লালবাগ মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ মাহদীর বিরুদ্ধে চাকরি থেকে অব্যাহতি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে নিজেই এই অভিযোগ করে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ्यमে একটি বিস্তারিত পোস্ট দিয়েছেন।
পোস্টে আশরাফ মাহদী বলেন, “লালবাগ মাদরাসা থেকে আমাকে অব্যাহতির সংবাদ পেলাম। কারন হিসেবে বলা হয়েছে—এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন।” তিনি জানান, মাদরাসার মজলিসে শুরার একটি জরুরি বৈঠকে (২০ অক্টোবর সোমবার) তাকে মাদরাসা থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং মজলিসে শুরার একজন সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ তাঁকে ফোনে এ সংবাদ জানায়।
আশরাফ মাহদী জানান, হুজুর স্পষ্ট কোনো কারণ জানাতে পারেননি; তবে শুরার দুজন শিক্ষকের দাবি ছিল—
১) “তুমি ছাত্রদের বেয়াদব বলেছো, তাই ছাত্ররা তোমার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে; তোমাকে বহিষ্কার না করলে ছাত্র আন্দোলন থামবে না।” (তবে আশরাফ দাবি করেন, যেটাকে তারা ছাত্র আন্দোলন বলছে সেটি ছিল মাত্র ১৫–২০ ছাত্রের হৈ-হুল্লোড়।)
২) “তুমি এনসিপি করো; এনসিপি নাস্তিকদের সংগঠন—এমন কারণে মাদরাসার কোনো শিক্ষক এনসিপি করতে পারবেন না।”
আশরাফ বলেন, তিনি কখনো সরাসরি ছাত্রদের “বেয়াদব” বলেননি; বরং উস্তাদদের সামনে ছাত্রদের বহিষ্কারের স্লোগান দেওয়ার ও পুনরায় শান্ত না হওয়াকে বেয়াদব বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন—এটি কি মাদরাসা থেকে বহিষ্কারের মতোন অপরাধ? এছাড়া, এনসিপি করার বিষয়টি অগ্রাহ্য করে তাদের দাবি-সংযোজনের সপক্ষে কোন কুরআনি বা সুন্নাহ ভিত্তিপ্রতিপাদ্য দাবি করা হয়নি, এমনটিও তিনি উল্লেখ করেছেন।
ফোনকলে হুজুরকে জিজ্ঞেস করলে, আশরাফ বলেন হুজুর বলেন বিষয়টি “সেনসিটিভ”, তাই অব্যাহতির পত্রে ওই কারণগুলো উল্লেখ করা হবে না; যদি পত্র চান, মজলিসে শুরায় আবেদন করতে হবে—এমন উত্তর পান তিনি।
আশরাফ আরও জানিয়েছেন, তার অব্যাহতির পর পরিকল্পিতভাবে আরও একজন সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা জসিম উদ্দিনকে অব্যাহত করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রশাসনিক দায়িত্বগুলো জসিম উনকে থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। তিনি যোগ করেন, তার পিতা—মাওলানা জসিম—পূর্বে ফ্যাসিবাদ আমলে হামলার শিকারও হয়েছেন এবং ২০২১ সালে রাজনীতি নিয়ে বিবাদিত বক্তব্যের ফলে মাদরাসা থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন। আশরাফ প্রশ্ন তুলেছেন যে, ২০২৪’র পরও কি তারা কোনো নোংরা রাজনৈতিক স্বার্থের শিকার হচ্ছেন কি না, এবং আল্লাহর দরবারে মুখোশধারী মুনাফেকদের উদঘাটনের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
(প্রকাশিত বিবরণটি আশরাফ মাহদীর নিজস্ব ফেসবুক পোস্ট এবং তিনি প্রদত্ত বিবরণ অনুসারে পুনরায় সংকলিত।)

ডেস্ক রিপোর্ট 



















