ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ সালাউদ্দিনকে ‘গডফাদার’ ডাকায় উত্তাল কক্সবাজার, এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর চাঁদা নেব না, নিতেও দেব না: জামায়াত আমির বক্তব্যের মাঝে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির মজলুমরা আজ জালিম হয়ে উঠছে: নুর জামায়াতের সমাবেশে দাওয়াত পায়নি বিএনপি বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের জায়গা হবে না: জামায়াতের সমাবেশে সারজিস উগান্ডায় বোম পড়লেও কি বিএনপির দোষ?: পার্থ বর্তমানে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নেই, এটি একটি মাফিয়া চক্রে পরিণত: সোহেল তাজ ভারতের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আমার ছেলে শহীদ হয়: আবরার ফাহাদের বাবা

‘পিস্তল কেন, মিসাইল রাখলেও কেউ নিরাপদ নই’—সিসিটিভি ফুটেজ বিদেশে পৌঁছানোয় ক্ষুব্ধ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৮:৩০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • ২২৬ বার পড়া হয়েছে

বিমানবন্দরে নিজের ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন মেলায় সৃষ্ট বিতর্কের পর ফেসবুকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। সোমবার (৩০ জুন) সকালের স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “পিস্তল কেন, মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি‑আপনি কেউই নিরাপদ নই।”

তার মূল উদ্বেগ—হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ মুহূর্তের মধ্যে “বিদেশে অবস্থানরত কারও হাতে” পৌঁছে যাওয়া। আসিফের ভাষায়, এজেন্সির ভেতর থেকেই এসব ফুটেজ পাচার হচ্ছে, যা “রীতিমতো ভয়ংকর” এবং যে‑কোনো দেশি‑বিদেশি সন্ত্রাসী বা গুপ্তচর চক্রের হাতে বাংলাদেশের রিয়েল‑টাইম লোকেশন ও সেনসিটিভ তথ্য তুলে দিতে পারে।

সরকারি পদে থেকেও এমন পরিস্থিতির শিকার হওয়ায় তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমি সরকারে আছি—আমার সঙ্গেই যদি এমন ঘটে, সাধারণ নাগরিকদের অবস্থা কেমন হবে?” এই তথাকথিত “তথ্য সন্ত্রাসীদের” দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিও করেন তিনি।

স্ট্যাটাসে আসিফ অভিযোগ করেন, যাদের কাজ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা, তারা বিপুল রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যয় করে এখন নাগরিকদের ওপর নজরদারিতেই ব্যস্ত; চরিত্রহননের জন্য “উদ্ভট ও হাস্যকর” বিষয়কে হাতিয়ার করছে। তার মতে, “গণ‑অভ্যুত্থান” ঘিরে ক্ষমতাসীন মহলের কিছু বক্তব্যের সঙ্গে “হাসিনপুত্রের” বক্তব্যের আর পার্থক্য নেই।

তবে তিনি আশাবাদী—আজকের বাংলাদেশ “পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন”। আন্দোলনের নেতৃত্বে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে দায়ী কারা, তা জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আসিফ।

এ ঘটনার পর থেকে বিমানবন্দর ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা প্রটোকল, বিশেষ করে সিসিটিভি ডেটা প্রবাহ ও সংরক্ষণব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরুর আভাস মিলেছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ

‘পিস্তল কেন, মিসাইল রাখলেও কেউ নিরাপদ নই’—সিসিটিভি ফুটেজ বিদেশে পৌঁছানোয় ক্ষুব্ধ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব

আপডেট সময় ০৮:৩০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

বিমানবন্দরে নিজের ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন মেলায় সৃষ্ট বিতর্কের পর ফেসবুকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। সোমবার (৩০ জুন) সকালের স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “পিস্তল কেন, মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি‑আপনি কেউই নিরাপদ নই।”

তার মূল উদ্বেগ—হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ মুহূর্তের মধ্যে “বিদেশে অবস্থানরত কারও হাতে” পৌঁছে যাওয়া। আসিফের ভাষায়, এজেন্সির ভেতর থেকেই এসব ফুটেজ পাচার হচ্ছে, যা “রীতিমতো ভয়ংকর” এবং যে‑কোনো দেশি‑বিদেশি সন্ত্রাসী বা গুপ্তচর চক্রের হাতে বাংলাদেশের রিয়েল‑টাইম লোকেশন ও সেনসিটিভ তথ্য তুলে দিতে পারে।

সরকারি পদে থেকেও এমন পরিস্থিতির শিকার হওয়ায় তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমি সরকারে আছি—আমার সঙ্গেই যদি এমন ঘটে, সাধারণ নাগরিকদের অবস্থা কেমন হবে?” এই তথাকথিত “তথ্য সন্ত্রাসীদের” দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিও করেন তিনি।

স্ট্যাটাসে আসিফ অভিযোগ করেন, যাদের কাজ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা, তারা বিপুল রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যয় করে এখন নাগরিকদের ওপর নজরদারিতেই ব্যস্ত; চরিত্রহননের জন্য “উদ্ভট ও হাস্যকর” বিষয়কে হাতিয়ার করছে। তার মতে, “গণ‑অভ্যুত্থান” ঘিরে ক্ষমতাসীন মহলের কিছু বক্তব্যের সঙ্গে “হাসিনপুত্রের” বক্তব্যের আর পার্থক্য নেই।

তবে তিনি আশাবাদী—আজকের বাংলাদেশ “পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন”। আন্দোলনের নেতৃত্বে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে দায়ী কারা, তা জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আসিফ।

এ ঘটনার পর থেকে বিমানবন্দর ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা প্রটোকল, বিশেষ করে সিসিটিভি ডেটা প্রবাহ ও সংরক্ষণব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরুর আভাস মিলেছে।