দেশের সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তারা বলেন, জনগণ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটিয়েছে—এটা কোনোভাবে ‘এপ্রিল ফুল’ হওয়ার বিষয় নয়।
শনিবার (৭ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।
নেতারা বলেন, “ডিসেম্বর নির্বাচন দেশের সব রাজনৈতিক দলের গণদাবি। এপ্রিল মাসে নির্বাচন আয়োজনের কথা নিছক এপ্রিল ফুল হতে পারে, কারণ সে সময় রয়েছে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা, বৈরী আবহাওয়া এবং রমজানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা।”
বিবৃতিতে তারা প্রশ্ন তোলেন, “অধ্যাপক ইউনূস কাকে খুশি করতে এপ্রিল নির্বাচনের পরিকল্পনা করছেন? দেশের জনগণের দাবি ও বাস্তবতা অনুযায়ী নির্বাচন দিতে হলে ডিসেম্বরই উপযুক্ত সময়।”
এছাড়া শুক্রবার দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বন্দর ব্যবস্থাপনা ও বিদেশিদের সম্পৃক্ততা সংক্রান্ত বক্তব্য নিয়েও তীব্র আপত্তি জানান নেতারা। তারা বলেন, “বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার মত বক্তব্য একজন সরকারপ্রধানের কাছ থেকে কাম্য নয়। তার এই বক্তব্যে তার উপদেষ্টা হিসেবে যোগ্যতা ও উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।”
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ঈদের পর ড. ইউনূসের ভূমিকা ও বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কিনা—সেটিও নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ।
১২ দলীয় জোট দাবি করে, ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব এবং দেশের সেনাবাহিনীও এই বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন:
-
মোস্তফা জামাল হায়দার (জাতীয় পার্টি)
-
শাহাদাত হোসেন সেলিম (বাংলাদেশ এলডিপি)
-
সৈয়দ এহসানুল হুদা (বাংলাদেশ জাতীয় দল)
-
ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ)
-
রাশেদ প্রধান (জাগপা)
-
লায়ন ফারুক রহমান (লেবার পার্টি বাংলাদেশ)
-
শামসুদ্দীন পারভেজ (কল্যাণ পার্টি)
-
মাওলানা আব্দুর রকিব (ইসলামী ঐক্যজোট)
-
আবুল কাশেম (ইসলামিক পার্টি)
-
এম এ মান্নান (নয়া গণতান্ত্রিক পার্টি)
-
ফিরোজ মো. লিটন (পিএনপি)।