ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গাজা খালি করে ‘মানবিক শহর’ গড়ে তোলার ঘোষণা ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪৪ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে: নাছির উদ্দিন এখন আর শেখ হাসিনার পালানোর পথ নেই: প্রেস সচিব এমন বৃষ্টি থাকবে কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস চীন সফরে যাচ্ছে জামায়াতের প্রতিনিধিদল ভারতের ঢলে ভেঙে গেল ৩ নদীর বাঁধ, ডুবে গেল ৩০ গ্রাম কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো আরও এক শিক্ষার্থীর মরদেহ ইরানের হাতে এসেছে চীনের আধুনিক হিউ কিউ-৯ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল বিশ্ব আর কোনো সম্রাট চায় না: ট্রাম্পকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি আগামী নির্বাচনে বেশির ভাগ মানুষ ভোটই দিতে যাবে না: মাসুদ কামাল

যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলার প্রস্তুতি, সরব ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলো

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৭:৩৭:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ২২১ বার পড়া হয়েছে

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলের হামলার জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে টার্গেট করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। রোববার (২২ জুন) নিউইয়র্ক টাইমস এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের সক্রিয়তা শনাক্ত করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই গোষ্ঠীগুলো প্রথমে ইরাকের অভ্যন্তরে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলা চালাতে পারে। সিরিয়াতেও হামলার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে এখনো পর্যন্ত হোয়াইট হাউস কিংবা ইরান—কোনো পক্ষই এই তথ্যের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ইরাক সরকার হামলা ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানা গেছে।

ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আনবার প্রদেশে অবস্থিত আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের ঘনিষ্ঠ উপস্থিতি রয়েছে। এখান থেকেই ইরাকি বাহিনী ও ন্যাটোর মিশনে সহায়তা করে তারা। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে যুক্তরাষ্ট্র হত্যার পর এই ঘাঁটিতে ইরান ব্যাপক মিসাইল হামলা চালিয়েছিল।

এছাড়া, ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের ইরবিল বিমানঘাঁটিতেও মার্কিন সেনা উপস্থিতি রয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক হাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এখানে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান এবং লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে থাকে মার্কিন বাহিনী।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলার প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে এবং এই হামলা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে।

 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজা খালি করে ‘মানবিক শহর’ গড়ে তোলার ঘোষণা ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলার প্রস্তুতি, সরব ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলো

আপডেট সময় ০৭:৩৭:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলের হামলার জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে টার্গেট করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। রোববার (২২ জুন) নিউইয়র্ক টাইমস এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের সক্রিয়তা শনাক্ত করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই গোষ্ঠীগুলো প্রথমে ইরাকের অভ্যন্তরে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলা চালাতে পারে। সিরিয়াতেও হামলার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে এখনো পর্যন্ত হোয়াইট হাউস কিংবা ইরান—কোনো পক্ষই এই তথ্যের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ইরাক সরকার হামলা ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানা গেছে।

ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আনবার প্রদেশে অবস্থিত আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের ঘনিষ্ঠ উপস্থিতি রয়েছে। এখান থেকেই ইরাকি বাহিনী ও ন্যাটোর মিশনে সহায়তা করে তারা। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে যুক্তরাষ্ট্র হত্যার পর এই ঘাঁটিতে ইরান ব্যাপক মিসাইল হামলা চালিয়েছিল।

এছাড়া, ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের ইরবিল বিমানঘাঁটিতেও মার্কিন সেনা উপস্থিতি রয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক হাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এখানে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান এবং লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে থাকে মার্কিন বাহিনী।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলার প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে এবং এই হামলা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে।