ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আরও দুই জেনারেল নিহত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে: দুদু ইরানের পর এবার ইসরায়েলে রকেট হামলা চালালো আরেক মুসলিম দেশ! ইরানের পাশে দাঁড়াল ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক: প্রেসসচিব ইসরাইলি ‘আগ্রাসন’ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান এরদোয়ানের উত্তরায় র‍্যাব পরিচয়ে নগদ এজেন্টের টাকা ছিনতাই পুলিশের কাছে ভারি মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামানের পদত্যাগ ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত, নারী পাইলট আটক—ইরানের দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য

ঈদের খুশিতে নেই আপনজন, শান্তি নিবাসে চোখের জলে নিঃসঙ্গ বাবা-মা”

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:০০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
  • ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

বৃদ্ধাশ্রমে আছে ঈদের সামান্য আয়োজন, কিন্তু নেই প্রিয়জনের ভালোবাসা। আর তাই চোখের জলে নিঃসঙ্গ ঈদ কাটছে সেখানকার অসহায় বাবা-মার। শান্তি নিবাসের চার দেয়ালের মাঝে প্রিয় সন্তানের মুখখানি একটিবার দেখার অপেক্ষায় কাটছে ঈদের দিনগুলো। অতীতের সুখস্মৃতি আঁকড়ে ধরে নীরব কান্নায় ডুবে আছেন তারা।

ঈদুল আজহার দিনেও সন্তানরা কেউ খোঁজ নেয়নি। অথচ একদিন যাদের জন্য জীবনের সবকিছু বিসর্জন দিয়েছিলেন, আজ তারাই যেন ভুলে গেছে তাদের অস্তিত্ব। ফরিদপুরের শান্তি নিবাসে বাস করা এসব বৃদ্ধ মা-বাবা সন্তানের প্রতি ক্ষোভ লুকিয়ে রেখে, এখনো তাদের ভালো রাখার দোয়া করছেন।

শান্তি নিবাসে রয়েছেন ষাটোর্ধ্ব বকুল বেগম। অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছেন, নিজে খেতেও পারেন না। সৎ সন্তানের অবহেলায় ঠাঁই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে। এক সময় আদর-যত্ন করলেও, সৎ মায়ের কপালে জুটেছে একাকীত্ব আর অবহেলা। কেউ তার খোঁজ নেয় না এখন।

আরও রয়েছেন লতিফ শিকদার, বয়স ৬০ বছর। এক বছর ধরে আছেন শান্তি নিবাসে। নড়াইলের এই বৃদ্ধ একসময় দর্জির কাজ করে সন্তানদের বড় করেছেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্তানরা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও পরে আর খবর রাখেনি। এখন কথা বলতে পারেন না তিনি, তবে সন্তানদের নাম শুনলেই তার মুখ অন্ধকার হয়ে যায়।

এই বৃদ্ধ বাবা-মার চাওয়া খুব বেশি নয়—একটু খোঁজ, একটু ভালোবাসা। অথচ ঈদের দিনও সেই সামান্য চাওয়াটুকুও মেলেনি। শান্তি নিবাসে কাটছে নিঃসঙ্গ আর বিষণ্ন ঈদ।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আরও দুই জেনারেল নিহত

ঈদের খুশিতে নেই আপনজন, শান্তি নিবাসে চোখের জলে নিঃসঙ্গ বাবা-মা”

আপডেট সময় ১২:০০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

বৃদ্ধাশ্রমে আছে ঈদের সামান্য আয়োজন, কিন্তু নেই প্রিয়জনের ভালোবাসা। আর তাই চোখের জলে নিঃসঙ্গ ঈদ কাটছে সেখানকার অসহায় বাবা-মার। শান্তি নিবাসের চার দেয়ালের মাঝে প্রিয় সন্তানের মুখখানি একটিবার দেখার অপেক্ষায় কাটছে ঈদের দিনগুলো। অতীতের সুখস্মৃতি আঁকড়ে ধরে নীরব কান্নায় ডুবে আছেন তারা।

ঈদুল আজহার দিনেও সন্তানরা কেউ খোঁজ নেয়নি। অথচ একদিন যাদের জন্য জীবনের সবকিছু বিসর্জন দিয়েছিলেন, আজ তারাই যেন ভুলে গেছে তাদের অস্তিত্ব। ফরিদপুরের শান্তি নিবাসে বাস করা এসব বৃদ্ধ মা-বাবা সন্তানের প্রতি ক্ষোভ লুকিয়ে রেখে, এখনো তাদের ভালো রাখার দোয়া করছেন।

শান্তি নিবাসে রয়েছেন ষাটোর্ধ্ব বকুল বেগম। অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছেন, নিজে খেতেও পারেন না। সৎ সন্তানের অবহেলায় ঠাঁই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে। এক সময় আদর-যত্ন করলেও, সৎ মায়ের কপালে জুটেছে একাকীত্ব আর অবহেলা। কেউ তার খোঁজ নেয় না এখন।

আরও রয়েছেন লতিফ শিকদার, বয়স ৬০ বছর। এক বছর ধরে আছেন শান্তি নিবাসে। নড়াইলের এই বৃদ্ধ একসময় দর্জির কাজ করে সন্তানদের বড় করেছেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্তানরা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও পরে আর খবর রাখেনি। এখন কথা বলতে পারেন না তিনি, তবে সন্তানদের নাম শুনলেই তার মুখ অন্ধকার হয়ে যায়।

এই বৃদ্ধ বাবা-মার চাওয়া খুব বেশি নয়—একটু খোঁজ, একটু ভালোবাসা। অথচ ঈদের দিনও সেই সামান্য চাওয়াটুকুও মেলেনি। শান্তি নিবাসে কাটছে নিঃসঙ্গ আর বিষণ্ন ঈদ।