দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। এসব ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে হাজারো ফিলিস্তিনির মরদেহ। দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষ খালি হাতে কিংবা হাতে চালিত মেশিন দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে প্রিয় স্বজনদের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) আলজাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ গাজা সিটি থেকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকেই মানুষ উত্তরাঞ্চলে ফিরে গিয়ে নিজেদের বাড়িঘরের ধ্বংসাবশেষের নিচে মরদেহ খুঁজছেন।
তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতেও এক দফা যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, কিন্তু তখন অনেক বাস্তুচ্যুত মানুষ নিজেদের ঘরে ফিরতে পারেননি। নতুন যুদ্ধবিরতির পরই তারা প্রথমবারের মতো পাড়া-মহল্লায় ফিরে এসে চোখে দেখছেন ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র।
হানি মাহমুদ আরও জানান, যুদ্ধের আগে গাজার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের তেল এল-হাওয়া ছিল একটি সুন্দর ও সুরক্ষিত এলাকা। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা পুরো এলাকাটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। প্রায় সব ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে, এলাকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। গত সপ্তাহেই ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে একদিনে ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের চাপে যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর হলেও এখনো গাজার কোথাও না কোথাও হামলা অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা

ডেস্ক রিপোর্ট 

























