ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণকারী আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মায়ামি পেয়েছে টুর্নামেন্টের প্রথম জয়। ইউরোপের অন্যতম পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তোকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছেন লিওনেল মেসিরা। আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিকে দলকে জয় এনে দেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। একইসঙ্গে তিনি ফিফার সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের রেকর্ড গড়েন।
পেনাল্টিতে পোর্তোর এগিয়ে যাত্রা
খেলার শুরু থেকেই ছন্দে ছিল পোর্তো। ম্যাচের মাত্র অষ্টম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে যায় তারা। মায়ামি ডিফেন্ডার নোয়াহ অ্যালেন নিজেদের বক্সে ফাউল করলে ভিএআরের সহায়তায় রেফারি স্পট কিকের নির্দেশ দেন। পোর্তোর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সামু আঘেহোয়া গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। প্রথমার্ধজুড়ে নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেও ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হয় ইউরোপিয়ান ক্লাবটি।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরল মায়ামি
বিরতির পর যেন পুরো চেহারাই বদলে ফেলে ইন্টার মায়ামি। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটেই মার্সেলো উইগান্ধটের ক্রস থেকে হাফভলিতে এক স্পর্শে গোল করেন উইঙ্গার তেলাস্কো সেগোভিয়া। স্কোরলাইন সমতায় এলে ম্যাচে ছন্দ খুঁজে পায় মেসি-সুয়ারেজদের আক্রমণভাগ।
মেসির জাদুকরী ফ্রি-কিকে জয়
৭২তম মিনিটে পোর্তোর ডিফেন্ডার রদ্রিগো মোরা মেসিকে ডি-বক্সের বাইরে ফাউল করলে ফ্রি-কিক পায় মায়ামি। এরপর চেনা ভঙ্গিতে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে বল জড়ান ডানবারের কোণে—দর্শনীয় সেই ফ্রি-কিকেই জয় নিশ্চিত করেন মেসি। এটি ছিল ফিফা আয়োজিত প্রতিযোগিতায় তার ২৫তম গোল। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ১০টি ভিন্ন ফিফা টুর্নামেন্টে খেলে তিনিই এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা।
পয়েন্ট টেবিলের হিসাব
দুই ম্যাচ শেষে এক জয় ও এক ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ইন্টার মায়ামি উঠে গেছে ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে আছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস। ফলে নকআউট পর্বে ওঠার দৌড়ে এই দুই দলই এগিয়ে।