এবার জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মাঠে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত ৯ মাসে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একাধিক দেশের কূটনীতিকদের আগমন এবং দলের শীর্ষ নেতাদের বিদেশ সফর এই তৎপরতার ইঙ্গিত দেয়। শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই জামায়াত ১৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বলে জানা গেছে। ‘জামায়াত আগামী নির্বাচনে জিতেও যেতে পারে’ মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব।
এক বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে ড. মির্জা গালিব বলেন, ‘জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে পরিবর্তন এসেছে, সেখানে জামায়াত এখন একটি ‘প্রস্পেক্টিভ পার্টি’ হিসেবে উঠে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের ভোট ছিল ১২ শতাংশের মতো। তারা বড় দুই দলের মধ্যে ছিল না। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারা বড় দুইটি রাজনৈতিক শক্তির একটি হয়ে উঠেছে। এমনকি নির্বাচনে জয়লাভের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এখন বিএনপি অথবা জামায়াত—এই দুইটির মধ্যে একটি দল নির্বাচনে জিততেও পারে।’
ড. গালিবের মতে, এই রাজনৈতিক সম্ভাবনা এবং নির্বাচনে শক্ত অবস্থানের সম্ভাবনার কারণেই আন্তর্জাতিক মহলের আগ্রহ এখন জামায়াতের প্রতি বাড়ছে। ‘তারা জানতে চাইছে, জামায়াতে ইসলামী যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে, তাহলে তারা কীভাবে দেশ পরিচালনা করবে। ইসলামি রাজনৈতিক দল হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রতি কিছু প্রশ্ন থাকে। সেই প্রশ্নের জবাব জানতেই আন্তর্জাতিক মহল এখন জামায়াতের সঙ্গে কথা বলতে চায়।’—যোগ করেন ড. গালিব।

ডেস্ক রিপোর্ট 

























