ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
মঞ্জু ভাই টাচ করে কথা বলা পছন্দ করতেন, শোল্ডার- হাতে ধরতো: বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক অধিনায়কের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র উন্মুক্ত মাঠে এবছরের সব তাফসির মাহফিল স্থগিত ঘোষণা করলেন মিজানুর রহমান আজহারী আরিফিন শুভর রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ফিরিয়ে দিতে বললেন পরিচালক শেখ হাসিনা ও আ. লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: প্রেসসচিব দুর্নীতি-দুঃশাসন মুক্তিতে কারও সাথে আপস করবে না জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান জবিতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে জমকালো কাওয়ালি সন্ধ্যা দলগুলো না পারলে গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: প্রেস সচিব কিছু ভুলের জন্য এনসিপিকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে: জিল্লুর রহমান মিশরের উদ্দেশ্যে এনসিপি নেতা সারজিস আলম 

এক বছরে ২৫৮টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে: বিজিএমইএ সভাপতি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০২:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

গত এক বছরে দেশে ২৫৮টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। অধিকার আদায়ের নামে শ্রমিকদের সংগঠিত আন্দোলনে কখনও কখনও বন্ধ হয়েছে কারখানার উৎপাদন; এক অঞ্চল থেকে শ্রমিক অসন্তোষ ছড়িয়েছে শিল্পঘন অন্য অঞ্চলে। গত বছরের আগস্ট থেকে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন উদ্যোক্তারা, তখন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় মাত্র ২০ জন শ্রমিক নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন করার সিদ্ধান্ত আবারও অস্থিতিশীল করবে তৈরি পোশাক শিল্পকে; এমন আশঙ্কা বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানোসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরতে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি জানান, গত এক বছরে দেশে ২৫৮টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ-সহ ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের আগেই আগামী বছরই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলে পিছিয়ে পড়বে দেশ, কমবে বিনিয়োগ ও রফতানি আয়।

অযৌক্তিক বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ কার্যকর হলে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ কমবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এতে রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, শিল্পখাতে অস্থিরতা তৈরি হবে ও দেশের অর্থনীতি দুর্বল হবে। এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা না বাড়িয়ে মাশুল ৪১ শতাংশ করা অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেন মাহমুদ হাসান খান বাবু। তিনি বলেন, একলাফে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বিপর্যয় ডেকে আনবে রফতানি বাণিজ্যে। তিনি আরও বলেন, ২০ জন শ্রমিক মিলেই ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ অস্থিরতা বাড়াবে পোশাক শিল্পে। শ্রমিকদের কল্যাণে নেয়া ভবিষ্যৎ তহবিল ও সার্বজনীন পেনশন- দুইটি স্কিমই নেয়ার সুযোগ প্রশাসনিক জটিলতা, কারখানার ব্যয় বাড়ানো ও তহবিল ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।

এসময় শিল্পবান্ধব নীতিকৌশল সাজাতে অবশ্যই শিল্প নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ আসে বিজিএমইএর জরুরি সংবাদ সম্মেলন থেকে। রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের নেতাদের দাবি, বর্তমান সরকার বিদেশিদের কথা মতো চলতে বেশি পছন্দ করে, তাই ব্যাবসা-বাণিজ্যে নতুন নতুন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তাদের সময় না দিয়ে বিদেশিদের সময় দিলে রফতানি বাণিজ্য যে ক্ষতি হবে তার দায় প্রধান উপদেষ্টাকেই নিতে হবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মঞ্জু ভাই টাচ করে কথা বলা পছন্দ করতেন, শোল্ডার- হাতে ধরতো: বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক অধিনায়কের

এক বছরে ২৫৮টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে: বিজিএমইএ সভাপতি

আপডেট সময় ০২:৫৫:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

গত এক বছরে দেশে ২৫৮টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। অধিকার আদায়ের নামে শ্রমিকদের সংগঠিত আন্দোলনে কখনও কখনও বন্ধ হয়েছে কারখানার উৎপাদন; এক অঞ্চল থেকে শ্রমিক অসন্তোষ ছড়িয়েছে শিল্পঘন অন্য অঞ্চলে। গত বছরের আগস্ট থেকে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন উদ্যোক্তারা, তখন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় মাত্র ২০ জন শ্রমিক নিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন করার সিদ্ধান্ত আবারও অস্থিতিশীল করবে তৈরি পোশাক শিল্পকে; এমন আশঙ্কা বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানোসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরতে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি জানান, গত এক বছরে দেশে ২৫৮টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ-সহ ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের আগেই আগামী বছরই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলে পিছিয়ে পড়বে দেশ, কমবে বিনিয়োগ ও রফতানি আয়।

অযৌক্তিক বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ কার্যকর হলে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ কমবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এতে রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, শিল্পখাতে অস্থিরতা তৈরি হবে ও দেশের অর্থনীতি দুর্বল হবে। এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা না বাড়িয়ে মাশুল ৪১ শতাংশ করা অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেন মাহমুদ হাসান খান বাবু। তিনি বলেন, একলাফে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বিপর্যয় ডেকে আনবে রফতানি বাণিজ্যে। তিনি আরও বলেন, ২০ জন শ্রমিক মিলেই ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ অস্থিরতা বাড়াবে পোশাক শিল্পে। শ্রমিকদের কল্যাণে নেয়া ভবিষ্যৎ তহবিল ও সার্বজনীন পেনশন- দুইটি স্কিমই নেয়ার সুযোগ প্রশাসনিক জটিলতা, কারখানার ব্যয় বাড়ানো ও তহবিল ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।

এসময় শিল্পবান্ধব নীতিকৌশল সাজাতে অবশ্যই শিল্প নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ আসে বিজিএমইএর জরুরি সংবাদ সম্মেলন থেকে। রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের নেতাদের দাবি, বর্তমান সরকার বিদেশিদের কথা মতো চলতে বেশি পছন্দ করে, তাই ব্যাবসা-বাণিজ্যে নতুন নতুন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তাদের সময় না দিয়ে বিদেশিদের সময় দিলে রফতানি বাণিজ্য যে ক্ষতি হবে তার দায় প্রধান উপদেষ্টাকেই নিতে হবে।