এবার ইতালি গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর লক্ষ্যে রওনা হওয়া আন্তর্জাতিক নৌ-অভিযান ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তাদের বক্তব্য, গাজার উপকূল থেকে প্রায় ১৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে পৌঁছালে ইতালীয় যুদ্ধজাহাজ আর বহরের সঙ্গে থাকবে না। এতে বহরের অংশগ্রহণকারীরা ইসরায়েলি হামলার মুখে আরও ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংসদ সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি রয়েছে এই বহরে। ৪০টিরও বেশি নৌযান ও পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে গঠিত এই বহরের উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে সরাসরি গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।
ইতালি এই বহরকে একটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিল। তাদের প্রস্তাব ছিল সাইপ্রাসে নোঙর করে সেখান থেকে সহায়তা পাঠানোর। তবে আয়োজকরা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যাত্রা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে গ্রিস উপকূলে এই নৌবহরটি ড্রোন হামলার শিকার হয়। ফ্লোটিলা সদস্যরা এ ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করলেও ইসরায়েল তা অস্বীকার করেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েল স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা যে কোনো পরিস্থিতিতেই গাজায় এই বহরের পৌঁছানো ঠেকাবে।
ফ্লোটিলার ইতালীয় মুখপাত্র মারিয়া এলেনা দেলিয়া জানিয়েছেন, আজ রাতেই আমাদের ওপর ইসরায়েলি হামলা হতে পারে। ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রীও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, বহরটি থামিয়ে এর সদস্যদের আটক করা হতে পারে। অন্যদিকে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি নৌবহরটি থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন। পোপও ফ্লোটিলার যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক আক্রমণের পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, এ অভিযানে এখন পর্যন্ত সেখানে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ডেস্ক রিপোর্ট 



















