ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
হাসিনাকে প্রমোট করতে ভারত সর্বশক্তি ব্যবহার করছে: দাবি রনির মঞ্জু ভাই টাচ করে কথা বলা পছন্দ করতেন, শোল্ডার- হাতে ধরতো: বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক অধিনায়কের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র উন্মুক্ত মাঠে এবছরের সব তাফসির মাহফিল স্থগিত ঘোষণা করলেন মিজানুর রহমান আজহারী আরিফিন শুভর রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ফিরিয়ে দিতে বললেন পরিচালক শেখ হাসিনা ও আ. লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: প্রেসসচিব দুর্নীতি-দুঃশাসন মুক্তিতে কারও সাথে আপস করবে না জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান জবিতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে জমকালো কাওয়ালি সন্ধ্যা দলগুলো না পারলে গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: প্রেস সচিব কিছু ভুলের জন্য এনসিপিকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে: জিল্লুর রহমান

তিন বস্তা টাকা নিয়ে আলোচনায় আসা ভিক্ষুক সালেকা পাগলি মারা গেছেন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০১:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ পৌর শহরে জরাজীর্ণ ঘর থেকে দুই দফায় উদ্ধার হওয়া তিন বস্তা টাকা নিয়ে আলোচনায় আসা সেই ভিক্ষুক ‘সালেকা পাগলি’ মারা গেছেন।

 

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

 

 

সালেকা বেগম পৌর শহরের মাছুমপুর মহল্লার মৃত আব্দুস ছালামের স্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রায়পুরে জাতীয় জুট মিলের পরিত্যক্ত বারান্দায় বসবাস করতেন।

 

 

শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহরিয়ার শিপু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

তিনি বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে সালেকা পাগলি অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তবে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। কিন্তু গত ৯ অক্টোবর দুপুরে তার ব্যবহৃত পরিত্যক্ত বারান্দা থেকে দুই বস্তা টাকা উদ্ধার হয়। ওই বস্তা দুটিতে এক, দুই, পাঁচ, ১০, ২০, ৫০ ও শত টাকার অনেক নোট ও পয়সা পাওয়া যায়। এতে এক লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ টাকা পাওয়া যায়। দুদিন পর আরও একটি বস্তায় মেলে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

 

সালেকার মেয়ে স্বপ্না খাতুন বলেন, মা একটু অন্যরকম ছিল। ভিক্ষা করে টাকা জমিয়েছে, কিন্তু খরচ করতো না। টাকা উদ্ধারের পর বগুড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু ক্যানসার আক্রান্ত গত রাতে হয়ে মারা গেছেন। আজ মায়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসা বাবদ তার কিছু টাকা খরচ হয়েছে। আর বাকি টাকা আমি মায়ের নামে দান করবো।

 

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, নাম সালেকা বেগম হলেও সবাই তাকে সালেকা পাগলি নামেই চেনেন। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন। কখনো রান্না করতেন না, ভিক্ষা করে যা পেতেন তাই খেতেন। নিজস্ব কোনো বসতঘর ছিল না। এজন্য জুট মিলের পরিত্যক্ত বারান্দায় বসবাস করতেন।

 

 

 

 

 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনাকে প্রমোট করতে ভারত সর্বশক্তি ব্যবহার করছে: দাবি রনির

তিন বস্তা টাকা নিয়ে আলোচনায় আসা ভিক্ষুক সালেকা পাগলি মারা গেছেন

আপডেট সময় ০১:৫৪:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

সিরাজগঞ্জ পৌর শহরে জরাজীর্ণ ঘর থেকে দুই দফায় উদ্ধার হওয়া তিন বস্তা টাকা নিয়ে আলোচনায় আসা সেই ভিক্ষুক ‘সালেকা পাগলি’ মারা গেছেন।

 

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

 

 

সালেকা বেগম পৌর শহরের মাছুমপুর মহল্লার মৃত আব্দুস ছালামের স্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রায়পুরে জাতীয় জুট মিলের পরিত্যক্ত বারান্দায় বসবাস করতেন।

 

 

শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহরিয়ার শিপু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

তিনি বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে সালেকা পাগলি অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তবে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। কিন্তু গত ৯ অক্টোবর দুপুরে তার ব্যবহৃত পরিত্যক্ত বারান্দা থেকে দুই বস্তা টাকা উদ্ধার হয়। ওই বস্তা দুটিতে এক, দুই, পাঁচ, ১০, ২০, ৫০ ও শত টাকার অনেক নোট ও পয়সা পাওয়া যায়। এতে এক লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ টাকা পাওয়া যায়। দুদিন পর আরও একটি বস্তায় মেলে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

 

সালেকার মেয়ে স্বপ্না খাতুন বলেন, মা একটু অন্যরকম ছিল। ভিক্ষা করে টাকা জমিয়েছে, কিন্তু খরচ করতো না। টাকা উদ্ধারের পর বগুড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু ক্যানসার আক্রান্ত গত রাতে হয়ে মারা গেছেন। আজ মায়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসা বাবদ তার কিছু টাকা খরচ হয়েছে। আর বাকি টাকা আমি মায়ের নামে দান করবো।

 

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, নাম সালেকা বেগম হলেও সবাই তাকে সালেকা পাগলি নামেই চেনেন। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন। কখনো রান্না করতেন না, ভিক্ষা করে যা পেতেন তাই খেতেন। নিজস্ব কোনো বসতঘর ছিল না। এজন্য জুট মিলের পরিত্যক্ত বারান্দায় বসবাস করতেন।