ঢাকা , সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
মেহেরপুরে খোকসা যুব সংঘের কমিটি গঠন: সভাপতি হামিদুল, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা নাটোরে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি-জাতীয় পার্টির ৫০ নেতাকর্মী বরিশালে জামায়াত নেতার বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা মেহেরপুরে পদ্মফুল তুলতে গিয়ে একই পরিবারের চার শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু বিএনপির পাঁচ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার ‘ফজু পাগলা’ উপাধিতে গর্বিত বিএনপি প্রার্থী ফজলুর রহমান: বলেন, আমার জন্য সারা দেশের মানুষ পাগল গৌরীপুরে সংঘর্ষের জেরে বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার জিয়া পরিবারের আদর্শ ধরে রাখতে জীবন দিতেও পিছু হটবো না: এস এম জাহাঙ্গীর শাপলাকলি’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে এনসিপি: জনগণের রাজনীতি গড়ে তুলতে আহ্বান নাহিদ ইসলামের গৌরীপুরে বিএনপির মনোনয়ন দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত অন্তত ৪০

গাজার ধ্বংসস্তূপে জীবনের হাসি: এক বছর পর মুরগির মাংস পেয়ে শিশুর আনন্দে সিজদা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:২০:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা। দীর্ঘদিনের অবরোধে বিপর্যস্ত এখানকার জীবনযাত্রা। ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হামলা ও গুলির ভয় এড়িয়ে টিকে থাকাই যেখানে বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে পুষ্টিকর খাবার পাওয়া যেন স্বপ্নের মতোই বিলাসিতা।

যুদ্ধ চলাকালে গাজায় কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরায়েল। এমনকি সাগরে ফিলিস্তিনি জেলেদের মাছ ধরাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে গত ১০ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী। এরপর ধ্বংসস্তূপের বুকে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে; খুলতে শুরু করে হাটবাজার, ফিরে আসে স্বাভাবিকতার ছোঁয়া।

দীর্ঘ এক বছর পর সন্তানদের জন্য মুরগির মাংস কিনে আনেন এক ফিলিস্তিনি বাবা। তা দেখে আনন্দে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে এক শিশু। ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবনের ভেতরে বসা তিন শিশু হঠাৎ বাবার হাতে মুরগির মাংস দেখে আনন্দে চিৎকার করে ওঠে, “আল্লাহু আকবর! এটা কি সত্যিই মুরগি? আমরা আবার মুরগির মাংস খেতে যাচ্ছি!

ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আল জাজিরা সোমবার (২৭ অক্টোবর) ভিডিওটি প্রকাশ করে জানায়, এই দৃশ্য গাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ ও বেঁচে থাকার সংগ্রামের এক আবেগঘন প্রতিচ্ছবি।

অন্য এক ভিডিওতে দেখা যায়, একটি শিশুর হাতে আপেল দিয়ে তার নাম জানতে চাইলে সে বলে “তরমুজ”—যুদ্ধের ভয়াবহতায় ফলের নামও ভুলে গেছে শিশুরা।

দীর্ঘ দুই বছরের যুদ্ধে ভয়াবহ খাদ্যসংকটে ভুগেছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। অপুষ্টি ও অনাহারে শত শত শিশু মৃত্যুবরণ করেছে। কেউ কেউ ঘাস-লতা খেয়ে বেঁচে থেকেছে। ইসরায়েলি বর্বরতায় স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, এমনকি হাটবাজারও মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

এই প্রেক্ষাপটে এক টুকরো মুরগির মাংস গাজার শিশুদের জন্য শুধু খাবার নয়—এ যেন জীবনের স্বাদ ও আশার প্রতীক।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মেহেরপুরে খোকসা যুব সংঘের কমিটি গঠন: সভাপতি হামিদুল, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা

গাজার ধ্বংসস্তূপে জীবনের হাসি: এক বছর পর মুরগির মাংস পেয়ে শিশুর আনন্দে সিজদা

আপডেট সময় ১০:২০:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা। দীর্ঘদিনের অবরোধে বিপর্যস্ত এখানকার জীবনযাত্রা। ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হামলা ও গুলির ভয় এড়িয়ে টিকে থাকাই যেখানে বড় চ্যালেঞ্জ, সেখানে পুষ্টিকর খাবার পাওয়া যেন স্বপ্নের মতোই বিলাসিতা।

যুদ্ধ চলাকালে গাজায় কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরায়েল। এমনকি সাগরে ফিলিস্তিনি জেলেদের মাছ ধরাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে গত ১০ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী। এরপর ধ্বংসস্তূপের বুকে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে; খুলতে শুরু করে হাটবাজার, ফিরে আসে স্বাভাবিকতার ছোঁয়া।

দীর্ঘ এক বছর পর সন্তানদের জন্য মুরগির মাংস কিনে আনেন এক ফিলিস্তিনি বাবা। তা দেখে আনন্দে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে এক শিশু। ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবনের ভেতরে বসা তিন শিশু হঠাৎ বাবার হাতে মুরগির মাংস দেখে আনন্দে চিৎকার করে ওঠে, “আল্লাহু আকবর! এটা কি সত্যিই মুরগি? আমরা আবার মুরগির মাংস খেতে যাচ্ছি!

ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আল জাজিরা সোমবার (২৭ অক্টোবর) ভিডিওটি প্রকাশ করে জানায়, এই দৃশ্য গাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ ও বেঁচে থাকার সংগ্রামের এক আবেগঘন প্রতিচ্ছবি।

অন্য এক ভিডিওতে দেখা যায়, একটি শিশুর হাতে আপেল দিয়ে তার নাম জানতে চাইলে সে বলে “তরমুজ”—যুদ্ধের ভয়াবহতায় ফলের নামও ভুলে গেছে শিশুরা।

দীর্ঘ দুই বছরের যুদ্ধে ভয়াবহ খাদ্যসংকটে ভুগেছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। অপুষ্টি ও অনাহারে শত শত শিশু মৃত্যুবরণ করেছে। কেউ কেউ ঘাস-লতা খেয়ে বেঁচে থেকেছে। ইসরায়েলি বর্বরতায় স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, এমনকি হাটবাজারও মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

এই প্রেক্ষাপটে এক টুকরো মুরগির মাংস গাজার শিশুদের জন্য শুধু খাবার নয়—এ যেন জীবনের স্বাদ ও আশার প্রতীক।