ঢাকা , সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
খালেদা জিয়ার সম্মান রাখুন, প্রার্থী প্রত্যাহার করুন: জামায়াতকে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আসামে বহুবিবাহ প্রতিরোধ বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন: বহুবিবাহে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রস্তাব ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমে যুবলীগ নেতা আটক টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে হামলা-ভাঙচুর, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ আহত ৩ ধানের শীষ আপনাদের পাশে আছে: নৌকার সমর্থকদের মির্জা ফখরুল আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় ভারতের রিফিউজি ক্যাম্পে ছিলেন: মির্জা ফখরুল জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারেক রহমান: মঈন খান রাস্তা বন্ধ করে যাতায়াত, গাজীপুরের সেই পুলিশ কমিশনার বরখাস্ত বিএনপি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের দল: মির্জা ফখরুল পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন: পুলিশ

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ: প্রস্তরযুগে ফিরে গেল খাল্লেত আল-ডাবা গ্রাম

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

অধিকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণে মাসাফার ইয়াত্তার ছোট্ট গ্রাম খাল্লেত আল-ডাবা। গত মে মাসের এক সকালে হঠাৎ বুলডোজার ও ভারী যন্ত্রের গর্জনে কেঁপে ওঠে গ্রামের শান্ত পরিবেশ। সঙ্গে ছিল ইসরায়েলি সেনারা। তারা গ্রামবাসীদের ঘর থেকে টেনে বের করে দেয়, আর গবাদি পশুগুলো ছেড়ে দেয় খোলা মাঠে।

ঘটনাটি ঘটে ৫ মে। দিন শেষে ধুলায় মিশে যায় ফিলিস্তিনিদের ছোট্ট এই সম্প্রদায়ের বাড়িঘর। আলজাজিরার বুধবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরই অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত চারটি এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। স্থানীয়দের কাছে এটি এক ‘নতুন নাকবা’—১৯৪৮ সালের সেই ভয়াবহ বাস্তুচ্যুতির পুনরাবৃত্তি।

ফিলিস্তিনিদের বর্ণনায়, সেনারা কয়েক ডজন সাঁজোয়া যান ও জিপ নিয়ে গ্রাম ঘিরে ফেলে। নারী-শিশুসহ সবাইকে জ্বলন্ত সূর্যের নিচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, আর তাদের চোখের সামনেই ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়।

বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো এখন নতুন জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন পুরোনো গুহায়, কেউ বা নাজুক তাঁবুতে জীবন কাটাচ্ছেন। শীতের কনকনে ঠান্ডা আর গ্রীষ্মের তপ্ত রোদ—দুইয়ের মাঝেই অসহায়ভাবে টিকে আছেন তারা।

পার্শ্ববর্তী আত-তুবানি গ্রামের কাউন্সিলপ্রধান মোহাম্মদ রাবিয়া বলেন,

“এই ধ্বংসযজ্ঞ আমাদের সব মৌলিক সুবিধা—পানি, বিদ্যুৎ, সৌরশক্তি, পানির কূপ, আবর্জনার পাত্র, এমনকি রাস্তার বাতিও ধ্বংস করেছে। আমরা যেন আবার প্রস্তরযুগে ফিরে গেছি।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“আমাদের জীবনযাপনের জন্য কিছুই অবশিষ্ট নেই, তবুও কেউ গ্রাম ছেড়ে যায়নি।”

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার সম্মান রাখুন, প্রার্থী প্রত্যাহার করুন: জামায়াতকে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ: প্রস্তরযুগে ফিরে গেল খাল্লেত আল-ডাবা গ্রাম

আপডেট সময় ১১:০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

অধিকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণে মাসাফার ইয়াত্তার ছোট্ট গ্রাম খাল্লেত আল-ডাবা। গত মে মাসের এক সকালে হঠাৎ বুলডোজার ও ভারী যন্ত্রের গর্জনে কেঁপে ওঠে গ্রামের শান্ত পরিবেশ। সঙ্গে ছিল ইসরায়েলি সেনারা। তারা গ্রামবাসীদের ঘর থেকে টেনে বের করে দেয়, আর গবাদি পশুগুলো ছেড়ে দেয় খোলা মাঠে।

ঘটনাটি ঘটে ৫ মে। দিন শেষে ধুলায় মিশে যায় ফিলিস্তিনিদের ছোট্ট এই সম্প্রদায়ের বাড়িঘর। আলজাজিরার বুধবারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছরই অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত চারটি এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। স্থানীয়দের কাছে এটি এক ‘নতুন নাকবা’—১৯৪৮ সালের সেই ভয়াবহ বাস্তুচ্যুতির পুনরাবৃত্তি।

ফিলিস্তিনিদের বর্ণনায়, সেনারা কয়েক ডজন সাঁজোয়া যান ও জিপ নিয়ে গ্রাম ঘিরে ফেলে। নারী-শিশুসহ সবাইকে জ্বলন্ত সূর্যের নিচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, আর তাদের চোখের সামনেই ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়।

বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো এখন নতুন জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন পুরোনো গুহায়, কেউ বা নাজুক তাঁবুতে জীবন কাটাচ্ছেন। শীতের কনকনে ঠান্ডা আর গ্রীষ্মের তপ্ত রোদ—দুইয়ের মাঝেই অসহায়ভাবে টিকে আছেন তারা।

পার্শ্ববর্তী আত-তুবানি গ্রামের কাউন্সিলপ্রধান মোহাম্মদ রাবিয়া বলেন,

“এই ধ্বংসযজ্ঞ আমাদের সব মৌলিক সুবিধা—পানি, বিদ্যুৎ, সৌরশক্তি, পানির কূপ, আবর্জনার পাত্র, এমনকি রাস্তার বাতিও ধ্বংস করেছে। আমরা যেন আবার প্রস্তরযুগে ফিরে গেছি।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“আমাদের জীবনযাপনের জন্য কিছুই অবশিষ্ট নেই, তবুও কেউ গ্রাম ছেড়ে যায়নি।”