ঢাকা , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সেনাপ্রধানের আহ্বান: একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোর সর্বদা প্রস্তুত থাকুক ক্লাসে ঢুকে ডাস্টার দিয়ে ছাত্রীকে মেরে মাথা ফাটালেন শিক্ষক বোরকা ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি নেই আফগান নারীদের ড. ইউনূস সরকার হ’টা’নোর পরিকল্পনা নিয়ে হাসিনা-পুতুলের ত’র্কাত’র্কি লকডাউন নিয়ে বিভক্ত আ.লীগ, হামলার ছক কষছে এক পক্ষ রাজশাহীতে টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে দগ্ধ ছাত্রদল নেতা শহীদুল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ঢাকায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, ‘লকডাউন’ ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি দিল্লিতে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠক: দেশ destabilize করার পরিকল্পনা ফাঁস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ স্থাপনায় তালা ঝুলিয়ে ‘লকডাউন সফল’ আহ্বান ছাত্রলীগের 🇸🇦 ২০২৬ সালের হজচুক্তি স্বাক্ষরিত: বাংলাদেশ থেকে ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজ পালন করবেন

আমি নোবেল না পেলে সেটা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অপমান: ট্রাম্প

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:৩০:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার না দেওয়া হলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় অপমান হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একইসঙ্গে অপরাধ ও অভিবাসন সমস্যাকে তিনি ‘অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে সেনা মোতায়েনের ঘোষণাও দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শতাধিক মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজেকে নানা যুদ্ধ ও সংঘাতের মীমাংসার নেপথ্য নায়ক হিসেবে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার না দেওয়া হলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হবে বড় এক ‘অপমান’।

ট্রাম্প বলেন, আমি কি নোবেল পাব? অবশ্যই না। তারা এমন কাউকে নোবেল দেবে, যে কিছুই করেনি। এটা হবে আমাদের দেশের জন্য বড় অপমান। আমি আপনাদের বলছি, আমি এটা চাই না। আমি চাই আমাদের দেশ এটা পাক। আমাদের দেশের এটা পাওয়া উচিত কারণ এর আগে এমন কিছু ঘটেনি।

এর আগে, ২০০৯ সালে ডেমোক্র্যাট নেতা এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। এতে দীর্ঘদিন ধরেই বিরক্ত ছিলেন ট্রাম্প। মঙ্গলবারের ভাষণে ট্রাম্প তার সাম্প্রতিক দাবির পুনরাবৃত্তি করে বলেন, তিনি জানুয়ারীতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাতটি যুদ্ধের ইতি টেনেছেন। মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, সোমবার হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তিনি যে গাজা পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন তা যদি কার্যকর হয়, তাহলে আট মাসের মধ্যে আমাদের আটটি যুদ্ধ বন্ধ হবে। এটা বেশ ভালো।

এদিকে হামাস এখনও এই পরিকল্পনার ব্যাপারে কোনো সাড়া দেয়নি। তবে চলতি বছর ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ের সম্ভাবনা আসলে শূন্য বলেই মনে করা হচ্ছে। নোবেল শান্তি পুরস্কারের ওপর গবেষণা পরিচালনাকারী এবং সহলেখক ইতিহাসবিদ ওইভিন্ড স্টেনার্সেন এএফপিকে বলেন, এটি সম্পূর্ণ অকল্পনীয় বিষয়। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিও জোর দিয়ে বলেছে যে, ট্রাম্পের নোবেল প্রচারণার কারণে এটি প্রভাবিত হতে পারে না।

কমিটির সচিব ক্রিস্টিয়ান বার্গ হার্পভিকেন সম্প্রতি এএফপিকে বলেন, অবশ্যই, আমরা লক্ষ্য করেছি যে নির্দিষ্ট প্রার্থীদের প্রতি মিডিয়ার প্রচুর মনোযোগ রয়েছে। কিন্তু কমিটিতে চলমান আলোচনার ওপর এর কোনো প্রভাব নেই।

ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি সাতটি যুদ্ধের তালিকা প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে যে, তিনি কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ড; কসোভো এবং সার্বিয়া; গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো এবং রুয়ান্ডা; পাকিস্তান এবং ভারত; ইসরায়েল এবং ইরান; মিশর এবং ইথিওপিয়া; এবং আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে শেষ করেছেন বলে জানিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প কিছু যুদ্ধের জন্য কৃতিত্ব দাবি করার ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নিলেও অনেক ক্ষেত্রেই এসব দাবির সত্যতা আংশিক বা কোন কোন ক্ষেত্রে তার দাবি মিথ্যা সঠিক ছিল না।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনাপ্রধানের আহ্বান: একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি সার্ভিস কোর সর্বদা প্রস্তুত থাকুক

আমি নোবেল না পেলে সেটা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অপমান: ট্রাম্প

আপডেট সময় ১১:৩০:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার না দেওয়া হলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় অপমান হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একইসঙ্গে অপরাধ ও অভিবাসন সমস্যাকে তিনি ‘অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে সেনা মোতায়েনের ঘোষণাও দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শতাধিক মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজেকে নানা যুদ্ধ ও সংঘাতের মীমাংসার নেপথ্য নায়ক হিসেবে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার না দেওয়া হলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হবে বড় এক ‘অপমান’।

ট্রাম্প বলেন, আমি কি নোবেল পাব? অবশ্যই না। তারা এমন কাউকে নোবেল দেবে, যে কিছুই করেনি। এটা হবে আমাদের দেশের জন্য বড় অপমান। আমি আপনাদের বলছি, আমি এটা চাই না। আমি চাই আমাদের দেশ এটা পাক। আমাদের দেশের এটা পাওয়া উচিত কারণ এর আগে এমন কিছু ঘটেনি।

এর আগে, ২০০৯ সালে ডেমোক্র্যাট নেতা এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। এতে দীর্ঘদিন ধরেই বিরক্ত ছিলেন ট্রাম্প। মঙ্গলবারের ভাষণে ট্রাম্প তার সাম্প্রতিক দাবির পুনরাবৃত্তি করে বলেন, তিনি জানুয়ারীতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাতটি যুদ্ধের ইতি টেনেছেন। মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট বলেন, সোমবার হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তিনি যে গাজা পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন তা যদি কার্যকর হয়, তাহলে আট মাসের মধ্যে আমাদের আটটি যুদ্ধ বন্ধ হবে। এটা বেশ ভালো।

এদিকে হামাস এখনও এই পরিকল্পনার ব্যাপারে কোনো সাড়া দেয়নি। তবে চলতি বছর ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ের সম্ভাবনা আসলে শূন্য বলেই মনে করা হচ্ছে। নোবেল শান্তি পুরস্কারের ওপর গবেষণা পরিচালনাকারী এবং সহলেখক ইতিহাসবিদ ওইভিন্ড স্টেনার্সেন এএফপিকে বলেন, এটি সম্পূর্ণ অকল্পনীয় বিষয়। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিও জোর দিয়ে বলেছে যে, ট্রাম্পের নোবেল প্রচারণার কারণে এটি প্রভাবিত হতে পারে না।

কমিটির সচিব ক্রিস্টিয়ান বার্গ হার্পভিকেন সম্প্রতি এএফপিকে বলেন, অবশ্যই, আমরা লক্ষ্য করেছি যে নির্দিষ্ট প্রার্থীদের প্রতি মিডিয়ার প্রচুর মনোযোগ রয়েছে। কিন্তু কমিটিতে চলমান আলোচনার ওপর এর কোনো প্রভাব নেই।

ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি সাতটি যুদ্ধের তালিকা প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে যে, তিনি কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ড; কসোভো এবং সার্বিয়া; গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো এবং রুয়ান্ডা; পাকিস্তান এবং ভারত; ইসরায়েল এবং ইরান; মিশর এবং ইথিওপিয়া; এবং আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে শেষ করেছেন বলে জানিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প কিছু যুদ্ধের জন্য কৃতিত্ব দাবি করার ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নিলেও অনেক ক্ষেত্রেই এসব দাবির সত্যতা আংশিক বা কোন কোন ক্ষেত্রে তার দাবি মিথ্যা সঠিক ছিল না।