মিশরের উপকূলীয় শহর শারম আল-শেখে সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয়েছে ঐতিহাসিক গাজা শান্তিচুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তিকে আখ্যা দিয়েছেন ‘দ্য বিগেস্ট ডিল’ বা ‘সবচেয়ে বড় চুক্তি’ হিসেবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, যিনি দীর্ঘদিন পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করলেন। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শেষ মুহূর্তে অংশগ্রহণ বাতিল করেন, কারণ সোমবার রাতেই শুরু হয় ইহুদি উৎসব সিমখাত তোরাহ।
প্রায় ৩৫ জন বিশ্বনেতা এই শান্তি সম্মেলনে অংশ নেন। গাজায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। সম্মেলনের শুরুতে ট্রাম্প আগত নেতাদের শুভেচ্ছা জানান এবং “Peace-2025” লেখা ব্যাকড্রপের সামনে সবাইকে নিয়ে ঐতিহাসিক গ্রুপ ফটো তোলেন। ছবিতে ট্রাম্প, মাহমুদ আব্বাস, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানসহ বহু আরব ও ইউরোপীয় নেতাকে দেখা যায়।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এরদোয়ান পূর্বেই সতর্ক করেছিলেন যে, নেতানিয়াহু উপস্থিত থাকলে অনেক মুসলিম নেতা সম্মেলন বয়কট করবেন। সেই কারণে শেষ মুহূর্তে নেতানিয়াহু সফর বাতিল করেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প বলেন, “আজ আমরা শুধু এক যুদ্ধের অবসান ঘটালাম না—আমরা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক নতুন ইতিহাস রচনা করলাম। এটি ‘সবচেয়ে বড় চুক্তি’, যা শান্তির নতুন ভোর এনে দেবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি কার্যকর হলে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও মানবিক পুনর্গঠনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

ডেস্ক রিপোর্ট 
























