কিছু হাদিসে পাওয়া যায়, মহানবী মুহাম্মদ (সা.) জুমার খুতবা দেওয়ার সময় মাঝে মাঝে হাতে লাঠি বা ধনুক রাখতেন। এ কারণে অনেক আলেম জুমার খুতবায় হাতে লাঠি রাখা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়) বলেছেন। তবে এটি সুন্নত নয়, জরুরি নয়। চাইলে লাঠি নিয়ে খুতবা দেওয়া যায়, না নিলেও কোনো অসুবিধা নেই।
মাহিরদের মতে—
মদিনার মসজিদে মিম্বর স্থাপনের আগে নবী (সা.) লাঠি বা ধনুকের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন। সফর বা যুদ্ধক্ষেত্রে মিম্বর না থাকলে একইভাবে দিতেন। কিন্তু মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুতবা দেওয়ার সময় তিনি হাতে লাঠি রাখতেন না। ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন—
মিম্বর হওয়ার পর নবী (সা.) লাঠি, ধনুক বা তরবারি হাতে নিয়ে মিম্বরে উঠেছেন—এ রকম কোনো সহিহ বর্ণনা নেই।
— যাদুল মাআদ: ১/৪২৯
জুমার খুতবা—ফরজ আমলের শর্ত
জুমার নামাজ খুতবা ছাড়া আদায় হয় না। কেউ যদি ভুলবশত খুতবা না পড়ে জুমা পড়িয়ে থাকে—
✅ পরে ওই দিনের জোহর কাজা করে নিতে হবে।
দাঁড়িয়ে খুতবা দেওয়া সুন্নত
খুতবা দাঁড়িয়ে দেওয়াই সুন্নত।
কিন্তু কোনো শারীরিক অসুবিধা থাকলে বসে খুতবা দেওয়া جائز।
হজরত ওসমান (রা.) ও হজরত মুআবিয়া (রা.) শেষ বয়সে বসে খুতবা দিতেন।
তবে ওজর ছাড়া বসে খুতবা দেওয়া সুন্নত-বিরোধী ও মাকরুহ।
জুমার আগেই মসজিদে উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব
আল্লাহ বলেন—
“জুমার দিনে যখন সালাতের আহ্বান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো…”
— সুরা জুমা: ৯
সুতরাং—
✅ আজানের পর দুনিয়াবি কাজ বন্ধ করা ওয়াজিব
✅ দেরিতে এলেও জুমা আদায় হবে
❌ তবে খুতবা শোনার সওয়াব পূর্ণ পাওয়া যাবে না
🔹 সারসংক্ষেপ
- লাঠি রাখা ঐচ্ছিক, সুন্নত নয়
- খুতবা ছাড়া জুমা শুদ্ধ নয়
- দাঁড়িয়ে খুতবা দেওয়া সুন্নত
- আজানের পর দ্রুত মসজিদে যাওয়া ওয়াজিব
আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। চাইলে আমি এই বিষয়টি নিয়ে হাদিসের আরও রেফারেন্সও দিতে পারি।

ডেস্ক রিপোর্ট 

























