ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
প্রশাসনে বড় রদবদল: ৫ সচিবসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর ইসরায়েলি হাসপাতালে ইরানের ক্লাস্টার বোমা! নেতানিয়াহুর হুংকার, ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’ ইসরায়েলে ইরানের ভয়াবহ হামলা, তেল আবিব ও হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন বৃষ্টি চেক ডিজঅনার মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান-এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইরানের হামলায় আতঙ্ক, দেশ ছাড়তে সিনাইয়ে ইসরায়েলিদের ভিড় ছয় দিনের যুদ্ধ বনাম সাত দিনের প্রতিরোধ: ‘এইবার নয়’—ইতিহাসকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ইরান? ‘কেউই রেহাই পাবে না’: খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর ‘ইরান এখনো তার সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বেরই করেনি’: তাসনিম নিউজ তারেক রহমান মানুষের স্বপ্ন পূরণের ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হয়েছেন: দুদু ইসরাইলি আগ্রাসন রুখে দিতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি ছারছীনা পীরের আহ্বান

“গাজা সম্পূর্ণ দখল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবেই”— স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান নেতানিয়াহুর

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৮:৫৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

গাজা পুরোপুরি দখল না করা পর্যন্ত ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ হবে না—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গাজায় কোনও স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে তিনি রাজি নন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর বরাতে এই তথ্য জানা গেছে।

জেরুজালেমে নিজের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা জানি গাজায় এখনও অন্তত ২০ জন ইসরায়েলি বন্দি জীবিত রয়েছেন এবং আরও প্রায় ৩৮ জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “শুধু বন্দিদের মুক্তির জন্য স্বল্প সময়ের ‘অস্থায়ী বিরতি’ হতে পারে, তবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কোনও প্রশ্নই আসে না।”

অন্যদিকে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে এখনও অন্তত ১০,১০০ ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন, যাদের অনেকে নির্যাতন, অনাহার ও চিকিৎসা অবহেলার শিকার হচ্ছেন।

হামাস এর আগে বহুবার জানিয়েছে, তারা সমস্ত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত, যদি ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করে, সেনা প্রত্যাহার করে এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়। কিন্তু নেতানিয়াহু এই শর্তগুলো সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল, নিরস্ত্রীকরণ এবং পূর্ণ পুনর্দখলের পরিকল্পনার ওপর জোর দেন।

তবে ইসরায়েলের ভেতর থেকেই নেতানিয়াহুর এই যুদ্ধনীতি নিয়ে উঠেছে তীব্র সমালোচনা। বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ বলেন, “নেতানিয়াহুর বক্তব্যের মানে হলো—গাজা দখল বহু বছর স্থায়ী হবে।” তিনি অভিযোগ করেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়ের কথা বলে নেতানিয়াহু জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন।”

আরেক বিরোধী নেতা ইয়াইর গোলান বলেন, “নেতানিয়াহু এখন এক ভেঙে পড়া, মিথ্যা বলা, দায়িত্ব এড়ানো নেতায় পরিণত হয়েছেন। আমি তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব এবং পরবর্তী নির্বাচনে তাকে পরাজিত করব।”

এদিকে, গাজায় বন্দি থাকা ব্যক্তিদের পরিবারের সংগঠন এক বিবৃতিতে বলে, “আমরা হয়তো ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্দিমুক্তির সুযোগ হারাতে চলেছি। ১৯ মাস পেরিয়ে গেলেও এই যুদ্ধের শেষ নেই, গাজার পুনর্গঠনেরও কোনও আভাস নেই।”

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক মহলে এই যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও নেতানিয়াহুর যুদ্ধ নীতির কোনও পরিবর্তনের আভাস মেলেনি।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনে বড় রদবদল: ৫ সচিবসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

“গাজা সম্পূর্ণ দখল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবেই”— স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান নেতানিয়াহুর

আপডেট সময় ০৮:৫৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

গাজা পুরোপুরি দখল না করা পর্যন্ত ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ হবে না—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গাজায় কোনও স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে তিনি রাজি নন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর বরাতে এই তথ্য জানা গেছে।

জেরুজালেমে নিজের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা জানি গাজায় এখনও অন্তত ২০ জন ইসরায়েলি বন্দি জীবিত রয়েছেন এবং আরও প্রায় ৩৮ জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “শুধু বন্দিদের মুক্তির জন্য স্বল্প সময়ের ‘অস্থায়ী বিরতি’ হতে পারে, তবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কোনও প্রশ্নই আসে না।”

অন্যদিকে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে এখনও অন্তত ১০,১০০ ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন, যাদের অনেকে নির্যাতন, অনাহার ও চিকিৎসা অবহেলার শিকার হচ্ছেন।

হামাস এর আগে বহুবার জানিয়েছে, তারা সমস্ত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত, যদি ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করে, সেনা প্রত্যাহার করে এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেয়। কিন্তু নেতানিয়াহু এই শর্তগুলো সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল, নিরস্ত্রীকরণ এবং পূর্ণ পুনর্দখলের পরিকল্পনার ওপর জোর দেন।

তবে ইসরায়েলের ভেতর থেকেই নেতানিয়াহুর এই যুদ্ধনীতি নিয়ে উঠেছে তীব্র সমালোচনা। বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ বলেন, “নেতানিয়াহুর বক্তব্যের মানে হলো—গাজা দখল বহু বছর স্থায়ী হবে।” তিনি অভিযোগ করেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়ের কথা বলে নেতানিয়াহু জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন।”

আরেক বিরোধী নেতা ইয়াইর গোলান বলেন, “নেতানিয়াহু এখন এক ভেঙে পড়া, মিথ্যা বলা, দায়িত্ব এড়ানো নেতায় পরিণত হয়েছেন। আমি তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব এবং পরবর্তী নির্বাচনে তাকে পরাজিত করব।”

এদিকে, গাজায় বন্দি থাকা ব্যক্তিদের পরিবারের সংগঠন এক বিবৃতিতে বলে, “আমরা হয়তো ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্দিমুক্তির সুযোগ হারাতে চলেছি। ১৯ মাস পেরিয়ে গেলেও এই যুদ্ধের শেষ নেই, গাজার পুনর্গঠনেরও কোনও আভাস নেই।”

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক মহলে এই যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও নেতানিয়াহুর যুদ্ধ নীতির কোনও পরিবর্তনের আভাস মেলেনি।