ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে: রাশিয়ার জেনারেল ১০ মাস পর লন্ডনে প্রকাশ্যে দেখা গেল সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে যথেষ্ট হয়েছে, এবার থামুন: ইরান-ইসরায়েলকে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ নয়’, জানালেন বিবিসিকে; লন্ডনে রাজা ও মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক, তহবিল পাচার তদন্তে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা ড. ইউনূসকে দেশের কাজে যুক্ত রাখতে চায় বিএনপি “জাতীয় স্বার্থে ড. ইউনূসের প্রয়োজন আছে” — তারেক রহমান ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে আমেরিকা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করল ইরান, তেলের বাজারে উত্তেজনা জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচন নয়”—তারেক-ইউনূস বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর অজ্ঞাত স্থানে নেতানিয়াহু, নিহত ইরানের শীর্ষ জেনারেলরা

চার লাখ মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনকে সমাজকল্যাণে কাজে লাগানোর আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:১১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • ২০৭ বার পড়া হয়েছে

দেশের চার লাখ মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সমাজকল্যাণমূলক কাজে যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। বুধবার (১৪ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “এই দেশের শহর-গ্রামে, পাহাড়-সমতলে মানবদেহের শিরা-উপশিরার মতো প্রায় চার লাখ মসজিদের বিশাল বড় নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে আছে। সব রাজনৈতিক দল কিংবা সরকারি অফিসের সংখ্যাও হয়তো এত বড় নয়। চার লাখ মসজিদে অন্তত আট লাখ ইমাম ও মুয়াজ্জিন রয়েছেন। এই বিশাল নেটওয়ার্ক এবং জনশক্তিকে সঠিক ও ইতিবাচকভাবে কাজে লাগালে রাষ্ট্র বহু উপকার পেতে পারে।”

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “সরকার চাইলে এই জনবলকে দুর্যোগ মোকাবেলা, পরিবেশ সুরক্ষা, নাগরিক সেবা, স্থানীয় সরকার কার্যক্রম, বিবাহ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনসহ নানা সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করতে পারে। ধর্মীয় আবেগ এই দেশের বাস্তবতা। মসজিদ ও আলেমদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা অনেক বেশি। এই আস্থা ও বিশ্বাসকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে পারলে সমাজ ও রাষ্ট্র অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “এজন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা ও যথাযথ প্রশিক্ষণ। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই বিশাল অবকাঠামো ও জনশক্তিকে বাস্তবভাবে কাজে লাগানো সম্ভব। চার লাখ মসজিদের সম্ভাবনাময় এই নেটওয়ার্ককে অবজ্ঞা করে একটি দেশের উন্নয়ন কল্পনা করা কঠিন।”

জুমার খুতবার সময়টিকে কার্যকরভাবে ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই দেশের মানুষ শুক্রবার সকালে ফ্রেশ হয়ে, কড় কড়া ইস্ত্রি করা পাঞ্জাবি পরে মসজিদে যান। শুক্রবার সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে গড়ে প্রতিটি মসজিদে দেড় শ মুসুল্লি উপস্থিত থাকলে, একসঙ্গে জড়ো হন প্রায় ছয় কোটি মানুষ। আর তাদের পেছনে থাকে তাদের পরিবার। জুমার মিম্বারকে ব্যবহার করে সমাজে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।”

শায়খ আহমাদুল্লাহর এই আহ্বান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং অনেকেই এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত বলে অভিহিত করছেন।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে: রাশিয়ার জেনারেল

চার লাখ মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনকে সমাজকল্যাণে কাজে লাগানোর আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর

আপডেট সময় ১০:১১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

দেশের চার লাখ মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সমাজকল্যাণমূলক কাজে যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। বুধবার (১৪ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “এই দেশের শহর-গ্রামে, পাহাড়-সমতলে মানবদেহের শিরা-উপশিরার মতো প্রায় চার লাখ মসজিদের বিশাল বড় নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে আছে। সব রাজনৈতিক দল কিংবা সরকারি অফিসের সংখ্যাও হয়তো এত বড় নয়। চার লাখ মসজিদে অন্তত আট লাখ ইমাম ও মুয়াজ্জিন রয়েছেন। এই বিশাল নেটওয়ার্ক এবং জনশক্তিকে সঠিক ও ইতিবাচকভাবে কাজে লাগালে রাষ্ট্র বহু উপকার পেতে পারে।”

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “সরকার চাইলে এই জনবলকে দুর্যোগ মোকাবেলা, পরিবেশ সুরক্ষা, নাগরিক সেবা, স্থানীয় সরকার কার্যক্রম, বিবাহ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনসহ নানা সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করতে পারে। ধর্মীয় আবেগ এই দেশের বাস্তবতা। মসজিদ ও আলেমদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা অনেক বেশি। এই আস্থা ও বিশ্বাসকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে পারলে সমাজ ও রাষ্ট্র অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “এজন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা ও যথাযথ প্রশিক্ষণ। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই বিশাল অবকাঠামো ও জনশক্তিকে বাস্তবভাবে কাজে লাগানো সম্ভব। চার লাখ মসজিদের সম্ভাবনাময় এই নেটওয়ার্ককে অবজ্ঞা করে একটি দেশের উন্নয়ন কল্পনা করা কঠিন।”

জুমার খুতবার সময়টিকে কার্যকরভাবে ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই দেশের মানুষ শুক্রবার সকালে ফ্রেশ হয়ে, কড় কড়া ইস্ত্রি করা পাঞ্জাবি পরে মসজিদে যান। শুক্রবার সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে গড়ে প্রতিটি মসজিদে দেড় শ মুসুল্লি উপস্থিত থাকলে, একসঙ্গে জড়ো হন প্রায় ছয় কোটি মানুষ। আর তাদের পেছনে থাকে তাদের পরিবার। জুমার মিম্বারকে ব্যবহার করে সমাজে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।”

শায়খ আহমাদুল্লাহর এই আহ্বান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং অনেকেই এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত বলে অভিহিত করছেন।