ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পল্লবীতে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে গুলি ও হামলা, আহত ১ চকবাজারে ব্যবসায়ী হত্যা: বিচারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ ‘চাঁদাবাজদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে জাহান্নামের চৌরাস্তায় পাঠিয়ে দেয়া হবে’ ৫ কোটি টাকা চাঁদার দাবিতে বাস ভাংচুর, যুবদল নেতা দল থেকে বহিষ্কার খালি নির্বাচন নির্বাচন করেন, খুনি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না কেন?: বিএনপিকে জামায়াত নেতা রফিকুল ইরানের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রকে ছোট করে দেখা পশ্চিমাদের বড় ভুল: ফ্রান্স ছাত্রদল শহীদ পরিবারের পাশে সন্তানের মতো থাকবে: রাকিব তারা ভেবেছিল, কয়েকটি আসনের লোভ দেখিয়ে আমাদের কিনে নেবে: নাহিদ ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড: ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন গাজী ‘তারা প্রতি মাসে দুই লাখ করে টাকা চায়, না দেওয়ায় মেরেই ফেললো’

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যকে চাপ দিচ্ছেন মাখোঁ, স্টারমার সরকারের কূটনৈতিক দুশ্চিন্তা বাড়ছে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৮:৪০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ আসন্ন যুক্তরাজ্য সফরে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের ওপর জোরালো কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে চলেছেন। আগামী সপ্তাহে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে লন্ডনে যাচ্ছেন মাখোঁ। সফরকালীন তিনি পার্লামেন্টের দুই কক্ষে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকেও বসবেন, যেখানে এ ইস্যুটি থাকবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির প্রশ্নে ডাউনিং স্ট্রিট ও এলিসি প্রাসাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। যদিও উভয় পক্ষই বলছে—‘যথোপযুক্ত সময়েই’ স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তবে সময় ও কৌশলগত দিক নিয়ে দুই দেশের অবস্থান ভিন্ন। মাখোঁ দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী, এবং ইতিমধ্যে তিনি সৌদি আরবের সহায়তায় জাতিসংঘে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্যোগও নিয়েছিলেন। তবে ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের কারণে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।

ফ্রান্স মনে করছে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে তা মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিনের দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক শান্তি প্রক্রিয়াকে নতুন গতি দিতে পারে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের লেবার সরকার বিষয়টি নিয়ে কিছুটা দ্বিধায়। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, যদি স্বীকৃতি কেবল প্রতীকী হয় এবং হামাসের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর শর্ত আরোপ না করা হয়, তবে তা অর্থহীন হয়ে যাবে। তাঁদের মতে, স্বীকৃতির আগে হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ এবং শাসন থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা এমন একটি দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান চাই, যা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি—উভয়ের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি আমরা তখনই দেব, যখন তা শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য সর্বোচ্চ সহায়ক হবে।’’

অন্যদিকে, ইসরায়েল এই ধরনের স্বীকৃতিকে একতরফা পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে এবং বলছে, এটি ৭ অক্টোবরের হামলার পর হামাসকে পুরস্কৃত করার মতো হবে। ফলে ব্রিটেনের অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপে পড়তে পারে স্টারমার প্রশাসন।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাজ্যে নতুন একটি বামপন্থি রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, যার নেতৃত্বে থাকতে পারেন সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন। এই দল আরও সরাসরি ফিলিস্তিনপন্থি অবস্থানে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা স্টারমারের জন্য রাজনৈতিকভাবে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পল্লবীতে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে গুলি ও হামলা, আহত ১

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যকে চাপ দিচ্ছেন মাখোঁ, স্টারমার সরকারের কূটনৈতিক দুশ্চিন্তা বাড়ছে

আপডেট সময় ০৮:৪০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ আসন্ন যুক্তরাজ্য সফরে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের ওপর জোরালো কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে চলেছেন। আগামী সপ্তাহে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে লন্ডনে যাচ্ছেন মাখোঁ। সফরকালীন তিনি পার্লামেন্টের দুই কক্ষে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকেও বসবেন, যেখানে এ ইস্যুটি থাকবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির প্রশ্নে ডাউনিং স্ট্রিট ও এলিসি প্রাসাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। যদিও উভয় পক্ষই বলছে—‘যথোপযুক্ত সময়েই’ স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তবে সময় ও কৌশলগত দিক নিয়ে দুই দেশের অবস্থান ভিন্ন। মাখোঁ দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী, এবং ইতিমধ্যে তিনি সৌদি আরবের সহায়তায় জাতিসংঘে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্যোগও নিয়েছিলেন। তবে ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের কারণে সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।

ফ্রান্স মনে করছে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে তা মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিনের দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক শান্তি প্রক্রিয়াকে নতুন গতি দিতে পারে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের লেবার সরকার বিষয়টি নিয়ে কিছুটা দ্বিধায়। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, যদি স্বীকৃতি কেবল প্রতীকী হয় এবং হামাসের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর শর্ত আরোপ না করা হয়, তবে তা অর্থহীন হয়ে যাবে। তাঁদের মতে, স্বীকৃতির আগে হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ এবং শাসন থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা এমন একটি দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান চাই, যা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি—উভয়ের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি আমরা তখনই দেব, যখন তা শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য সর্বোচ্চ সহায়ক হবে।’’

অন্যদিকে, ইসরায়েল এই ধরনের স্বীকৃতিকে একতরফা পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে এবং বলছে, এটি ৭ অক্টোবরের হামলার পর হামাসকে পুরস্কৃত করার মতো হবে। ফলে ব্রিটেনের অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপে পড়তে পারে স্টারমার প্রশাসন।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাজ্যে নতুন একটি বামপন্থি রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, যার নেতৃত্বে থাকতে পারেন সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন। এই দল আরও সরাসরি ফিলিস্তিনপন্থি অবস্থানে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা স্টারমারের জন্য রাজনৈতিকভাবে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।