সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে ঘনিয়ে আসা ঘোলাটে পরিস্থিতিতে সবচেয়ে আগে বিপদে পড়বে জামায়াতে ইসলামী এবং এরপর বিএনপি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে রাজনৈতিক বিভ্রান্তি, ধর্মীয় ইস্যু, নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে এক হতাশাব্যঞ্জক চিত্র।
তিনি বলেন, “জামায়াতের ঘোর শত্রু একটি ইসলামি সংগঠন মাজার ভাঙছে, কিন্তু দায় চাপানো হচ্ছে জামায়াতের ঘাড়ে। ধর্ম নিয়ে যা কিছু ঘটছে, তার সবকিছুই তাদের ওপর চাপানো হচ্ছে, অথচ তারা এসবের সাথে জড়িত নয়।”
রনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “এরপর বিপদে পড়বে বিএনপি। এখন আওয়ামী লীগের লোকেরা চাঁদাবাজি করছে, কিন্তু অভিযোগ যাচ্ছে বিএনপির নামে। রাজনৈতিক দলগুলো এক ধরণের ঘূর্ণিপাকে আটকে গেছে। যতক্ষণ না নতুন নেতৃত্ব আসে, ততক্ষণ এই ঘোলাটে পরিস্থিতি থেকে মুক্তি নেই।”
গোলাম মাওলা রনি স্পষ্ট করে বলেন, ২০২৫ কিংবা ২০২৬— কোনো সালেই জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকি ২০২৭ সালেও নয়। তিনি ধারণা দেন, “২০২৮ সালে নির্বাচন হতে পারে, যদি না সেটিও পিছিয়ে যায়। এই সময়ের মধ্যে ‘খেলোয়াড়ের সেট’ বদলাতে হবে। বর্তমানে যেভাবে মাঠ সাজানো হয়েছে, তাতে একটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে হওয়া সম্ভব নয়।”
সরকার ঘোষিত রাজনৈতিক সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যা হচ্ছে তা আসলে বাস্তবায়নযোগ্য নয়। কোনো সংস্কারই কার্যকর হবে না। কেউ কেউ মার্কিন সংস্কৃতি নকল করছেন, কেউ ভারতীয় কপি করছেন— এতে শুধু সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে।”
আসন্ন সময়ে রাজনীতির প্রতিশোধপরায়ণ চিত্র আঁকেন গোলাম মাওলা রনি। বলেন, “যারা আগামীতে ক্ষমতায় আসবে, তারা এ সরকারের আমলে যতটা নিগৃহীত হয়েছেন, তা কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করে ছাড়বেন। এটাই হবে দেশের রাজনৈতিক নিয়তি।”