ঢাকা , রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: ছারছীনা পীর সাহেব হামলার প্রতিবাদে গভীর রাতে শহিদ মিনারে শিক্ষকদের মোমবাতি প্রজ্বলন ২০২৬ সালের রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে থাকার ঘোষণা হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যরাতে ঢাকা গাজীপুর খুলনা সহ একযোগে ১৫ জেলার ডিসি বদল জয়পুরহাটে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থক চেতনানাশক খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই চক্রের নয় সদস্য গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে কেনো প্রতিবার অবহেলা— প্রশ্ন রুমিন ফারহানার খুলনায় দুই সাংবাদিকের উপর হামলা; স্থানীয় সাংবাদিক মহলের নিন্দা

প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে কাশি দেবেন, পরীক্ষার হলে বারবার কাশি দিয়ে ধরা পড়লেন চাকরিপ্রার্থী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০২:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৭৭৫ বার পড়া হয়েছে

এবার দিনাজপুর শহরের কসবা এলাকায় কেরী মেমোরিয়াল হাইস্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রে খাদ্য অধিদপ্তরের ‘উপখাদ্য পরিদর্শক’ পদের লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে এক চাকরিপ্রার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে দুটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে তাকে আটক করা হয়। আটক পরীক্ষার্থীর নাম কৃষ্ণকান্ত রায়। তিনি বিরল উপজেলার সিঙ্গুল পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত বছর স্নাতক সম্পন্ন করেন। দিনাজপুর শহরের ফকিরপাড়া এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকতেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চাকরির পরীক্ষার হলে বারবার কাশি দিচ্ছিলেন কৃষ্ণকান্ত রায়। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় তাকে তল্লাশি চালায় কৃর্তপক্ষ। এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি ডিভাইস। এর মধ্যে একটি তার কানে বিশেষ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। অন্যটি যুক্ত ছিল পরনের গেঞ্জির মধ্যে। পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে তাকে তাৎক্ষণিক আটক করেছে পুলিশ।

তারা আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে কৃষ্ণকান্ত রায় চাকরির পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত ঢাকার একটি চক্রের মাধ্যমে এসব ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন। যোগাযোগ ডিভাইসের অন্য প্রান্ত থেকে তাকে বলা হয়েছিল, প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে যেন কাশি দেন। বিষয়টি বুঝতে না পেরে বারবার কাশি দিতে গিয়ে ধরা পড়েন ওই চাকরিপ্রার্থী।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল, ওই কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থী ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন; কিন্তু সেটি কোন কক্ষে এবং কোন পরীক্ষার্থী— সেটি অস্পষ্ট ছিল। আমরা বিশেষ নজরদারিতে রেখেছিলাম। পরে ১০১ নম্বর রুমের ওই শিক্ষার্থীকে সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে আমরা তাকে তল্লাশি করি এবং সত্যটি বেরিয়ে আসে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে কাশি দেবেন, পরীক্ষার হলে বারবার কাশি দিয়ে ধরা পড়লেন চাকরিপ্রার্থী

আপডেট সময় ০২:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

এবার দিনাজপুর শহরের কসবা এলাকায় কেরী মেমোরিয়াল হাইস্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রে খাদ্য অধিদপ্তরের ‘উপখাদ্য পরিদর্শক’ পদের লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে এক চাকরিপ্রার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে দুটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে তাকে আটক করা হয়। আটক পরীক্ষার্থীর নাম কৃষ্ণকান্ত রায়। তিনি বিরল উপজেলার সিঙ্গুল পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত বছর স্নাতক সম্পন্ন করেন। দিনাজপুর শহরের ফকিরপাড়া এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকতেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চাকরির পরীক্ষার হলে বারবার কাশি দিচ্ছিলেন কৃষ্ণকান্ত রায়। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় তাকে তল্লাশি চালায় কৃর্তপক্ষ। এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি ডিভাইস। এর মধ্যে একটি তার কানে বিশেষ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। অন্যটি যুক্ত ছিল পরনের গেঞ্জির মধ্যে। পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে তাকে তাৎক্ষণিক আটক করেছে পুলিশ।

তারা আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে কৃষ্ণকান্ত রায় চাকরির পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত ঢাকার একটি চক্রের মাধ্যমে এসব ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন। যোগাযোগ ডিভাইসের অন্য প্রান্ত থেকে তাকে বলা হয়েছিল, প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে যেন কাশি দেন। বিষয়টি বুঝতে না পেরে বারবার কাশি দিতে গিয়ে ধরা পড়েন ওই চাকরিপ্রার্থী।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল, ওই কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থী ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন; কিন্তু সেটি কোন কক্ষে এবং কোন পরীক্ষার্থী— সেটি অস্পষ্ট ছিল। আমরা বিশেষ নজরদারিতে রেখেছিলাম। পরে ১০১ নম্বর রুমের ওই শিক্ষার্থীকে সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে আমরা তাকে তল্লাশি করি এবং সত্যটি বেরিয়ে আসে।