ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিলেটের জাফলংসহ ৫ পাথর কোয়ারি আর ইজারা দেয়া হবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা  ফের ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে তেহরান জ্বলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী  আর কোনোদিন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে উঠব না: ওয়ার্নার বাংলাদেশ–লাগোয়া ধুবড়িতে ‘দুষ্কৃতকারীদের’ দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আরও দুই জেনারেল নিহত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে: দুদু ইরানের পর এবার ইসরায়েলে রকেট হামলা চালালো আরেক মুসলিম দেশ! ইরানের পাশে দাঁড়াল ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক: প্রেসসচিব

চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হলে সেভেন সিস্টার্সও লাভবান হবে: প্রধান উপদেষ্টা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৫:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • ৫৪১ বার পড়া হয়েছে

এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশের নয়, আশপাশের দেশগুলোর অর্থনীতির জন্যও হৃৎপিণ্ডস্বরূপ। এই বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পেলে নেপাল, ভুটান এমনকি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যও (সেভেন সিস্টার্স) লাভবান হবে।

আজ বুধবার (১৪ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৫ নম্বর ইয়ার্ড পরিদর্শনের সময় বন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই বন্দর কেবল বাংলাদেশের হৃৎপিণ্ড নয়, বরং তা হয়ে উঠতে পারে এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। তাই নেপাল, ভুটান কিংবা সেভেন সিস্টার্স— সবার জন্য এটি একটাই হৃৎপিণ্ড। নেপালের তো সমুদ্রবন্দর নেই, আমাদের এই হৃৎপিণ্ডের মাধ্যমে তাদের চলতে হবে। আমরা সেই সংযোগ তৈরি করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘হৃৎপিণ্ডে যুক্ত হলে শুধু তারা নয়, আমরাও উপকৃত হবো। এটি কোনো দয়াদাক্ষিণ্য নয়, পারস্পরিক লাভের বিষয়। যারা এই সংযোগ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখবে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা চাই সবাই মিলে এই বন্দর থেকে শক্তি গ্রহণ করুক, যেনো অর্থনীতির গতি বাড়ে।’ চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে নিজের শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ‘এই বন্দর আমার জন্য অপরিচিত কিছু নয়। ছোটবেলায় এখানে বড় হয়েছি, ছাত্রাবস্থায়ও এসেছি জাহাজ দেখতে। তখন দেখতাম, জাহাজ থেকে শ্রমিকেরা কাঁধে করে মাল তুলছে। পরে ক্রেন এলো। সেই পর্যায় পেরিয়ে আজকের আধুনিক বন্দরে রূপ নিয়েছে চট্টগ্রাম।’

তবে বন্দরের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সবকিছু পাল্টে গেলেও বন্দরের পরিবর্তন কেন এত ধীরগতি? এটা নতুন প্রশ্ন নয়। চট্টগ্রামবাসী হিসেবে অনেকবার এই ভোগান্তি দেখেছি। রাস্তায় যানজট, ট্রাক ঠাসা, মাল খালাসে বিলম্ব, ট্রেন মিস— এসব সমস্যা পুরনো। এসব ভেবে আগেও লেখালেখি করেছি, এবার দায়িত্বে এসে শুরু থেকেই নজর দিচ্ছি, কীভাবে বন্দরের কার্যকারিতা বাড়ানো যায়।’

বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরই হলো আমাদের ভরসার জায়গা। এটিকে উপেক্ষা করে দেশের অর্থনীতির নতুন অধ্যায়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই পথ খুলে দিলে অর্থনীতির পথও খুলে যাবে। না খুললে যত চেষ্টা করি, উন্নতির স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।’

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটের জাফলংসহ ৫ পাথর কোয়ারি আর ইজারা দেয়া হবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা 

চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হলে সেভেন সিস্টার্সও লাভবান হবে: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশের নয়, আশপাশের দেশগুলোর অর্থনীতির জন্যও হৃৎপিণ্ডস্বরূপ। এই বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পেলে নেপাল, ভুটান এমনকি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যও (সেভেন সিস্টার্স) লাভবান হবে।

আজ বুধবার (১৪ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৫ নম্বর ইয়ার্ড পরিদর্শনের সময় বন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই বন্দর কেবল বাংলাদেশের হৃৎপিণ্ড নয়, বরং তা হয়ে উঠতে পারে এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। তাই নেপাল, ভুটান কিংবা সেভেন সিস্টার্স— সবার জন্য এটি একটাই হৃৎপিণ্ড। নেপালের তো সমুদ্রবন্দর নেই, আমাদের এই হৃৎপিণ্ডের মাধ্যমে তাদের চলতে হবে। আমরা সেই সংযোগ তৈরি করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘হৃৎপিণ্ডে যুক্ত হলে শুধু তারা নয়, আমরাও উপকৃত হবো। এটি কোনো দয়াদাক্ষিণ্য নয়, পারস্পরিক লাভের বিষয়। যারা এই সংযোগ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখবে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা চাই সবাই মিলে এই বন্দর থেকে শক্তি গ্রহণ করুক, যেনো অর্থনীতির গতি বাড়ে।’ চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে নিজের শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ‘এই বন্দর আমার জন্য অপরিচিত কিছু নয়। ছোটবেলায় এখানে বড় হয়েছি, ছাত্রাবস্থায়ও এসেছি জাহাজ দেখতে। তখন দেখতাম, জাহাজ থেকে শ্রমিকেরা কাঁধে করে মাল তুলছে। পরে ক্রেন এলো। সেই পর্যায় পেরিয়ে আজকের আধুনিক বন্দরে রূপ নিয়েছে চট্টগ্রাম।’

তবে বন্দরের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সবকিছু পাল্টে গেলেও বন্দরের পরিবর্তন কেন এত ধীরগতি? এটা নতুন প্রশ্ন নয়। চট্টগ্রামবাসী হিসেবে অনেকবার এই ভোগান্তি দেখেছি। রাস্তায় যানজট, ট্রাক ঠাসা, মাল খালাসে বিলম্ব, ট্রেন মিস— এসব সমস্যা পুরনো। এসব ভেবে আগেও লেখালেখি করেছি, এবার দায়িত্বে এসে শুরু থেকেই নজর দিচ্ছি, কীভাবে বন্দরের কার্যকারিতা বাড়ানো যায়।’

বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরই হলো আমাদের ভরসার জায়গা। এটিকে উপেক্ষা করে দেশের অর্থনীতির নতুন অধ্যায়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই পথ খুলে দিলে অর্থনীতির পথও খুলে যাবে। না খুললে যত চেষ্টা করি, উন্নতির স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।’