মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাত আরও ঘনীভূত আকার ধারণ করেছে। একদিকে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহলে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে চীন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্য সমালোচনা করেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুই জিয়াকুন এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আগুনে ঘি ঢালা, চাপ বাড়ানো ও হুমকিতে পরিস্থিতির সমাধান হয় না। বরং এগুলো সংঘাতকে আরও বাড়াবে ও ছড়িয়ে দেবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানের রাজধানী তেহরানে বসবাসকারীদের তাৎক্ষণিকভাবে এলাকা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
চীনা মুখপাত্র আরও বলেন, “সংলাপ ও সমঝোতাই হচ্ছে এই অস্থিরতা নিরসনের একমাত্র পথ।”
এরইমধ্যে সংঘাত সরাসরি সামরিক রূপ নিয়েছে। সোমবার রাতে ইরান তেলআবিবকে লক্ষ্য করে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও তীব্র ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে। এই হামলার পরপরই তেলআবিব ও আশপাশের এলাকায় বিপদ সংকেত বাজতে শুরু করে। ইসরায়েল জানিয়েছে, বহু ক্ষেপণাস্ত্র তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করে শহরের অভ্যন্তরে বিস্ফোরিত হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যা করাই হতে পারে এই সংঘাত শেষ করার উপায়।”
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আমি চাই না ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করুক। সবাইকে অবিলম্বে তেহরান ত্যাগ করতে হবে।”
ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় অন্তত ২২০ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭০ জন নারী ও শিশু রয়েছে। পাল্টা হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।