ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
মিশরের উদ্দেশ্যে এনসিপি নেতা সারজিস আলম  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় খুন হন ছাত্রদল নেতা সাম্য বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে শিলিগুঁড়ি করিডরে তিন সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত আগামী ১৫ নভেম্বর বদলে যাচ্ছে পুলিশ ইউনিফর্ম! সরাসরি করাচি-চট্টগ্রাম শিপিং চালু করলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’ বিএনপির সঙ্গে জোট নয়, একক নির্বাচনের চিন্তা এনসিপির ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মনোনয়ন না পেয়ে ধানক্ষেতে ‘রিভিউ’ দেখালেন বিএনপি নেতা নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে দেশের মানুষ রাখাল রাজা শহীদ জিয়ার দলকেই বিজয়ী করবে: শিমুল বিশ্বাস

ইতালি প্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৮০৪ বার পড়া হয়েছে

ইতালিতে থাকা স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শামীম আকতার (৪০) নামে এক যুবক।

 

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

মৃত শামীম আকতার ওই গ্রামের পজির উদ্দীনের ছেলে। স্থানীয় নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের কারণে এলাকায় তিনি নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

 

শামীমের ভাই জাপান জানান, ইতালি থেকে তার ভাবী মোবাইল ফোনে প্রথম শামীমের আত্মহত্যার চেষ্টার খবর দেন। স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখেই শামীম ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুত বাজার থেকে বাড়িতে ছুটে এলেও দরজা ও জানালার গ্রিল বন্ধ থাকায় ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে শামীমকে ঝুলন্ত পাওয়া যায়। তবে ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়।

 

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে শামীম আকতার এবং তার স্ত্রী মুক্তা আক্তার ইতালিতে যাওয়ার জন্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করেন। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে মুক্তা আক্তার যেতে পারলেও স্বামী শামীম আটকে যান। এই জটিলতা কাটিয়ে তিনিও দ্রুত স্ত্রীর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

 

এদিকে, ইতালিতে মুক্তা আক্তার এখনো কোনো কাজ জোগাড় করতে পারেননি। স্ত্রীর ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে শামীমকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা পাঠাতে হত। বিদেশ যাওয়ার বিপুল পরিমাণ ঋণ এবং মাসিক এই মোটা অঙ্কের টাকা জোগাড়ের জন্য শামীম প্রচণ্ড মানসিক ও আর্থিক চাপের মধ্যে ছিলেন।

 

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে বলা সম্ভব হবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিশরের উদ্দেশ্যে এনসিপি নেতা সারজিস আলম 

ইতালি প্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় ১২:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

ইতালিতে থাকা স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শামীম আকতার (৪০) নামে এক যুবক।

 

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

মৃত শামীম আকতার ওই গ্রামের পজির উদ্দীনের ছেলে। স্থানীয় নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের কারণে এলাকায় তিনি নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

 

শামীমের ভাই জাপান জানান, ইতালি থেকে তার ভাবী মোবাইল ফোনে প্রথম শামীমের আত্মহত্যার চেষ্টার খবর দেন। স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখেই শামীম ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুত বাজার থেকে বাড়িতে ছুটে এলেও দরজা ও জানালার গ্রিল বন্ধ থাকায় ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে শামীমকে ঝুলন্ত পাওয়া যায়। তবে ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়।

 

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে শামীম আকতার এবং তার স্ত্রী মুক্তা আক্তার ইতালিতে যাওয়ার জন্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা খরচ করেন। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে মুক্তা আক্তার যেতে পারলেও স্বামী শামীম আটকে যান। এই জটিলতা কাটিয়ে তিনিও দ্রুত স্ত্রীর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

 

এদিকে, ইতালিতে মুক্তা আক্তার এখনো কোনো কাজ জোগাড় করতে পারেননি। স্ত্রীর ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে শামীমকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা পাঠাতে হত। বিদেশ যাওয়ার বিপুল পরিমাণ ঋণ এবং মাসিক এই মোটা অঙ্কের টাকা জোগাড়ের জন্য শামীম প্রচণ্ড মানসিক ও আর্থিক চাপের মধ্যে ছিলেন।

 

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে বলা সম্ভব হবে।