২৮ অক্টোবর ২০০৬-র দিন ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক মর্মান্তিক অধ্যায়। ওই দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট দেশে ‘লগি-বৈঠা’ আন্দোলনের ডাক দেয়, তখনকার অর্থে বাংলাদেশ নবজাগরণ দল (বিএনপি) সরকারের মেয়াদের শেষদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে কে এম হাসান নিয়োগ রোধে।
সেসময় রাজধানীর পল্টন ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় একই দিনে কর্মসূচি ও সমাবেশ হয় বাংলাদেশ জামায়াতে‑ইসলামী-র পক্ষ থেকেও। তাদের কার্যক্রমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির উত্তাপ মিলেমিশে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এক পর্যায়ে পল্টন এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় জামায়াতে-শিবিরের অন্তত ছয় নেতাকর্মীকে। এই ঘটনায় দেশ ও বিদেশে নিন্দার ঝড় উঠে। মামলাও হয়েছিল — কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
আজ সেই ১৯ বছর পূর্ণ হলো। নিহতদের স্মরণে জামায়াতে-ইসলামী বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে।
📌 সংক্ষেপে মূল বিষয়গুলো:
- আন্দোলনের ডাক ছিল “লগি-বৈঠা” নামে যেটি মূলত বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার প্রসঙ্গ নিয়ে।
- পল্টন-বায়তুল মোকাররম এলাকায় একই সময়ে দুই ধরণের সমাবেশ ও সংঘর্ষ সংঘটিত হয়।
- মৃত্যুর সংখ্যা বা নির্ঘাত মৃতদের হদিস বিভিন্ন সূত্রে ভিন্ন হলেও জনসাধারণের মধ্যে বড় একটি ট্রমা হিসেবে দেখা হয়।
- পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক বিচার ও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিতর্ক আছে — মামলায় কার্যকর ফলাফল হয়নি এবং প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ডেস্ক রিপোর্ট 



















