ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ সালাউদ্দিনকে ‘গডফাদার’ ডাকায় উত্তাল কক্সবাজার, এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর চাঁদা নেব না, নিতেও দেব না: জামায়াত আমির বক্তব্যের মাঝে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির মজলুমরা আজ জালিম হয়ে উঠছে: নুর জামায়াতের সমাবেশে দাওয়াত পায়নি বিএনপি বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের জায়গা হবে না: জামায়াতের সমাবেশে সারজিস উগান্ডায় বোম পড়লেও কি বিএনপির দোষ?: পার্থ বর্তমানে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নেই, এটি একটি মাফিয়া চক্রে পরিণত: সোহেল তাজ ভারতের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আমার ছেলে শহীদ হয়: আবরার ফাহাদের বাবা

ইসরায়েলে বহুপাল্লার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানের হামলা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:১৫:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ২৫১ বার পড়া হয়েছে

এবার ইসরায়েলে নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান। দেশটি বহুমাথার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এবার হামলা চালিয়েছে।সোমবার (২৩ জুন) তাসনিম নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসলামিক রেভল্যুশন গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, ইসরায়েলে প্রথমবারে মতো বহুমাথার হেড খাইবারশেকান (ক্যাসল বাস্টার) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। রোববার (২২ জুন) ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস III’-এর অংশ হিসেবে এটি ইসরায়েলে ২০তম হামলা।

আইআরজিসি জানায়, সাম্প্রতিক হামলায় ৪০টি সলিড এবং লিকুইড-ফুয়েল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। রোববারের হামলায় প্রথমবারের মতো বহুমাথার খাইবারশেকান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এটি আইআরজিসির এরোস্পেস ফোর্সের তৃতীয় প্রজন্মের মিসাইল। এই হামলায় আধুনিক ও অপ্রত্যাশিত কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মিসাইলের নির্ভুলতা বেড়েছে এবং লক্ষ্যবস্তুতে কার্যকর ও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো সম্ভব হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ছোড়া এসব ক্ষেপণাস্ত্র বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর, ইসরায়েলের জৈব গবেষণা কেন্দ্র এবং কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে আঘাত হেনেছে। আইআরজিসি জানায়, ইরানের নিক্ষেপিত গাইডেড ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলোতে ম্যানুভারেবল এবং উচ্চ-বিস্ফোরক ওয়ারহেড ছিল, যা ধ্বংসাত্মক প্রভাবের চূড়ান্ত মুহূর্ত পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, মিসাইলগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পরেই সাইরেন বেজেছে। ফলে শত্রুপক্ষের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। আইআরজিসি সতর্ক করে জানিয়েছে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ক্ষমতাগুলো এখনো পুরোপুরি কার্যকর করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইরানের হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় পরমাণু, সামরিক ও আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে ৪০০-এর বেশি ইরানি নাগরিক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ রয়েছেন। ইরান ওই হামলার পরপরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া শুরু করে। ২২ জুন পর্যন্ত ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস III’ এর আওতায় ইরান ইসরায়েলে মোট ২০ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ

ইসরায়েলে বহুপাল্লার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানের হামলা

আপডেট সময় ১০:১৫:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

এবার ইসরায়েলে নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান। দেশটি বহুমাথার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এবার হামলা চালিয়েছে।সোমবার (২৩ জুন) তাসনিম নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসলামিক রেভল্যুশন গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, ইসরায়েলে প্রথমবারে মতো বহুমাথার হেড খাইবারশেকান (ক্যাসল বাস্টার) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। রোববার (২২ জুন) ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস III’-এর অংশ হিসেবে এটি ইসরায়েলে ২০তম হামলা।

আইআরজিসি জানায়, সাম্প্রতিক হামলায় ৪০টি সলিড এবং লিকুইড-ফুয়েল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। রোববারের হামলায় প্রথমবারের মতো বহুমাথার খাইবারশেকান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এটি আইআরজিসির এরোস্পেস ফোর্সের তৃতীয় প্রজন্মের মিসাইল। এই হামলায় আধুনিক ও অপ্রত্যাশিত কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মিসাইলের নির্ভুলতা বেড়েছে এবং লক্ষ্যবস্তুতে কার্যকর ও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো সম্ভব হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ছোড়া এসব ক্ষেপণাস্ত্র বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর, ইসরায়েলের জৈব গবেষণা কেন্দ্র এবং কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে আঘাত হেনেছে। আইআরজিসি জানায়, ইরানের নিক্ষেপিত গাইডেড ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলোতে ম্যানুভারেবল এবং উচ্চ-বিস্ফোরক ওয়ারহেড ছিল, যা ধ্বংসাত্মক প্রভাবের চূড়ান্ত মুহূর্ত পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, মিসাইলগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পরেই সাইরেন বেজেছে। ফলে শত্রুপক্ষের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। আইআরজিসি সতর্ক করে জানিয়েছে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ক্ষমতাগুলো এখনো পুরোপুরি কার্যকর করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইরানের হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় পরমাণু, সামরিক ও আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে ৪০০-এর বেশি ইরানি নাগরিক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ রয়েছেন। ইরান ওই হামলার পরপরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া শুরু করে। ২২ জুন পর্যন্ত ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস III’ এর আওতায় ইরান ইসরায়েলে মোট ২০ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।