ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বাংলাদেশ–লাগোয়া ধুবড়িতে ‘দুষ্কৃতকারীদের’ দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আরও দুই জেনারেল নিহত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে: দুদু ইরানের পর এবার ইসরায়েলে রকেট হামলা চালালো আরেক মুসলিম দেশ! ইরানের পাশে দাঁড়াল ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক: প্রেসসচিব ইসরাইলি ‘আগ্রাসন’ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান এরদোয়ানের উত্তরায় র‍্যাব পরিচয়ে নগদ এজেন্টের টাকা ছিনতাই পুলিশের কাছে ভারি মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘আ. লীগের পরিণতির দায় এককভাবে শেখ হাসিনার, রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:১৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

বর্তমান নেতৃত্ব কিংবা আগের বয়ানে দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোনো সুযোগ নেই। যদি চরিত্র বদলে আসে, সেক্ষেত্রে সময়ই বলে দেবে দলটির ভবিষ্যৎ কী হবে! বলছেন, রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। ২০২৪- এ এসে দলটির এমন পরিণতির জন্য তিনি একক দায় দেন শেখ হাসিনাকে। বলেন, ’৭২ পরবর্তী আওয়ামী লীগের অবস্থা থেকে শিক্ষা নেয়নি দলটি।

তুমুল এক গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এই সময় রাজনীতির আলোচনায় নানাভাবে আসে দলটির নাম। গেল ১৫ বছরের সীমাহীন দুর্নীতি জুলাই-আগস্টসহ বিগত আমলে মানুষকে হত্যার দায় নূন্যতম অনুশোচনা না করা দলটির বিচারের দাবি জোরালো হতে থাকে এই মাসে। অতঃপর নিষিদ্ধ করা হয় আওয়ামী লীগের সব ধরণের কার্যক্রম।

এমন বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কি? জানতে চাওয়া হয় রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের কাছে। তার মতে, বর্তমান পরিচয় নেতৃত্বের চেহারায় এই দলকে গ্রহণ করবে না মানুষ।

রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, যেভাবে সারাদেশজুড়ে শেখ মুজিবের মূর্তি ভেঙেছে, অনেক প্রতিষ্ঠানের অনেক জায়গার নাম বদলে ফেলেছিল সেগুলো আবার নতুন করে বদলে ফেলেছে। ৩২ নম্বরের বাড়ির ফাউন্ডেশন তুলে নিয়ে গেছে। এগুলো একটা তীব্র জেদের পরিচায়ক। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত তাদের ওপরই নির্ভর করে। কি কাজ তারা করবে তার ওপরে। শুধু শেখ হাসিনা আমল নয়, ’৭২ পরবর্তী ঘটনা থেকে শিক্ষা না নেয়ায় এই পরিণতি হয়েছে দলটির।

তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, পরে বাকশাল গঠন করে রাষ্ট্রপতি হন। প্রকৃতপক্ষে তো তার সমর্থক বলতে ছিল না। দলটা বড় ছিল তার অনেক কর্মী ছিল, কর্মীদের মধ্যে আওয়ামী লীগে থাকলেও অন্তর্বিরোধ ছিল। খন্দকার মুশতাক তো আওয়ামী লীগেরই নেতা। সেই সময়ের অবস্থার সঙ্গে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি বা পালিয়ে যাওয়ার মিল আছে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া দরকার। এটা আমরা বলি বটে। আগে রাজনীতিবিদরা বলতেন এখন বলেন না।

তিনি বলেন, দল মত কিংবা পথ ভিন্ন হতে পারে, দেশের স্বার্থে সবাইকে একপথে না রাখায় আওয়ামী লীগের করুণ পরিণতি। আগামীর রাজনৈতিক দলকে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়ার তাগিদ এই রাষ্ট্রচিন্তাবিদের।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ–লাগোয়া ধুবড়িতে ‘দুষ্কৃতকারীদের’ দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী

‘আ. লীগের পরিণতির দায় এককভাবে শেখ হাসিনার, রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই’

আপডেট সময় ১১:১৬:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

বর্তমান নেতৃত্ব কিংবা আগের বয়ানে দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোনো সুযোগ নেই। যদি চরিত্র বদলে আসে, সেক্ষেত্রে সময়ই বলে দেবে দলটির ভবিষ্যৎ কী হবে! বলছেন, রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। ২০২৪- এ এসে দলটির এমন পরিণতির জন্য তিনি একক দায় দেন শেখ হাসিনাকে। বলেন, ’৭২ পরবর্তী আওয়ামী লীগের অবস্থা থেকে শিক্ষা নেয়নি দলটি।

তুমুল এক গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এই সময় রাজনীতির আলোচনায় নানাভাবে আসে দলটির নাম। গেল ১৫ বছরের সীমাহীন দুর্নীতি জুলাই-আগস্টসহ বিগত আমলে মানুষকে হত্যার দায় নূন্যতম অনুশোচনা না করা দলটির বিচারের দাবি জোরালো হতে থাকে এই মাসে। অতঃপর নিষিদ্ধ করা হয় আওয়ামী লীগের সব ধরণের কার্যক্রম।

এমন বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কি? জানতে চাওয়া হয় রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের কাছে। তার মতে, বর্তমান পরিচয় নেতৃত্বের চেহারায় এই দলকে গ্রহণ করবে না মানুষ।

রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, যেভাবে সারাদেশজুড়ে শেখ মুজিবের মূর্তি ভেঙেছে, অনেক প্রতিষ্ঠানের অনেক জায়গার নাম বদলে ফেলেছিল সেগুলো আবার নতুন করে বদলে ফেলেছে। ৩২ নম্বরের বাড়ির ফাউন্ডেশন তুলে নিয়ে গেছে। এগুলো একটা তীব্র জেদের পরিচায়ক। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত তাদের ওপরই নির্ভর করে। কি কাজ তারা করবে তার ওপরে। শুধু শেখ হাসিনা আমল নয়, ’৭২ পরবর্তী ঘটনা থেকে শিক্ষা না নেয়ায় এই পরিণতি হয়েছে দলটির।

তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, পরে বাকশাল গঠন করে রাষ্ট্রপতি হন। প্রকৃতপক্ষে তো তার সমর্থক বলতে ছিল না। দলটা বড় ছিল তার অনেক কর্মী ছিল, কর্মীদের মধ্যে আওয়ামী লীগে থাকলেও অন্তর্বিরোধ ছিল। খন্দকার মুশতাক তো আওয়ামী লীগেরই নেতা। সেই সময়ের অবস্থার সঙ্গে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি বা পালিয়ে যাওয়ার মিল আছে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া দরকার। এটা আমরা বলি বটে। আগে রাজনীতিবিদরা বলতেন এখন বলেন না।

তিনি বলেন, দল মত কিংবা পথ ভিন্ন হতে পারে, দেশের স্বার্থে সবাইকে একপথে না রাখায় আওয়ামী লীগের করুণ পরিণতি। আগামীর রাজনৈতিক দলকে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়ার তাগিদ এই রাষ্ট্রচিন্তাবিদের।