একসময় পাকিস্তানকে ‘মিথ্যা ও প্রতারণা’ ছাড়া কিছু দেয়নি বলে কঠোর সমালোচনা করা ডোনাল্ড ট্রাম্প, এখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে ওভাল অফিসে নিয়ে ‘খুব দারুণ মানুষ’ হিসেবে প্রশংসা করছেন। এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্কের দ্রুত পরিবর্তনের নিদর্শন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সম্পর্কের উষ্ণতা আদর্শ বা কৌশলগত কারণে নয়, বরং ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ও লেনদেনভিত্তিক পদক্ষেপের ফল। পাকিস্তান কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে সন্তুষ্ট করেছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- অ্যাবি গেট হামলার মূল পরিকল্পনাকারীর গ্রেপ্তার।
- ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা।
- ভূ-অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের ইঙ্গিত, বিশেষ করে তেল ও খনিজ অনুসন্ধান ও ক্রিপ্টো প্রকল্প।
বাইডেন প্রশাসনের সময় পাকিস্তান উপেক্ষিত হলেও, ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি সেনা নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগে স্বচ্ছন্দ। বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, এই সম্পর্কের ভিত্তি আদর্শিক নয়, বরং পারস্পরিক স্বার্থের ওপর নির্ভরশীল।

ডেস্ক রিপোর্ট 
























