ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আগামী ১৫ নভেম্বর বদলে যাচ্ছে পুলিশ ইউনিফর্ম! সরাসরি করাচি-চট্টগ্রাম শিপিং চালু করলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’ বিএনপির সঙ্গে জোট নয়, একক নির্বাচনের চিন্তা এনসিপির ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মনোনয়ন না পেয়ে ধানক্ষেতে ‘রিভিউ’ দেখালেন বিএনপি নেতা নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে দেশের মানুষ রাখাল রাজা শহীদ জিয়ার দলকেই বিজয়ী করবে: শিমুল বিশ্বাস বিএনপিকে যারা দুর্বল ভাবে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে: মির্জা আব্বাস বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত: রাজনাথ সিং ‘পির নয়, আওয়ামী এমপির ভোট নিয়ে পাস করতে চায় মনোনীত প্রার্থী হারুন’

নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক: ইরানের ক্ষোভ, মাচাদোকে ‘শান্তির উপহাস’ বলল তেহরান

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৯:১৩:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬২৮ বার পড়া হয়েছে

কারাকাসে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত হিসেবে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণাকে “শান্তি ধারণার উপহাস” বলে আখ্যা দিয়েছে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে দূতাবাস জানায়, “যে ব্যক্তি গাজায় গণহত্যাকে ন্যায্যতা দেয় এবং ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে বিদেশি সামরিক আগ্রাসনের আহ্বান জানায়, তাকে ‘শান্তি’ পুরস্কার দেওয়া পশ্চিমাদের বিভাজনমূলক ও হস্তক্ষেপমূলক মানসিকতার নিদর্শন।”

ইরানি দূতাবাসের মতে, এই সিদ্ধান্ত “শান্তি ধারণাকেই উপহাসের পাত্রে পরিণত করেছে।”

গত শুক্রবার নোবেল কমিটি মাচাদোকে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে, তার “ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা”র স্বীকৃতি হিসেবে।

তবে এই ঘোষণার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কারণ মাচাদো প্রকাশ্যে ইসরায়েলি দখলদার সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ডানপন্থি সরকারের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেম (আল-কুদস)-এ স্থানান্তর করবেন—যা ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনপন্থী ভেনেজুয়েলার নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।

তার দল Vente Venezuela ইতোমধ্যেই নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যেখানে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মাচাদো ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্য সমর্থক। তিনি ট্রাম্পকে “ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় সুযোগ” এবং “সাহসী ও দূরদর্শী নেতা” বলে অভিহিত করেছেন।

তার দাবি, ট্রাম্প প্রশাসনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপই ভেনেজুয়েলায় “গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথ তৈরি করেছে।”

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী ১৫ নভেম্বর বদলে যাচ্ছে পুলিশ ইউনিফর্ম!

নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক: ইরানের ক্ষোভ, মাচাদোকে ‘শান্তির উপহাস’ বলল তেহরান

আপডেট সময় ০৯:১৩:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

কারাকাসে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত হিসেবে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোর নাম ঘোষণাকে “শান্তি ধারণার উপহাস” বলে আখ্যা দিয়েছে।

শনিবার (১১ অক্টোবর) এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে দূতাবাস জানায়, “যে ব্যক্তি গাজায় গণহত্যাকে ন্যায্যতা দেয় এবং ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে বিদেশি সামরিক আগ্রাসনের আহ্বান জানায়, তাকে ‘শান্তি’ পুরস্কার দেওয়া পশ্চিমাদের বিভাজনমূলক ও হস্তক্ষেপমূলক মানসিকতার নিদর্শন।”

ইরানি দূতাবাসের মতে, এই সিদ্ধান্ত “শান্তি ধারণাকেই উপহাসের পাত্রে পরিণত করেছে।”

গত শুক্রবার নোবেল কমিটি মাচাদোকে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে, তার “ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা”র স্বীকৃতি হিসেবে।

তবে এই ঘোষণার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কারণ মাচাদো প্রকাশ্যে ইসরায়েলি দখলদার সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ডানপন্থি সরকারের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেম (আল-কুদস)-এ স্থানান্তর করবেন—যা ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনপন্থী ভেনেজুয়েলার নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।

তার দল Vente Venezuela ইতোমধ্যেই নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যেখানে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মাচাদো ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রকাশ্য সমর্থক। তিনি ট্রাম্পকে “ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় সুযোগ” এবং “সাহসী ও দূরদর্শী নেতা” বলে অভিহিত করেছেন।

তার দাবি, ট্রাম্প প্রশাসনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপই ভেনেজুয়েলায় “গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথ তৈরি করেছে।”