ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
এমন বৃষ্টি থাকবে কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস চীন সফরে যাচ্ছে জামায়াতের প্রতিনিধিদল ভারতের ঢলে ভেঙে গেল ৩ নদীর বাঁধ, ডুবে গেল ৩০ গ্রাম কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো আরও এক শিক্ষার্থীর মরদেহ ইরানের হাতে এসেছে চীনের আধুনিক হিউ কিউ-৯ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল বিশ্ব আর কোনো সম্রাট চায় না: ট্রাম্পকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি আগামী নির্বাচনে বেশির ভাগ মানুষ ভোটই দিতে যাবে না: মাসুদ কামাল যাত্রাবাড়ী গণহত্যা: ৫২ জন নিহতের বিবিসি অনুসন্ধান উন্মোচন করল ইতিহাসের নির্মম এক অধ্যায় প্রায় ৪০ বছর পর ফের ইরানে অস্ত্র সরবরাহ শুরু করল চীন জুলাই আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা

সীমান্ত আগ্রাসনের প্রতিবাদে লং মার্চের হুমকি এনসিপি’র, জুলাই বিপ্লবের ডাক চাঁপাইনবাবগঞ্জে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৫:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের সীমান্তে বিএসএফের ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে’ গ্রেনেড হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, “সীমান্তে দাদাদের বাহাদুরি ছিল, সেই দিন শেষ। এখন আমাদের ভাইদের হত্যা করা হলে লং মার্চ ঘোষণা করব।”

রোববার (৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “এসেছি ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বার্তা’ নিয়ে, যে বার্তা ইনসাফভিত্তিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখায়। আমরা চাই নতুন বাংলাদেশ—যেখানে গণত্যাকারীদের বিচার হবে, মৌলিক সংস্কার হবে, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন হবে।”

তিনি আরও বলেন, “চাঁপাইনবাবগঞ্জ বরাবরই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে বঞ্চনার শিকার। শুধু এই জেলাই নয়, গোটা বাংলাদেশেই আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এসেছি।”

দিল্লির প্রতি কঠোর বার্তা দিয়ে নাহিদ বলেন, “বাংলাদেশের ওপর দীর্ঘদিন ধরে দিল্লি মদতপুষ্ট ফ্যাসিবাদী সরকার নির্যাতন চালিয়েছে। ভারত সীমান্তে যে হত্যা চালায়, তা মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। এবার আর আঙুল উঁচিয়ে কথা বলার সুযোগ পাবে না।”

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ডা. তাসনিম জারা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

সব নেতারাই “ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন” ও “ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী সংগ্রাম”-এর অংশ হিসেবে এনসিপির কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

পথসভায় স্থানীয় জনসাধারণ, ছাত্র ও শ্রমজীবী শ্রেণির বিপুল উপস্থিতি দেখা যায়।
স্লোগান ওঠে: “জুলাই জাগে, ইনসাফ জাগে – জনগণই শেষ কথা বলে!

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এমন বৃষ্টি থাকবে কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

সীমান্ত আগ্রাসনের প্রতিবাদে লং মার্চের হুমকি এনসিপি’র, জুলাই বিপ্লবের ডাক চাঁপাইনবাবগঞ্জে

আপডেট সময় ০৫:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের সীমান্তে বিএসএফের ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে’ গ্রেনেড হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, “সীমান্তে দাদাদের বাহাদুরি ছিল, সেই দিন শেষ। এখন আমাদের ভাইদের হত্যা করা হলে লং মার্চ ঘোষণা করব।”

রোববার (৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “এসেছি ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বার্তা’ নিয়ে, যে বার্তা ইনসাফভিত্তিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখায়। আমরা চাই নতুন বাংলাদেশ—যেখানে গণত্যাকারীদের বিচার হবে, মৌলিক সংস্কার হবে, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন হবে।”

তিনি আরও বলেন, “চাঁপাইনবাবগঞ্জ বরাবরই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতে বঞ্চনার শিকার। শুধু এই জেলাই নয়, গোটা বাংলাদেশেই আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এসেছি।”

দিল্লির প্রতি কঠোর বার্তা দিয়ে নাহিদ বলেন, “বাংলাদেশের ওপর দীর্ঘদিন ধরে দিল্লি মদতপুষ্ট ফ্যাসিবাদী সরকার নির্যাতন চালিয়েছে। ভারত সীমান্তে যে হত্যা চালায়, তা মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। এবার আর আঙুল উঁচিয়ে কথা বলার সুযোগ পাবে না।”

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ডা. তাসনিম জারা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

সব নেতারাই “ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন” ও “ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী সংগ্রাম”-এর অংশ হিসেবে এনসিপির কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

পথসভায় স্থানীয় জনসাধারণ, ছাত্র ও শ্রমজীবী শ্রেণির বিপুল উপস্থিতি দেখা যায়।
স্লোগান ওঠে: “জুলাই জাগে, ইনসাফ জাগে – জনগণই শেষ কথা বলে!