Gaza Strip-এ গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পরও ত্রাণ ও খাদ্যদানের প্রবাহ ন্যূনতম রূপেই রয়েছে, যার কারণে ক্ষুধা এবং অপুষ্টির পরিস্থিতি এখনও ভয়ংকর বলেই সতর্ক করেছে WHO।
WHO মহাপরিচালক Tedros Adhanom Ghebreyesus জানান, “যা ঢুকছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য” — ফলে “ক্ষুধার পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি”।
যুদ্ধবিরতির পর প্রতিদিন ত্রাণ সরবরাহের লক্ষ্য ছিল প্রায় ২ হাজার টন, তবে এখন প্রতিদিন মাত্র প্রায় ৭৫০ টন খাদ্যই গাজায় প্রবেশ করছে।
১১ হাজার ৫০০ গর্ভবতী নারীসহ গাজার অন্তত এক-চতুর্থাংশ জনগণ অনাহারে ভুগছে বলেও জাতিসংঘ জানিয়েছে।
শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি দ্রুত বাড়ছে: গাজা সিটিতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে কারেন্ট অ্যাকিউট ম্যালনিউট্রিশন হার এপ্রিল থেকে মাত্র দুই মাসে চারগুণ হয়েছে।
একটি অবরুদ্ধ এলাকায় মাত্র দুইটি প্রবেশপথ খোলা রয়েছে, যার ফলে মানবিক সহায়তা ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাপক বাধার মুখে পড়ে আছে।
এই পরিস্থিতি শুধু সাময়িক নয় — WHO ও অন্যান্য সংস্থাগুলো এক প্রজন্মের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে।
প্রধান বাধাগুলো হলো:
পর্যাপ্ত খাদ্য ও পুষ্টিকর উপাদান (বীজ, ফল, সবজি) না প্রবেশ করা
বাণিজ্যিক ট্রাকে অল্প পুষ্টিকর সামগ্রী ঢুকলেও তা দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য যথেষ্ট নয়
খাদ্য মূল্য ব্যাপক বেড়েছে, ফলে অধিকাংশ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা সংকুচিত
যুদ্ধবিরতির পর তৎপরতা বাড়ার কথা থাকলেও বাস্তবে গাজার পরিস্থিতি এখনও “বিপর্যয়কর” পর্যায়ে রয়েছে। খাদ্য ও পুষ্টি সংকট শুধু অকালে ক্ষুধার বিষয় নয় — ভবিষ্যতে শিশুসমূহের বিকাশ, জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘ-মেয়াদী ধাক্কা হতে পারে।

ডেস্ক রিপোর্ট 

























