বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু মন্তব্য করেছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মানুষের স্বপ্ন পূরণের ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হয়েছেন। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করার কারণেই তারেক রহমান একজন শুদ্ধ রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার কবজ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাদা দল আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “বাংলাদেশে শহীদ জিয়াউর রহমানের শাসনকালই হচ্ছে গৌরবের শাসনকাল, পথ নিদর্শনমূলক শাসনকাল। এই সময়টা অন্য কোনো শাসনের সঙ্গে মিলবে না। বেগম খালেদা জিয়া এই শাসন কাঠামো অনুসরণ করেছিলেন বলে তিনিও ইতিহাসের সেই মানুষ হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন, যার কারণে এখন তিনি রাজনীতিতে না থাকলেও উচ্চ মাত্রায় অভিহিত হয়েছেন।”
সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় এবং অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, “জিয়াউর রহমান ছিলেন বাস্তববাদী ও ভবিষ্যতমুখী নেতা এবং জাতি পুনর্গঠনের সাহসী পথপ্রদর্শক। জাতির ক্রান্তিকালে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার কাঁধে নিয়ে তিনি জাতিকে নতুন আত্মপরিচয় ও আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান করেন। তিনি ছিলেন উৎপাদনমুখী রাজনীতি ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার।” তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান একজন শিক্ষাবান্ধব প্রেসিডেন্ট হিসেবে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, “গত ১৭ বছরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমন ক্রান্তিকালে আমরা প্রত্যাশা করি আগামীর বাংলাদেশ হবে শিক্ষানির্ভর। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছেন সেখানে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।”
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, সেমিনার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন এবং সদস্যসচিব অধ্যাপক এম এ কাউসার।