ইনজুরি নিয়ে লুইসে ঝড়ো সেঞ্চুরি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আজ সোমবার (২৮ জানুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি খুলনা টাইটানস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ০১টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় ম্যাচটি। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা টাইটানস।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করে কুমিল্লা। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস খুলনার বোলাদের বেশ ভালো ভাবেই মোকাবেলা করে। দু’জনেই ছয়-চারের প্রথম ছয় ওভারকে কাজে লাগিয়েছেন। তারা দুজন মিলে ৫৮ রান করেন। কিন্তু খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডেভিড ভিসের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যান তামিম।

২৯ বলে ২৫ রান করেন তামিম। এরপরে বলে এনামুল হককে আউট করেন। ১ বলে খেলে কোন রান না করে শান্ত হাতে ধরা পড়েন। তামিম-এনামুল আউট হলেও ঠিকেই নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এভিন লুইস। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে কিছুটা ব্যথা পেয়েছেন তিনি। অনেকটা ব্যথা নিয়েই এ অর্ধশতক পুরন করেন তিনি।

৩১ বলে ৫০ রান করেন তিনি। লুইসের পর তাণ্ডব শুরু করেন ইমরুল। কিন্তু শরিফুলের ১৫ ওভারের তিন নম্বর বলে পায়ে লেগে আহত হন ইমরুল। সঙ্গে সঙ্গে এলভি হয়ে ফিরে যান। তবে যাওয়ার আগে লুইস-ইমরুল মিলে ৭ ওভারে ৯৭ রান করেন। ইমরুল করেন ২১ বলে ২ ছয় ও ৪ চারে ৩৯ রান।

এরপর ক্রিজে আসেন থিসারা পেরেরা। পেরেরা এসেই প্রথম বলে ৪ হাঁকান। তবে তিনি এসে বেশি দূর এগুতে পারেননি। কিন্তু আউটের আগে মাত্র ৪ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ১১ রান করেন। ব্রেথওয়েটের বলে ভিসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। থিসারা পরে আসেন বোম বোম আফ্রিদি। তবে তার বোম বোম দেখাতে পারেননি। ব্রেথওয়েটের বলে তাইজুলের হাতে ধরা পড়ে ২ বলে ১ রান করেন ফিরে যান।

এক প্রান্তে অন্যরা আউট হলেও অন্য প্রান্তে ইনজুরি নিয়ে নিজের মাইলফলক তুলে নিলেন এভিন লুইস। হাঁকিয়ে ৯ টি ছক্কা। ৫ চারে সেঞ্চুরি হাঁকান। ৪৭ বলে ১০২ রান করে তিনি।

দুই দলেন একাদশ:

খুলনা টাইটান্স একাদশ: ব্রেন্ডন টেলর, ডেভিড মালান, জুনায়েদ সিদ্দিকী, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আরিফুল হক, কার্লোস ব্রেথওয়েট, ডেভিড ভিসে, তাইজুল ইসলাম, সাদ্দাম হসেন, শরিফুল ইসলাম।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস একাদশ: তামিম ইকবাল, এনামুল হক (উইকেটরক্ষক), ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), সামসুর রহমান, এভিন লুইস, শহীদ আফ্রিদি, থিসারা পেরেরা, মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ শহিদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন ও ওহাব রিয়াজ।