ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পল্লবীতে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে গুলি ও হামলা, আহত ১ চকবাজারে ব্যবসায়ী হত্যা: বিচারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ ‘চাঁদাবাজদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে জাহান্নামের চৌরাস্তায় পাঠিয়ে দেয়া হবে’ ৫ কোটি টাকা চাঁদার দাবিতে বাস ভাংচুর, যুবদল নেতা দল থেকে বহিষ্কার খালি নির্বাচন নির্বাচন করেন, খুনি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না কেন?: বিএনপিকে জামায়াত নেতা রফিকুল ইরানের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রকে ছোট করে দেখা পশ্চিমাদের বড় ভুল: ফ্রান্স ছাত্রদল শহীদ পরিবারের পাশে সন্তানের মতো থাকবে: রাকিব তারা ভেবেছিল, কয়েকটি আসনের লোভ দেখিয়ে আমাদের কিনে নেবে: নাহিদ ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড: ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন গাজী ‘তারা প্রতি মাসে দুই লাখ করে টাকা চায়, না দেওয়ায় মেরেই ফেললো’

‘স্বৈরাচারের কাছে মাথানত করিনি’ — তরুণ আন্দোলননেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৯:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠকদের মধ্যে সাহসী ও চিন্তাশীল নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী ছাত্র হিসেবেই তার রাজনৈতিক সক্রিয়তার সূচনা, কিন্তু অল্প সময়েই তিনি হয়ে ওঠেন জাতীয় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের অন্যতম মুখ।

২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গড়ে ওঠা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর প্রধান সমন্বয়কারীদের একজন ছিলেন হাসনাত। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়, তার কেন্দ্রীয় চরিত্রে উঠে আসেন এই তরুণ। রাজপথে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি বিতার্কিক হিসেবেও ছিল তার আলাদা খ্যাতি। শোষণবিরোধী যেকোনো আলোচনা-অনুষ্ঠানে তিনি যুক্তির দীপ্তি দিয়ে মন জয় করতেন সাধারণ মানুষের।

বাসস-এ দেওয়া এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা ৯ জুলাই ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করি, যেটা সারা দেশের ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পায়। সেই দিন দেখেছি—বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি স্মরণ করেন, কীভাবে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের শিকার হয়েছিলেন। পুলিশের হাতে বন্দিত্ব, নির্যাতন, ট্রমা—সবকিছুই মেনে নিয়েছিলেন দেশের মুক্তি ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার আশায়। “আমি শহীদ হতেও প্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু স্বৈরাচারের সামনে মাথানত করিনি,” বলেন হাসনাত।

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার গোপালনগর গ্রামের সন্তান হাসনাত তাঁর এলাকার তরুণদের মাঝেও অনুপ্রেরণার উৎস। একজন নেতৃত্বদানকারী সংগঠক হিসেবে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন।

তিনি মনে করেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব তরুণদের হাতে। এই রাষ্ট্র শুধু শহীদদের রক্তের ফসল নয়, এটি আমাদের আদর্শিক সংগ্রামেরও ফল। ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে হলে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে হবে।”

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পল্লবীতে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে গুলি ও হামলা, আহত ১

‘স্বৈরাচারের কাছে মাথানত করিনি’ — তরুণ আন্দোলননেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ

আপডেট সময় ০৯:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠকদের মধ্যে সাহসী ও চিন্তাশীল নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী ছাত্র হিসেবেই তার রাজনৈতিক সক্রিয়তার সূচনা, কিন্তু অল্প সময়েই তিনি হয়ে ওঠেন জাতীয় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের অন্যতম মুখ।

২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গড়ে ওঠা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর প্রধান সমন্বয়কারীদের একজন ছিলেন হাসনাত। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়, তার কেন্দ্রীয় চরিত্রে উঠে আসেন এই তরুণ। রাজপথে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি বিতার্কিক হিসেবেও ছিল তার আলাদা খ্যাতি। শোষণবিরোধী যেকোনো আলোচনা-অনুষ্ঠানে তিনি যুক্তির দীপ্তি দিয়ে মন জয় করতেন সাধারণ মানুষের।

বাসস-এ দেওয়া এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা ৯ জুলাই ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করি, যেটা সারা দেশের ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পায়। সেই দিন দেখেছি—বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি স্মরণ করেন, কীভাবে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের শিকার হয়েছিলেন। পুলিশের হাতে বন্দিত্ব, নির্যাতন, ট্রমা—সবকিছুই মেনে নিয়েছিলেন দেশের মুক্তি ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার আশায়। “আমি শহীদ হতেও প্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু স্বৈরাচারের সামনে মাথানত করিনি,” বলেন হাসনাত।

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার গোপালনগর গ্রামের সন্তান হাসনাত তাঁর এলাকার তরুণদের মাঝেও অনুপ্রেরণার উৎস। একজন নেতৃত্বদানকারী সংগঠক হিসেবে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন।

তিনি মনে করেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব তরুণদের হাতে। এই রাষ্ট্র শুধু শহীদদের রক্তের ফসল নয়, এটি আমাদের আদর্শিক সংগ্রামেরও ফল। ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে হলে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে হবে।”