ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিলেটের জাফলংসহ ৫ পাথর কোয়ারি আর ইজারা দেয়া হবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা  ফের ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে তেহরান জ্বলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী  আর কোনোদিন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে উঠব না: ওয়ার্নার বাংলাদেশ–লাগোয়া ধুবড়িতে ‘দুষ্কৃতকারীদের’ দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আরও দুই জেনারেল নিহত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে: দুদু ইরানের পর এবার ইসরায়েলে রকেট হামলা চালালো আরেক মুসলিম দেশ! ইরানের পাশে দাঁড়াল ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক: প্রেসসচিব

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী বর্ষার ওপর হামলার ঘটনায় নগরকান্দা থানার ওসি প্রত্যাহার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • ৫১২ বার পড়া হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী বৈশাখী ইসলাম বর্ষার ওপর হামলার ঘটনায় ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফর আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার এ আদেশ দেন।

জানা গেছে, শুক্রবার (৩০ মে) বিকালে নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ভবুকদিয়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন বর্ষা। এর আগে তিনি নিজের ছোট বোনকে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে গেলে, সেখান থেকে ফিরে আসার সময়েই তার ওপর এ হামলা চালানো হয়। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার অভিযোগ তুলে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. শামসুল আজম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “প্রশাসনিক কারণে নগরকান্দা থানার ওসি মো. সফর আলীকে ফরিদপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এ নির্দেশ শনিবারই কার্যকর হয়েছে।

উল্লেখ্য, সফর আলী ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নগরকান্দা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।

এদিকে, ঘটনার পরপরই ফরিদপুর থেকে ছুটে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা। সংগঠনের ফরিদপুর শাখার মুখ্য সংগঠক শাহ্ মো. আরাফাত বলেন, “ভবুকদিয়ায় হামলার খবর শুনেই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। সেখানে উপস্থিত সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপরও হামলা চালায়। প্রশাসন অনেক পরে এলেও কোনো কার্যকর ভূমিকা নেয়নি। এমনকি সেনাবাহিনী ক্যান্টনমেন্টে কল দেওয়া হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।”

শাহ্ আরাফাত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আপনারা যারা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, এসি গাড়িতে পুলিশ প্রোটেকশন নিয়ে ঘোরেন, অথচ জেলা পর্যায়ে যারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন না—এটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।”

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফরিদপুরের আন্দোলন কর্মীরা প্রশাসনের প্রতি কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটের জাফলংসহ ৫ পাথর কোয়ারি আর ইজারা দেয়া হবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী বর্ষার ওপর হামলার ঘটনায় নগরকান্দা থানার ওসি প্রত্যাহার

আপডেট সময় ১২:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী বৈশাখী ইসলাম বর্ষার ওপর হামলার ঘটনায় ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফর আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার এ আদেশ দেন।

জানা গেছে, শুক্রবার (৩০ মে) বিকালে নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ভবুকদিয়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন বর্ষা। এর আগে তিনি নিজের ছোট বোনকে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে গেলে, সেখান থেকে ফিরে আসার সময়েই তার ওপর এ হামলা চালানো হয়। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার অভিযোগ তুলে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. শামসুল আজম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “প্রশাসনিক কারণে নগরকান্দা থানার ওসি মো. সফর আলীকে ফরিদপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এ নির্দেশ শনিবারই কার্যকর হয়েছে।

উল্লেখ্য, সফর আলী ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর নগরকান্দা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।

এদিকে, ঘটনার পরপরই ফরিদপুর থেকে ছুটে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা। সংগঠনের ফরিদপুর শাখার মুখ্য সংগঠক শাহ্ মো. আরাফাত বলেন, “ভবুকদিয়ায় হামলার খবর শুনেই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। সেখানে উপস্থিত সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপরও হামলা চালায়। প্রশাসন অনেক পরে এলেও কোনো কার্যকর ভূমিকা নেয়নি। এমনকি সেনাবাহিনী ক্যান্টনমেন্টে কল দেওয়া হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।”

শাহ্ আরাফাত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আপনারা যারা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, এসি গাড়িতে পুলিশ প্রোটেকশন নিয়ে ঘোরেন, অথচ জেলা পর্যায়ে যারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন না—এটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।”

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফরিদপুরের আন্দোলন কর্মীরা প্রশাসনের প্রতি কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।