ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
পল্লবীতে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে গুলি ও হামলা, আহত ১ চকবাজারে ব্যবসায়ী হত্যা: বিচারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ ‘চাঁদাবাজদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে জাহান্নামের চৌরাস্তায় পাঠিয়ে দেয়া হবে’ ৫ কোটি টাকা চাঁদার দাবিতে বাস ভাংচুর, যুবদল নেতা দল থেকে বহিষ্কার খালি নির্বাচন নির্বাচন করেন, খুনি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না কেন?: বিএনপিকে জামায়াত নেতা রফিকুল ইরানের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রকে ছোট করে দেখা পশ্চিমাদের বড় ভুল: ফ্রান্স ছাত্রদল শহীদ পরিবারের পাশে সন্তানের মতো থাকবে: রাকিব তারা ভেবেছিল, কয়েকটি আসনের লোভ দেখিয়ে আমাদের কিনে নেবে: নাহিদ ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড: ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন গাজী ‘তারা প্রতি মাসে দুই লাখ করে টাকা চায়, না দেওয়ায় মেরেই ফেললো’

আমরা চাঁদা নেই না, দিই”— যুক্তরাষ্ট্রে সাক্ষাৎকারে বললেন শায়খে চরমোনাই

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:৪০:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’র সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি ফয়জুল করিম। সেখানে তাকে দলীয় চাঁদা ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “আমরা চাঁদা নেই না, দিই।”

তিনি জানান, চলতি বছর দলের সম্মেলনে অংশ নিতে তাকে নিজেই এক লাখ টাকা দিতে হয়েছে। একই পরিমাণ অর্থ দিয়েছেন দলের আমিরও। তিনি বলেন, সবাই নিজেদের টাকায় সম্মেলনে গিয়েছেন, খেয়েছেন এবং ফিরে গেছেন। কারও ওপর কোনো চাপ ছিল না। বরং যারা সামর্থ্য রাখেন, তারাই দলীয় খরচে অবদান রাখেন।

অনুষ্ঠানের উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কি চাঁদা নেয়? সেই চাঁদা থেকে নেতারা কি কোনো ভাগ পান?
উত্তরে ফয়জুল করিম বলেন, “প্রশ্নটা মারাত্মক। আমরা নেই না, দিই।” তিনি বলেন, অনেকেই ভাবেন, আমাদের সম্মেলনে ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়। এ অর্থ দলীয় নেতাকর্মীরাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেন।

তিনি বলেন, “মসজিদে যারা নামাজে যান, তাদের সামনে একটি বাক্স আসে। এ নিয়ে কেউ সমালোচনা করেন না। মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা— সবখানেই তো দান চলে। সারা দুনিয়ায় চ্যারিটিও এমনভাবেই চলে।”

ব্যক্তিগত হাদিয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ স্বেচ্ছায় যদি কাউকে হাদিয়া দেন, তা গ্রহণযোগ্য। কিন্তু মাদ্রাসা, মসজিদ বা দলের জন্য যে চাঁদা আসে, তা ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত হাদিয়া আর সংগঠনের অর্থ— এই দুইয়ের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

নিজের পরিচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি মূলত একজন মুসলমান। ইসলামের সব কাজ— নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, কলেমা পালন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করাও মুসলমানের দায়িত্ব। সেই জায়গা থেকেই আমরা রাজনীতিতে আসি।”

তিনি জানান, তার একটি কোম্পানি ও ব্রিকস ফিল্ড রয়েছে। তিনি ব্যবসাও করেন এবং সময়কে ভাগ করে দাওয়াতি কাজ, পরিবার ও ব্যবসার মধ্যে সমন্বয় করেন। বছরে আগে থেকে সময়সূচি তৈরি হয়, কবে কোথায় কীভাবে কাজ করবেন— তা দলীয়ভাবে সবার জানাও থাকে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পল্লবীতে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে গুলি ও হামলা, আহত ১

আমরা চাঁদা নেই না, দিই”— যুক্তরাষ্ট্রে সাক্ষাৎকারে বললেন শায়খে চরমোনাই

আপডেট সময় ১০:৪০:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’র সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি ফয়জুল করিম। সেখানে তাকে দলীয় চাঁদা ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “আমরা চাঁদা নেই না, দিই।”

তিনি জানান, চলতি বছর দলের সম্মেলনে অংশ নিতে তাকে নিজেই এক লাখ টাকা দিতে হয়েছে। একই পরিমাণ অর্থ দিয়েছেন দলের আমিরও। তিনি বলেন, সবাই নিজেদের টাকায় সম্মেলনে গিয়েছেন, খেয়েছেন এবং ফিরে গেছেন। কারও ওপর কোনো চাপ ছিল না। বরং যারা সামর্থ্য রাখেন, তারাই দলীয় খরচে অবদান রাখেন।

অনুষ্ঠানের উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কি চাঁদা নেয়? সেই চাঁদা থেকে নেতারা কি কোনো ভাগ পান?
উত্তরে ফয়জুল করিম বলেন, “প্রশ্নটা মারাত্মক। আমরা নেই না, দিই।” তিনি বলেন, অনেকেই ভাবেন, আমাদের সম্মেলনে ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়। এ অর্থ দলীয় নেতাকর্মীরাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেন।

তিনি বলেন, “মসজিদে যারা নামাজে যান, তাদের সামনে একটি বাক্স আসে। এ নিয়ে কেউ সমালোচনা করেন না। মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা— সবখানেই তো দান চলে। সারা দুনিয়ায় চ্যারিটিও এমনভাবেই চলে।”

ব্যক্তিগত হাদিয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ স্বেচ্ছায় যদি কাউকে হাদিয়া দেন, তা গ্রহণযোগ্য। কিন্তু মাদ্রাসা, মসজিদ বা দলের জন্য যে চাঁদা আসে, তা ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত হাদিয়া আর সংগঠনের অর্থ— এই দুইয়ের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

নিজের পরিচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি মূলত একজন মুসলমান। ইসলামের সব কাজ— নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, কলেমা পালন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করাও মুসলমানের দায়িত্ব। সেই জায়গা থেকেই আমরা রাজনীতিতে আসি।”

তিনি জানান, তার একটি কোম্পানি ও ব্রিকস ফিল্ড রয়েছে। তিনি ব্যবসাও করেন এবং সময়কে ভাগ করে দাওয়াতি কাজ, পরিবার ও ব্যবসার মধ্যে সমন্বয় করেন। বছরে আগে থেকে সময়সূচি তৈরি হয়, কবে কোথায় কীভাবে কাজ করবেন— তা দলীয়ভাবে সবার জানাও থাকে।