ঢাকা , রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: ছারছীনা পীর সাহেব হামলার প্রতিবাদে গভীর রাতে শহিদ মিনারে শিক্ষকদের মোমবাতি প্রজ্বলন ২০২৬ সালের রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে থাকার ঘোষণা হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যরাতে ঢাকা গাজীপুর খুলনা সহ একযোগে ১৫ জেলার ডিসি বদল জয়পুরহাটে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থক চেতনানাশক খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই চক্রের নয় সদস্য গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে কেনো প্রতিবার অবহেলা— প্রশ্ন রুমিন ফারহানার খুলনায় দুই সাংবাদিকের উপর হামলা; স্থানীয় সাংবাদিক মহলের নিন্দা

বিএনপি কর্মীর বাড়ি থেকে ১১টি বন্দুক, ২৭টি দা-ছুরি উদ্ধার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৪:৪১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • ৬৮৯ বার পড়া হয়েছে

এবার চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের এক বিএনপির কর্মীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বন্দুকসহ বিপুল পরিমাণ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‍্যাব। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১১টি বন্দুক, ২৭টি দেশি ধারালো অস্ত্র, ৮টি ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও ১৫টি কার্তুজ। বিএনপির ওই কর্মীর নাম মুহাম্মদ কামাল(৫০)। তিনি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের ছেলে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী। এ ঘটনায় বিএনপির ওই কর্মীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের বাড়িতে র‍্যাব অভিযান চালায়। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কামাল ছাড়াও তাঁর চাচাতো ভাই মুহাম্মদ সোহেল (৪৮) ও পরিবারের এক কিশোর সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব জানায়, অভিযানে গাঁজা ও বিদেশি মদও উদ্ধার করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির আঙিনা, পুকুর পাড় এবং আলমারি থেকে এসব অস্ত্র ও মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার বিএনপির কর্মী কামালের বিরুদ্ধে মারামারি ও চাঁদাবাজির তিনটি মামলা রয়েছে। তিনি গত বছর ৫ আগস্টের পর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। এলাকায় তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, তাঁরা কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত নন। ৫ আগস্টের পর নোয়াপাড়ায় চাঁদাবাজি ও মারামারির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল একটি পক্ষ। এসব অস্ত্র তাঁর বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন লুকিয়ে রেখেছে। জানতে চাইলে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা আজ সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করেছেন। গ্রেপ্তার তিনজনকে থানা-পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

বিএনপি কর্মীর বাড়ি থেকে ১১টি বন্দুক, ২৭টি দা-ছুরি উদ্ধার

আপডেট সময় ০৪:৪১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

এবার চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের এক বিএনপির কর্মীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বন্দুকসহ বিপুল পরিমাণ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‍্যাব। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১১টি বন্দুক, ২৭টি দেশি ধারালো অস্ত্র, ৮টি ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও ১৫টি কার্তুজ। বিএনপির ওই কর্মীর নাম মুহাম্মদ কামাল(৫০)। তিনি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের ছেলে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী। এ ঘটনায় বিএনপির ওই কর্মীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের বাড়িতে র‍্যাব অভিযান চালায়। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কামাল ছাড়াও তাঁর চাচাতো ভাই মুহাম্মদ সোহেল (৪৮) ও পরিবারের এক কিশোর সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব জানায়, অভিযানে গাঁজা ও বিদেশি মদও উদ্ধার করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির আঙিনা, পুকুর পাড় এবং আলমারি থেকে এসব অস্ত্র ও মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার বিএনপির কর্মী কামালের বিরুদ্ধে মারামারি ও চাঁদাবাজির তিনটি মামলা রয়েছে। তিনি গত বছর ৫ আগস্টের পর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। এলাকায় তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, তাঁরা কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত নন। ৫ আগস্টের পর নোয়াপাড়ায় চাঁদাবাজি ও মারামারির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল একটি পক্ষ। এসব অস্ত্র তাঁর বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন লুকিয়ে রেখেছে। জানতে চাইলে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা আজ সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করেছেন। গ্রেপ্তার তিনজনকে থানা-পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হবে।