ঢাকা , সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ডিবি অফিসে যাওয়া ব্যক্তির বট আইডিগুলো আগে বন্ধ করা দরকার খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ নরেন্দ্র মোদির নগরকান্দায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ সিআইডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা, পাবেন বিশেষ নিরাপত্তা নীলফামারীতে বিএনপি নেতা রাসুল (সা.)-এর হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা: “হকদারের হক আগে পূরণ করতে হবে” জামালপুর মাদারগঞ্জে জামায়াত নেতার বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার অনমনীয় অবস্থান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে: এটিএম আজহার ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন : নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিক নোমানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের জেলা আমির ‘হঠাৎ স্লোগান দিতে দিতে পিলখানায় ঢোকে ২৫ জন’

জীবনে আর কখনও খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন করব না: ডা. এজাজ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৩:১৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নাটক, সিনেমা ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে দীর্ঘদিন ধরে দর্শকের আস্থা অর্জন করেছেন অভিনেতা ও চিকিৎসক ডা. এজাজ। তবে সম্প্রতি ‘খাঁটি-ঘি’ নামের একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। পণ্যটির নিম্নমান ও প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় যেতে হয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরেও।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেন—ডা. এজাজকে দেখে তারা ‘খাঁটি-ঘি’ থেকে পণ্য কিনেছেন, কিন্তু পেয়েছেন নিম্নমানের ও ভেজাল দ্রব্য। এক ঢাকাই গ্রাহক বলেন, “অনলাইনে বিজ্ঞাপনে বিশ্বাস পাই না। কিন্তু এজাজ ভাইকে দেখে ভরসা করেছিলাম। পরে বুঝলাম প্রতারিত হয়েছি।”

বিষয়টি নজরে আসতেই ডা. এজাজ হতাশা প্রকাশ করেন। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, “ভোক্তা অধিদপ্তর আমাকে ডেকেছিল। তারা জানায়, আমাকে দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ভক্তদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। বিজ্ঞাপনের সময় আমাকে বিএসটিআইয়ের ছাড়পত্র দেখানো হয়েছিল। তাই আমি বিশ্বাস করেছিলাম।”

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক তাকে পণ্যের গায়ে বিএসটিআই লোগো দেখান। তাই ধরে নিয়েছিলেন যে পণ্যটি মানসম্মত ও পরীক্ষিত। কিন্তু অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তিনি এখন নিজেই ভোক্তা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

ডা. এজাজ বলেন, “যদি প্রতিষ্ঠানটি সত্যিই ভেজাল পণ্য দিয়ে থাকে, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ভোক্তার সাথে প্রতারণা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

এদিকে অভিযোগের পরও বিজ্ঞাপনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে। বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে প্রতিষ্ঠানটিকে অনুরোধ করেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাননি তিনি। বিষয়টি তিনি পুনরায় ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানিয়েছেন।

সবশেষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “এই ঘটনার পর স্থির সিদ্ধান্ত নিয়েছি—জীবনে আর কখনো খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন করব না। মানুষের ভরসা যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে।”

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিবি অফিসে যাওয়া ব্যক্তির বট আইডিগুলো আগে বন্ধ করা দরকার

জীবনে আর কখনও খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন করব না: ডা. এজাজ

আপডেট সময় ০৩:১৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

নাটক, সিনেমা ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে দীর্ঘদিন ধরে দর্শকের আস্থা অর্জন করেছেন অভিনেতা ও চিকিৎসক ডা. এজাজ। তবে সম্প্রতি ‘খাঁটি-ঘি’ নামের একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। পণ্যটির নিম্নমান ও প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় যেতে হয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরেও।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেন—ডা. এজাজকে দেখে তারা ‘খাঁটি-ঘি’ থেকে পণ্য কিনেছেন, কিন্তু পেয়েছেন নিম্নমানের ও ভেজাল দ্রব্য। এক ঢাকাই গ্রাহক বলেন, “অনলাইনে বিজ্ঞাপনে বিশ্বাস পাই না। কিন্তু এজাজ ভাইকে দেখে ভরসা করেছিলাম। পরে বুঝলাম প্রতারিত হয়েছি।”

বিষয়টি নজরে আসতেই ডা. এজাজ হতাশা প্রকাশ করেন। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, “ভোক্তা অধিদপ্তর আমাকে ডেকেছিল। তারা জানায়, আমাকে দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ভক্তদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। বিজ্ঞাপনের সময় আমাকে বিএসটিআইয়ের ছাড়পত্র দেখানো হয়েছিল। তাই আমি বিশ্বাস করেছিলাম।”

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক তাকে পণ্যের গায়ে বিএসটিআই লোগো দেখান। তাই ধরে নিয়েছিলেন যে পণ্যটি মানসম্মত ও পরীক্ষিত। কিন্তু অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তিনি এখন নিজেই ভোক্তা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

ডা. এজাজ বলেন, “যদি প্রতিষ্ঠানটি সত্যিই ভেজাল পণ্য দিয়ে থাকে, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ভোক্তার সাথে প্রতারণা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

এদিকে অভিযোগের পরও বিজ্ঞাপনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে। বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে প্রতিষ্ঠানটিকে অনুরোধ করেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাননি তিনি। বিষয়টি তিনি পুনরায় ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানিয়েছেন।

সবশেষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “এই ঘটনার পর স্থির সিদ্ধান্ত নিয়েছি—জীবনে আর কখনো খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন করব না। মানুষের ভরসা যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে।”