জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত যে কোনো আদেশ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্বাক্ষরে প্রকাশ করতে হবে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে সেই আদেশ বৈধতা পাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর পর্যটন মোটেলে রাজশাহী বিভাগের আট জেলা ও মহানগর সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকের আগে এসব কথা বলেন নাহিদ।
তিনি বলেন, “জুলাই সনদে স্বাক্ষরের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। গণভোটের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ড. ইউনূস এই আদেশে স্বাক্ষর করবেন। বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির এমন আদেশ সাংঘর্ষিক হবে।”
তিনি আরও জানান, সংস্কারের বিপক্ষে থাকা বা ইতিহাসে দায়বদ্ধ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এনসিপি জোট করবে না। “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কোনো শক্তির সঙ্গে জোট হওয়া যায় না। সব সিদ্ধান্ত হবে কঠোর নীতিমালার ভিত্তিতে,” যোগ করেন তিনি।
এনসিপিকে নির্বাচন প্রতীক ‘শাপলা’ না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারিতা উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, “রাজনৈতিক কার্যক্রম ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে শাপলা প্রতীক আটকে রাখা হচ্ছে। যদি আদায় করতেই হয়, তা রাজপথেই হবে।”
নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী ও বৈদেশিক শক্তি নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করতে পারে। আওয়ামী লীগ ও কিছু বহিরাগত শক্তি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালাতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবার আগের মতো নয়। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
এ সময় এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আওয়ামী লীগ বা ভারতের প্রভাবের প্রশ্নে জামায়াত-বিএনপির একক নেতৃত্বে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ এগোতে পারবে না। তরুণ ও নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণই সামনে পরিবর্তনের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভায় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা, সিনিয়র যুগ্ম-মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদসহ রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ডেস্ক রিপোর্ট 



















