করার পরিকল্পনা ফাঁস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ স্থাপনায় তালা ঝুলিয়ে ‘লকডাউন সফল’ আহ্বান ছাত্রলীগের 🇸🇦 ২০২৬ সালের হজচুক্তি স্বাক্ষরিত: বাংলাদেশ থেকে ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজ পালন করবেন ১৩ নভেম্বর কী হবে ঢাকায়, চিন্তায় কলকাতার আ.লীগ নেতারাও লকডাউন’ রুখে দেয়ার ঘোষণা পুলিশের, কী করবে আওয়া’মী লী’গ? গণভোট না হলে ২০২৯ সালের নির্বাচন ফ্যাসিস্ট হাসিনার কথার মতো’ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ

২৮ অক্টোবর ২০০৬: রাজধানীর পল্টন-বায়তুল মোকাররমে ‘লগি-বৈঠা’ বৈঠকে নিহত ৬ জন — ১৯ বছর আজ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৯:৫৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৯৩ বার পড়া হয়েছে


২৮ অক্টোবর ২০০৬-র দিন ছিল বাংলাদেশের রাজনীতি­তে এক মর্মান্তিক অধ্যায়। ওই দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট দেশে ‘লগি-বৈঠা’ আন্দোলনের ডাক দেয়, তখনকার অর্থে বাংলাদেশ নবজাগরণ দল (বিএনপি) সরকারের মেয়াদের শেষদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে কে এম হাসান নিয়োগ রোধে।

সেসময় রাজধানীর পল্টন ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় একই দিনে কর্মসূচি ও সমাবেশ হয় বাংলাদেশ জামায়াতে‑ইসলামী-র পক্ষ থেকেও। তাদের কার্যক্রমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির উত্তাপ মিলেমিশে সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এক পর্যায়ে পল্টন এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় জামায়াতে-শিবিরের অন্তত ছয় নেতাকর্মীকে। এই ঘটনায় দেশ ও বিদেশে নিন্দার ঝড় উঠে। মামলাও হয়েছিল — কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

আজ সেই ১৯ বছর পূর্ণ হলো। নিহতদের স্মরণে জামায়াতে-ইসলামী বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে।


📌 সংক্ষেপে মূল বিষয়গুলো:

  • আন্দোলনের ডাক ছিল “লগি-বৈঠা” নামে যেটি মূলত বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার প্রসঙ্গ নিয়ে।
  • পল্টন-বায়তুল মোকাররম এলাকায় একই সময়ে দুই ধরণের সমাবেশ ও সংঘর্ষ সংঘটিত হয়।
  • মৃত্যুর সংখ্যা বা নির্ঘাত মৃতদের হদিস বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন হলেও জনসাধারণের মধ্যে বড় একটি ট্রমা হিসেবে দেখা হয়।
  • পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক বিচার ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিতর্ক আছে — মামলায় কার্যকর ফলাফল হয়নি এবং প্রত্যাহার করা হয়েছে।

 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লকডাউন নিয়ে বিভক্ত আ.লীগ, হামলার ছক কষছে এক পক্ষ

২৮ অক্টোবর ২০০৬: রাজধানীর পল্টন-বায়তুল মোকাররমে ‘লগি-বৈঠা’ বৈঠকে নিহত ৬ জন — ১৯ বছর আজ

আপডেট সময় ০৯:৫৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫


২৮ অক্টোবর ২০০৬-র দিন ছিল বাংলাদেশের রাজনীতি­তে এক মর্মান্তিক অধ্যায়। ওই দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট দেশে ‘লগি-বৈঠা’ আন্দোলনের ডাক দেয়, তখনকার অর্থে বাংলাদেশ নবজাগরণ দল (বিএনপি) সরকারের মেয়াদের শেষদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে কে এম হাসান নিয়োগ রোধে।

সেসময় রাজধানীর পল্টন ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় একই দিনে কর্মসূচি ও সমাবেশ হয় বাংলাদেশ জামায়াতে‑ইসলামী-র পক্ষ থেকেও। তাদের কার্যক্রমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির উত্তাপ মিলেমিশে সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এক পর্যায়ে পল্টন এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় জামায়াতে-শিবিরের অন্তত ছয় নেতাকর্মীকে। এই ঘটনায় দেশ ও বিদেশে নিন্দার ঝড় উঠে। মামলাও হয়েছিল — কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

আজ সেই ১৯ বছর পূর্ণ হলো। নিহতদের স্মরণে জামায়াতে-ইসলামী বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে।


📌 সংক্ষেপে মূল বিষয়গুলো:

  • আন্দোলনের ডাক ছিল “লগি-বৈঠা” নামে যেটি মূলত বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার প্রসঙ্গ নিয়ে।
  • পল্টন-বায়তুল মোকাররম এলাকায় একই সময়ে দুই ধরণের সমাবেশ ও সংঘর্ষ সংঘটিত হয়।
  • মৃত্যুর সংখ্যা বা নির্ঘাত মৃতদের হদিস বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন হলেও জনসাধারণের মধ্যে বড় একটি ট্রমা হিসেবে দেখা হয়।
  • পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক বিচার ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিতর্ক আছে — মামলায় কার্যকর ফলাফল হয়নি এবং প্রত্যাহার করা হয়েছে।