ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড. ইউনূসকে দেশের কাজে যুক্ত রাখতে চায় বিএনপি “জাতীয় স্বার্থে ড. ইউনূসের প্রয়োজন আছে” — তারেক রহমান ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে আমেরিকা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করল ইরান, তেলের বাজারে উত্তেজনা জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচন নয়”—তারেক-ইউনূস বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর অজ্ঞাত স্থানে নেতানিয়াহু, নিহত ইরানের শীর্ষ জেনারেলরা ইরানে ইসরায়েলের হামলাকে ‘আইন লঙ্ঘন’ বললো জর্ডান, তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক মহল ভাড়া গাড়ীতে প্রেসের স্টিকার,  সেনাবাহিনীর হাতে ধরা, করা হলো জরিমানা তারেক রহমান বললেন, খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূস জাতিকে দিকনির্দেশনা দেবেন বিএনপির সহযোগিতা এখন অভিশাপ: গলাচিপায় অবরুদ্ধের পর ক্ষোভে ফুঁসলেন ভিপি নুর”

স্ত্রীসহ মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৩:৪৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • ৩৯৬৮ বার পড়া হয়েছে

এবার রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণের পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার ও তার স্ত্রী মিঠু হালদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে তার আইনজীবী ওহিদুজ্জামান বিপ্পব বলেন, গত ৬ মে আদালত এ মামলায় অভিযোগ পত্র আমলে নেন। আগের দিন ৫ মে তার মা মারা যান। যেকারণে মিল্টন সমাদ্দার উপস্থিত হতে পারেনি। আমরা সময় চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে মিল্টন সমাদ্দার ও তার স্ত্রী মিঠু হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। পরদিন ২ মে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এরপর ৫ মে তাকে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে মানবপাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তার চার দিনের রিমান্ড দেন।

রিমান্ড শেষে ৯ মে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় মারধরের আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তিনি তিন মামলায় জামিনে কারামুক্ত হন। পরে তদন্ত শেষে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযোগ পত্র দেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আতাউর রহমান। এ মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের সঙ্গে তার স্ত্রী মিঠু হালদারকে অভিযুক্ত করা হয়।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ড. ইউনূসকে দেশের কাজে যুক্ত রাখতে চায় বিএনপি

স্ত্রীসহ মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে

আপডেট সময় ০৩:৪৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

এবার রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণের পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার ও তার স্ত্রী মিঠু হালদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে তার আইনজীবী ওহিদুজ্জামান বিপ্পব বলেন, গত ৬ মে আদালত এ মামলায় অভিযোগ পত্র আমলে নেন। আগের দিন ৫ মে তার মা মারা যান। যেকারণে মিল্টন সমাদ্দার উপস্থিত হতে পারেনি। আমরা সময় চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে মিল্টন সমাদ্দার ও তার স্ত্রী মিঠু হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। পরদিন ২ মে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এরপর ৫ মে তাকে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে মানবপাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তার চার দিনের রিমান্ড দেন।

রিমান্ড শেষে ৯ মে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় মারধরের আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তিনি তিন মামলায় জামিনে কারামুক্ত হন। পরে তদন্ত শেষে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিযোগ পত্র দেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আতাউর রহমান। এ মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের সঙ্গে তার স্ত্রী মিঠু হালদারকে অভিযুক্ত করা হয়।