কারাকাসে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত হিসেবে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণাকে “শান্তি ধারণার উপহাস” বলে আখ্যা দিয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে দূতাবাস জানায়, “যে ব্যক্তি গাজায় গণহত্যাকে ন্যায্যতা দেয় এবং ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে বিদেশি সামরিক আগ্রাসনের আহ্বান জানায়, তাকে ‘শান্তি’ পুরস্কার দেওয়া পশ্চিমাদের বিভাজনমূলক ও হস্তক্ষেপমূলক মানসিকতার নিদর্শন।”
ইরানি দূতাবাসের মতে, এই সিদ্ধান্ত “শান্তি ধারণাকেই উপহাসের পাত্রে পরিণত করেছে।”
গত শুক্রবার নোবেল কমিটি মাচাদোকে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে, তার “ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা”র স্বীকৃতি হিসেবে।
তবে এই ঘোষণার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কারণ মাচাদো প্রকাশ্যে ইসরায়েলি দখলদার সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ডানপন্থি সরকারের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেম (আল-কুদস)-এ স্থানান্তর করবেন—যা ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনপন্থী ভেনেজুয়েলার নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।
তার দল Vente Venezuela ইতোমধ্যেই নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যেখানে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মাচাদো ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্য সমর্থক। তিনি ট্রাম্পকে “ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় সুযোগ” এবং “সাহসী ও দূরদর্শী নেতা” বলে অভিহিত করেছেন।
তার দাবি, ট্রাম্প প্রশাসনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপই ভেনেজুয়েলায় “গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথ তৈরি করেছে।”

ডেস্ক রিপোর্ট 






















