ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গাজা খালি করে ‘মানবিক শহর’ গড়ে তোলার ঘোষণা ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪৪ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে: নাছির উদ্দিন এখন আর শেখ হাসিনার পালানোর পথ নেই: প্রেস সচিব এমন বৃষ্টি থাকবে কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস চীন সফরে যাচ্ছে জামায়াতের প্রতিনিধিদল ভারতের ঢলে ভেঙে গেল ৩ নদীর বাঁধ, ডুবে গেল ৩০ গ্রাম কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো আরও এক শিক্ষার্থীর মরদেহ ইরানের হাতে এসেছে চীনের আধুনিক হিউ কিউ-৯ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল বিশ্ব আর কোনো সম্রাট চায় না: ট্রাম্পকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি আগামী নির্বাচনে বেশির ভাগ মানুষ ভোটই দিতে যাবে না: মাসুদ কামাল

হাদিস অনুযায়ী, ইরান-ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ইসলামি খেলাফতের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:১৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • ৫৩৬ বার পড়া হয়েছে

এবার মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সামরিক সংঘাত প্রতিদিনই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, যদি এ যুদ্ধ পূর্ণমাত্রায় শুরু হয়, তবে তা গোটা বিশ্বকে টেনে নিতে পারে এক ভয়াবহ বৈশ্বিক সংঘাতে—যা অনেকের মতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও সূচনা হতে পারে।

এই যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ঘিরে চমকপ্রদভাবে সামনে এসেছে একটি হাদিস শরীফের উল্লেখ, যেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এমন একটি সংঘাতের ব্যাপারে। হাদিসে বলা হয়েছে, খোরাসান অঞ্চল থেকে এক বাহিনী কালো পতাকা হাতে রওনা হবে, যাদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারও থাকবে না—যতক্ষণ না তারা বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেম) বিজয় করে।

ইসলামী গবেষকরা ব্যাখ্যা করেন, হাদিসে বর্ণিত খোরাসান অঞ্চল বর্তমান ইরান, আফগানিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের কিছু অংশকে নির্দেশ করে—যার একটি বৃহৎ অংশ আজকের ইরানের অন্তর্গত। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ইরান থেকেই সেই কালো পতাকাবাহী বাহিনী উঠে আসবে, যারা আল-আকসা মসজিদ পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে।

বিশ্ববাসীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ এই বায়তুল মুকাদ্দাস বর্তমানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতে পূর্ব জেরুজালেম এখনো ফিলিস্তিনের অংশ। ১৯৮০ সালে ইসরায়েল ‘জেরুজালেম আইন’ পাস করে শহরটিকে রাজধানী ঘোষণা করলেও জাতিসংঘ সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে।

মহানবী (সা.)-এর আরও একটি হাদিসে বলা হয়েছে, “যখন খোরাসান থেকে কালো পতাকা আসতে দেখবে, তখন তাদের সঙ্গে যোগ দাও। কারণ তাদের মধ্যেই রয়েছেন আল্লাহর খলিফা—ইমাম মাহদী।” এ বক্তব্যের ভিত্তিতে অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ মনে করেন, এই যুদ্ধ হবে কেয়ামতের পূর্ব লক্ষণগুলোর অন্যতম এবং সেই বাহিনীর নেতৃত্বে থাকবেন ইমাম মাহদী।

ইতিহাসে বর্ণিত সবচেয়ে ভয়ংকর যুদ্ধ ‘আল-মালহামা’-র সঙ্গেও এই পরিস্থিতির মিল পাওয়া যাচ্ছে। হাদিস অনুযায়ী, এটি এমন এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হবে যার মাধ্যমে ইসলামি খেলাফতের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।

সম্প্রতি উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢেলেছে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান। ১৩ জুন “অপারেশন রাইজিং লায়ন” নামে তারা ইরানে হামলা চালায়। এতে উচ্চপর্যায়ের সেনা কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাংবাদিকসহ বহু ব্যক্তি হতাহত হন। জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা চালায়, যার ফলে সংঘাত এখন এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।

এই প্রেক্ষাপটে অনেক মুসলিম বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন তুলছেন—তবে কি আমরা কেয়ামতের শেষ অধ্যায়ের খুব কাছাকাছি এসে পড়েছি?
এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র জানেন সৃষ্টিকর্তা। তবে পরিস্থিতির প্রতিটি মোড় যেন হাদিসে বর্ণিত সেই ভবিষ্যদ্বাণীকেই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বারবার।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজা খালি করে ‘মানবিক শহর’ গড়ে তোলার ঘোষণা ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

হাদিস অনুযায়ী, ইরান-ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ইসলামি খেলাফতের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে

আপডেট সময় ১২:১৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

এবার মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সামরিক সংঘাত প্রতিদিনই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, যদি এ যুদ্ধ পূর্ণমাত্রায় শুরু হয়, তবে তা গোটা বিশ্বকে টেনে নিতে পারে এক ভয়াবহ বৈশ্বিক সংঘাতে—যা অনেকের মতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও সূচনা হতে পারে।

এই যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ঘিরে চমকপ্রদভাবে সামনে এসেছে একটি হাদিস শরীফের উল্লেখ, যেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এমন একটি সংঘাতের ব্যাপারে। হাদিসে বলা হয়েছে, খোরাসান অঞ্চল থেকে এক বাহিনী কালো পতাকা হাতে রওনা হবে, যাদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারও থাকবে না—যতক্ষণ না তারা বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেম) বিজয় করে।

ইসলামী গবেষকরা ব্যাখ্যা করেন, হাদিসে বর্ণিত খোরাসান অঞ্চল বর্তমান ইরান, আফগানিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের কিছু অংশকে নির্দেশ করে—যার একটি বৃহৎ অংশ আজকের ইরানের অন্তর্গত। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ইরান থেকেই সেই কালো পতাকাবাহী বাহিনী উঠে আসবে, যারা আল-আকসা মসজিদ পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে।

বিশ্ববাসীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ এই বায়তুল মুকাদ্দাস বর্তমানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতে পূর্ব জেরুজালেম এখনো ফিলিস্তিনের অংশ। ১৯৮০ সালে ইসরায়েল ‘জেরুজালেম আইন’ পাস করে শহরটিকে রাজধানী ঘোষণা করলেও জাতিসংঘ সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে।

মহানবী (সা.)-এর আরও একটি হাদিসে বলা হয়েছে, “যখন খোরাসান থেকে কালো পতাকা আসতে দেখবে, তখন তাদের সঙ্গে যোগ দাও। কারণ তাদের মধ্যেই রয়েছেন আল্লাহর খলিফা—ইমাম মাহদী।” এ বক্তব্যের ভিত্তিতে অনেক ইসলামি চিন্তাবিদ মনে করেন, এই যুদ্ধ হবে কেয়ামতের পূর্ব লক্ষণগুলোর অন্যতম এবং সেই বাহিনীর নেতৃত্বে থাকবেন ইমাম মাহদী।

ইতিহাসে বর্ণিত সবচেয়ে ভয়ংকর যুদ্ধ ‘আল-মালহামা’-র সঙ্গেও এই পরিস্থিতির মিল পাওয়া যাচ্ছে। হাদিস অনুযায়ী, এটি এমন এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হবে যার মাধ্যমে ইসলামি খেলাফতের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।

সম্প্রতি উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢেলেছে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান। ১৩ জুন “অপারেশন রাইজিং লায়ন” নামে তারা ইরানে হামলা চালায়। এতে উচ্চপর্যায়ের সেনা কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাংবাদিকসহ বহু ব্যক্তি হতাহত হন। জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা চালায়, যার ফলে সংঘাত এখন এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।

এই প্রেক্ষাপটে অনেক মুসলিম বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন তুলছেন—তবে কি আমরা কেয়ামতের শেষ অধ্যায়ের খুব কাছাকাছি এসে পড়েছি?
এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র জানেন সৃষ্টিকর্তা। তবে পরিস্থিতির প্রতিটি মোড় যেন হাদিসে বর্ণিত সেই ভবিষ্যদ্বাণীকেই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বারবার।