ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পল্লবীতে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে গুলি ও হামলা, আহত ১ চকবাজারে ব্যবসায়ী হত্যা: বিচারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ ‘চাঁদাবাজদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে জাহান্নামের চৌরাস্তায় পাঠিয়ে দেয়া হবে’ ৫ কোটি টাকা চাঁদার দাবিতে বাস ভাংচুর, যুবদল নেতা দল থেকে বহিষ্কার খালি নির্বাচন নির্বাচন করেন, খুনি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না কেন?: বিএনপিকে জামায়াত নেতা রফিকুল ইরানের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রকে ছোট করে দেখা পশ্চিমাদের বড় ভুল: ফ্রান্স ছাত্রদল শহীদ পরিবারের পাশে সন্তানের মতো থাকবে: রাকিব তারা ভেবেছিল, কয়েকটি আসনের লোভ দেখিয়ে আমাদের কিনে নেবে: নাহিদ ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড: ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন গাজী ‘তারা প্রতি মাসে দুই লাখ করে টাকা চায়, না দেওয়ায় মেরেই ফেললো’

‘নিষিদ্ধ’ বোমা ব্যবহার করছে ইরান: অভিযোগ ইসরায়েলের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০২:১৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ৪০৪ বার পড়া হয়েছে

এবার ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মোড়কে ক্লাস্টার বোমা ছুড়ছে ইরান। তেহরানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আইডিএফ’র। দাবি- সম্প্রতি তেলআবিবে চালানো এক হামলায় ব্যবহার করা হয় শক্তিশালী মারণাস্ত্রটি। যদিও এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিছুই জানায়নি আইআরজিসি।

১৯ জুন। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে তেলআবিবে আঘাত হানে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র। দফায় দফায় বিস্ফোরণে নজিরবিহীন ক্ষয়ক্ষতির শিকার একাধিক আবাসিক এলাকা। এসব মিসাইলগুলোর মধ্যে অন্তত একটি ছিল ক্লাস্টার ওয়ারহেডযুক্ত, এমন দাবি আইডিএফ’র।

এদিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চাদরে ঢাকা ভয়ংকর এক মারণাস্ত্রের নাম ক্লাস্টার মিউনিশন। কখনও কখনও আঘাত হানে ব্যালিস্টিক মিসাইলের চেয়েও ভয়ংকর রূপে।

মূলত, ক্লাস্টার মিউনিশন যুক্ত ওয়ারহেডগুলো মাটি থেকে ৭-৮ হাজার মিটার উচ্চতায় আকাশে থাকা অবস্থাতেই ছোট ছোট ওয়ারহেড কিংবা সাবমিউনিশনে বিভক্ত হয়। যা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায়। যেখান থেকে পরবর্তীতে ঘটতে থাকে একের পর এক বিস্ফোরণ।

ক্লাস্টার বোমার সাবমিউনিশনগুলো অনেকদিন মাটিতে সক্রিয় এবং অবিস্ফোরিত অবস্থায় থাকতে পারে। অজান্তে কেউ সংস্পর্শে চলে এলে বেড়ে যায় প্রাণহানির শঙ্কা। অর্থাৎ এক ধরনের জীবন্ত মাইন হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে এটিকে।

কনভেনশন অন ক্লাস্টার মিউনিশন নামে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি হয় ২০০৮ সালে। নিষিদ্ধ করা হয় ক্লাস্টার বোমার সংরক্ষণ, পরিবহন ও ব্যবহার। ১০০টির বেশি দেশ তাতে সই করে। অবশ্য চুক্তিবদ্ধ হয়নি যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, ইরান।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীনের মতো পরাশক্তিসহ হাতেগোনা কয়েকটি দেশের কাছেই রয়েছে ক্লাস্টার প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার। ধারণা করা হয়, ইরানের রহস্যময় ক্ষেপণাস্ত্র বহরেও রয়েছে এই ওয়ারহেড। যার মধ্যে অন্যতম, খায়বার এবং ফাজর থ্রি ব্যালিস্টিক মিসাইল।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পল্লবীতে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে গুলি ও হামলা, আহত ১

‘নিষিদ্ধ’ বোমা ব্যবহার করছে ইরান: অভিযোগ ইসরায়েলের

আপডেট সময় ০২:১৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

এবার ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মোড়কে ক্লাস্টার বোমা ছুড়ছে ইরান। তেহরানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আইডিএফ’র। দাবি- সম্প্রতি তেলআবিবে চালানো এক হামলায় ব্যবহার করা হয় শক্তিশালী মারণাস্ত্রটি। যদিও এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিছুই জানায়নি আইআরজিসি।

১৯ জুন। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে তেলআবিবে আঘাত হানে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র। দফায় দফায় বিস্ফোরণে নজিরবিহীন ক্ষয়ক্ষতির শিকার একাধিক আবাসিক এলাকা। এসব মিসাইলগুলোর মধ্যে অন্তত একটি ছিল ক্লাস্টার ওয়ারহেডযুক্ত, এমন দাবি আইডিএফ’র।

এদিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চাদরে ঢাকা ভয়ংকর এক মারণাস্ত্রের নাম ক্লাস্টার মিউনিশন। কখনও কখনও আঘাত হানে ব্যালিস্টিক মিসাইলের চেয়েও ভয়ংকর রূপে।

মূলত, ক্লাস্টার মিউনিশন যুক্ত ওয়ারহেডগুলো মাটি থেকে ৭-৮ হাজার মিটার উচ্চতায় আকাশে থাকা অবস্থাতেই ছোট ছোট ওয়ারহেড কিংবা সাবমিউনিশনে বিভক্ত হয়। যা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায়। যেখান থেকে পরবর্তীতে ঘটতে থাকে একের পর এক বিস্ফোরণ।

ক্লাস্টার বোমার সাবমিউনিশনগুলো অনেকদিন মাটিতে সক্রিয় এবং অবিস্ফোরিত অবস্থায় থাকতে পারে। অজান্তে কেউ সংস্পর্শে চলে এলে বেড়ে যায় প্রাণহানির শঙ্কা। অর্থাৎ এক ধরনের জীবন্ত মাইন হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে এটিকে।

কনভেনশন অন ক্লাস্টার মিউনিশন নামে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি হয় ২০০৮ সালে। নিষিদ্ধ করা হয় ক্লাস্টার বোমার সংরক্ষণ, পরিবহন ও ব্যবহার। ১০০টির বেশি দেশ তাতে সই করে। অবশ্য চুক্তিবদ্ধ হয়নি যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, ইরান।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীনের মতো পরাশক্তিসহ হাতেগোনা কয়েকটি দেশের কাছেই রয়েছে ক্লাস্টার প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার। ধারণা করা হয়, ইরানের রহস্যময় ক্ষেপণাস্ত্র বহরেও রয়েছে এই ওয়ারহেড। যার মধ্যে অন্যতম, খায়বার এবং ফাজর থ্রি ব্যালিস্টিক মিসাইল।